ইপেপার । আজ শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে সুদ কারবারির অত্যাচারে পথে বসেছেন স্কুল শিক্ষক

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:১৭:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুন ২০২৩
  • / ৩০ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের সুদ কারবারি আমিরুলের অত্যাচারে সর্বস্বান্ত হয়েছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক স্কুল শিক্ষকসহ অসংখ্য ব্যবসায়ী। আমিরুলের কাছ থেকে এক লাখ টাকা সুদে নিয়ে প্রায় চার লাখ টাকা দিয়েছেন স্কুল শিক্ষক কানু গোপাল মজুমদার। তারপরও সুদের টাকা পান বলে দাবি করছেন আমিরুল। সুদের টাকা শোধ করতে গিয়ে ইতিমধ্যে পথে বসেছেন কানু গোপাল।

জানা গেছে, সদর পৌরসভার উদয়পুর গ্রামের মৃত ইউসুফ মিয়ার ছেলে আমিরুল ইসলাম সুদ কারবারি। তার অত্যাচারে ঝিনাইদহ শহরের অনেকে ব্যবসায়ী পথে বসেছেন। আবার অনেকেই বাড়িঘর বিক্রি করে ছেড়েছে এলাকা। শুধু কানু নয়, তার মতো আলিফ বেকারীর মালিক, হাটের রাস্তার শরিফুল, অনির্বাণ প্রি-ক্যাডেটের স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ, কুষ্টিয়া দধি ভান্ডারের মালিকসহ অসংখ্য মানুষ সর্বস্বান্ত হয়েছেন আমিরুলের কাছে সুদে টাকা নিয়ে।

ঝিনাইদহ শহরের ফজর আলী গার্লস স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কানু গোপাল মজুমদার জানান, তিনি ব্যবসার প্রয়োজনে ২০১৭ সালে আমিরুলের নিকট থেকে কিছু দিনের জন্য এক লাখ ধার হিসেবে নেন। বিনিময়ে একটি ফাঁকা চেক গ্রহণ করেন আমিরুল। টাকা পরিশোধ হলে চেকটি ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে আমিরুল বলেন, টাকা দিতে দেরি হলে প্রতিমাসে এক লাখ টাকায় ১০ হাজার টাকা সুদ হিসেবে দিতে হবে। মামলার ভয়ে তাকে প্রতি মাসে ১০ হাজার করে সুদ দিতে থাকেন। এভাবে ৩ বছরে ৪ লাখ টাকা দিয়েও রেহাই হয়নি। টাকা দিতে না পারায় ২০২০ সালে ফাঁকা চেকে ১১ লাখ টাকা বসিয়ে আদালতে মামলা করেন আমিরুল। পরবর্তীতে মামলা মীমাংসার কথা বলে বিভিন্ন সময়ে আরও টাকা নেন।

এ ব্যাপারে আমিরুল বলেন, ‘আমি ব্যবসায়িক কাজে টাকা দিয়েছিলাম। টাকা না পেয়ে আদালতে মামলা করেছি। মোবাইলে তো এতো কথা বলা যাবে না। সামনাসামনি এসে কথা বলব।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঝিনাইদহে সুদ কারবারির অত্যাচারে পথে বসেছেন স্কুল শিক্ষক

আপলোড টাইম : ০৪:১৭:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুন ২০২৩

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের সুদ কারবারি আমিরুলের অত্যাচারে সর্বস্বান্ত হয়েছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক স্কুল শিক্ষকসহ অসংখ্য ব্যবসায়ী। আমিরুলের কাছ থেকে এক লাখ টাকা সুদে নিয়ে প্রায় চার লাখ টাকা দিয়েছেন স্কুল শিক্ষক কানু গোপাল মজুমদার। তারপরও সুদের টাকা পান বলে দাবি করছেন আমিরুল। সুদের টাকা শোধ করতে গিয়ে ইতিমধ্যে পথে বসেছেন কানু গোপাল।

জানা গেছে, সদর পৌরসভার উদয়পুর গ্রামের মৃত ইউসুফ মিয়ার ছেলে আমিরুল ইসলাম সুদ কারবারি। তার অত্যাচারে ঝিনাইদহ শহরের অনেকে ব্যবসায়ী পথে বসেছেন। আবার অনেকেই বাড়িঘর বিক্রি করে ছেড়েছে এলাকা। শুধু কানু নয়, তার মতো আলিফ বেকারীর মালিক, হাটের রাস্তার শরিফুল, অনির্বাণ প্রি-ক্যাডেটের স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ, কুষ্টিয়া দধি ভান্ডারের মালিকসহ অসংখ্য মানুষ সর্বস্বান্ত হয়েছেন আমিরুলের কাছে সুদে টাকা নিয়ে।

ঝিনাইদহ শহরের ফজর আলী গার্লস স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কানু গোপাল মজুমদার জানান, তিনি ব্যবসার প্রয়োজনে ২০১৭ সালে আমিরুলের নিকট থেকে কিছু দিনের জন্য এক লাখ ধার হিসেবে নেন। বিনিময়ে একটি ফাঁকা চেক গ্রহণ করেন আমিরুল। টাকা পরিশোধ হলে চেকটি ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে আমিরুল বলেন, টাকা দিতে দেরি হলে প্রতিমাসে এক লাখ টাকায় ১০ হাজার টাকা সুদ হিসেবে দিতে হবে। মামলার ভয়ে তাকে প্রতি মাসে ১০ হাজার করে সুদ দিতে থাকেন। এভাবে ৩ বছরে ৪ লাখ টাকা দিয়েও রেহাই হয়নি। টাকা দিতে না পারায় ২০২০ সালে ফাঁকা চেকে ১১ লাখ টাকা বসিয়ে আদালতে মামলা করেন আমিরুল। পরবর্তীতে মামলা মীমাংসার কথা বলে বিভিন্ন সময়ে আরও টাকা নেন।

এ ব্যাপারে আমিরুল বলেন, ‘আমি ব্যবসায়িক কাজে টাকা দিয়েছিলাম। টাকা না পেয়ে আদালতে মামলা করেছি। মোবাইলে তো এতো কথা বলা যাবে না। সামনাসামনি এসে কথা বলব।’