ইপেপার । আজ শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত ঐশী আবার স্কুলে যেতে চান

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৫৫:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুন ২০২৩
  • / ৩৫ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
সেই শৈশব কাল থেকে যে শিশুটির বাবা-মা, ভাই-বোন ও সহপাঠীদের সাথে হেসে খেলে বেড়ানোর কথা। কিন্তু সে সুযোগ হয়নি ঐশীর। জন্মের পর থেকেই তিনি থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। এখন তার বয়স ১৯ বছর। যে বয়সে তার কলেজে যাওয়ার কথা, সেই বয়সে মাত্র ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন। এখনো তিনি জানেন তার জীবনে খেলার সুযোগ নেই। বেড়াতে পারবে না সহপাঠীদের সঙ্গে। তবে চিকিৎসা না হলে ঐশী তিলে তিলে শেষ হয়ে যাবে। এ অবস্থায় ঐশী বাঁচতে চান। যেতে চান আবার স্কুলে। খেলতে চান সহপাঠীদের সঙ্গে। তাই হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে ঝিনাইদহসহ দেশবাসীর প্রতি তিনি আকুতি জানিয়েছেন চিকিৎসার।
ঐশির পিতা একজন মোটর শ্রমিক ছিলেন। ২০০৭ সাল থেকে পিতা আব্দুর রশিদ নিখোঁজ। মাত্র ৪ বছর বয়সে হন পিতৃহারা। ১৫ বছরেও জন্মদাতা পিতার সন্ধান পায়নি পরিবার। ঐশীর বাড়ি ঝিনাইদহ শহরের কাঞ্চননগর পাড়ায়। পরিবারের ধারণা কোনো দুর্ঘটনায় অজ্ঞাত লাশ হয়ে গেছেন আব্দুর রশিদ। এদিকে, পিতৃহীন ঐশীর চিকিৎসায় লাখ লাখ টাকা ব্যয় হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন তার মা আম্বিয়া খাতুন। জায়গা-জমি যা ছিল, সেগুলো মেয়ের চিকিৎসার জন্য বিক্রি করে তার পরিবার সর্বশান্ত। ঐশীর এখন দীর্ঘ মেয়াদী উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। ডাক্তার বলেছেন নিয়মিত চিকিৎসা করালে তিনি হয়ত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারেন। তাকে বাঁচিয়ে রাখতে যে অর্থের প্রয়োজন, তা তার পরিবারের নেই। ঐশি বেঁচে থাকার জন্য সমাজের বিত্তবান ও দানশীল ব্যক্তিদের কাছে সাহায্যের করেছেন। সাহায্য পাঠাবার ঠিকানা মোছাম্মাত আম্বিয়া খাতুন, সঞ্চয়ী হিসাব নম্বার ০০২৩০৯১৬৬ সোনালী ব্যাংক, ঝিনাইদহ শাখা, ঝিনাইদহ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত ঐশী আবার স্কুলে যেতে চান

আপলোড টাইম : ০৮:৫৫:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুন ২০২৩

ঝিনাইদহ অফিস:
সেই শৈশব কাল থেকে যে শিশুটির বাবা-মা, ভাই-বোন ও সহপাঠীদের সাথে হেসে খেলে বেড়ানোর কথা। কিন্তু সে সুযোগ হয়নি ঐশীর। জন্মের পর থেকেই তিনি থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। এখন তার বয়স ১৯ বছর। যে বয়সে তার কলেজে যাওয়ার কথা, সেই বয়সে মাত্র ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন। এখনো তিনি জানেন তার জীবনে খেলার সুযোগ নেই। বেড়াতে পারবে না সহপাঠীদের সঙ্গে। তবে চিকিৎসা না হলে ঐশী তিলে তিলে শেষ হয়ে যাবে। এ অবস্থায় ঐশী বাঁচতে চান। যেতে চান আবার স্কুলে। খেলতে চান সহপাঠীদের সঙ্গে। তাই হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে ঝিনাইদহসহ দেশবাসীর প্রতি তিনি আকুতি জানিয়েছেন চিকিৎসার।
ঐশির পিতা একজন মোটর শ্রমিক ছিলেন। ২০০৭ সাল থেকে পিতা আব্দুর রশিদ নিখোঁজ। মাত্র ৪ বছর বয়সে হন পিতৃহারা। ১৫ বছরেও জন্মদাতা পিতার সন্ধান পায়নি পরিবার। ঐশীর বাড়ি ঝিনাইদহ শহরের কাঞ্চননগর পাড়ায়। পরিবারের ধারণা কোনো দুর্ঘটনায় অজ্ঞাত লাশ হয়ে গেছেন আব্দুর রশিদ। এদিকে, পিতৃহীন ঐশীর চিকিৎসায় লাখ লাখ টাকা ব্যয় হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন তার মা আম্বিয়া খাতুন। জায়গা-জমি যা ছিল, সেগুলো মেয়ের চিকিৎসার জন্য বিক্রি করে তার পরিবার সর্বশান্ত। ঐশীর এখন দীর্ঘ মেয়াদী উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। ডাক্তার বলেছেন নিয়মিত চিকিৎসা করালে তিনি হয়ত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারেন। তাকে বাঁচিয়ে রাখতে যে অর্থের প্রয়োজন, তা তার পরিবারের নেই। ঐশি বেঁচে থাকার জন্য সমাজের বিত্তবান ও দানশীল ব্যক্তিদের কাছে সাহায্যের করেছেন। সাহায্য পাঠাবার ঠিকানা মোছাম্মাত আম্বিয়া খাতুন, সঞ্চয়ী হিসাব নম্বার ০০২৩০৯১৬৬ সোনালী ব্যাংক, ঝিনাইদহ শাখা, ঝিনাইদহ।