ইপেপার । আজ শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মহসড়ক অবরোধ করে এলাকাবাসীর ঝাড়ু মিছিল

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:০৭:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩
  • / ২৯ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের বিষয়খালী বাজারে রান সঞ্চয় ও ঋণদান সমিতির মালিক রফিকুল ইসলাম ওরফে সুদখোর রফির নির্যাতন বন্ধ, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন নির্যাতিত এলাকাবাসী। গতকাল বুধবার সকালে শত শত গ্রামবাসী ঝাড়ু হাতে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিলসহ ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এসময় প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিষয়খালী বাজারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। সেখানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খুরশিদ আলম, সাবেক চেয়ারম্যান আবু বক্কার, কানুহরপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেন মেম্বর, বিষয়খালী গ্রামের শামিম হোসেন, কেশবপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম, বিষয়খালী গ্রামের নজির উদ্দীন, দবির উদ্দীন, যাত্রাপুর গ্রামে চম্পা খাতুন, কয়ারগাছি আবাসন এলাকার রেখা খাতুন, আমজাদ হোসেন প্রমুখ।

মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে এক প্রতিবাদ সমাবেশে নির্যাতিতরা অভিযোগ করেন, সুদখোর রফি অল্প সুদে ঋণ দেওয়ার নাম করে চড়া সুদ আদায় করেন। টাকা না দিলে সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারী বাহিনী দিয়ে বাড়িঘরে হামলা করছে। এছাড়া ঋণ প্রদানের সময় ব্যাংকের ফাঁকা চেক ও ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্প নিয়ে রাখেন। ঋণ শোধের আগেই ঋণের ৬ গুন টাকা দাবি করে মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। সুদের টাকা দিতে দেরি হলেই গুন্ডাবাহিনীর অত্যাচার নেমে আসে পরিবারের ওপর। রফিকুল ইসলাম ওরফে সুদখোর রফির অত্যাচারে মৃত্যুবরণকারী যাত্রাপুর গ্রামের আক্তারুজামানের মা বলেন, ‘আমার ছেলে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ১ লাখ ৮৪ হাজার টাকা শোধ করলেও টাকার জন্য রফি তার অফিসে ডেকে গুন্ডাবাহিনী দিয়ে মারধর করে। পরে অপমান সহ্য করতে না পেরে বিষপানে আত্যহত্যা করে। তাই ন্যায়বিচারের দাবিতে এই সড়ক অবরোধে আমিও শরিক হয়েছি।’

বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, সুদখোর রফির বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেও কোনো কাজ হয়নি। বরং রফি তার ভাড়াটিয়া বাহিনী দিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঋণ গ্রহীতাদের খুন জখমের হুমকি দিচ্ছে। সুদখোর রফির গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধের বিষয়ে জানতে চাইলে মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খুরশিদ আলম জানান, ‘বিষয়টি আমি অবহিত আছি। সুদখোর রফির গ্রেপ্তারের জন্য যা যা করা যায়, তাই করা হবে।’ পরে প্রশাসন ও চেয়ারম্যানের আশ^াসে অবরোধকারীরা সড়ক ছেড়ে দেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মহসড়ক অবরোধ করে এলাকাবাসীর ঝাড়ু মিছিল

আপলোড টাইম : ১২:০৭:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের বিষয়খালী বাজারে রান সঞ্চয় ও ঋণদান সমিতির মালিক রফিকুল ইসলাম ওরফে সুদখোর রফির নির্যাতন বন্ধ, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন নির্যাতিত এলাকাবাসী। গতকাল বুধবার সকালে শত শত গ্রামবাসী ঝাড়ু হাতে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিলসহ ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এসময় প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিষয়খালী বাজারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। সেখানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খুরশিদ আলম, সাবেক চেয়ারম্যান আবু বক্কার, কানুহরপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেন মেম্বর, বিষয়খালী গ্রামের শামিম হোসেন, কেশবপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম, বিষয়খালী গ্রামের নজির উদ্দীন, দবির উদ্দীন, যাত্রাপুর গ্রামে চম্পা খাতুন, কয়ারগাছি আবাসন এলাকার রেখা খাতুন, আমজাদ হোসেন প্রমুখ।

মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে এক প্রতিবাদ সমাবেশে নির্যাতিতরা অভিযোগ করেন, সুদখোর রফি অল্প সুদে ঋণ দেওয়ার নাম করে চড়া সুদ আদায় করেন। টাকা না দিলে সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারী বাহিনী দিয়ে বাড়িঘরে হামলা করছে। এছাড়া ঋণ প্রদানের সময় ব্যাংকের ফাঁকা চেক ও ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্প নিয়ে রাখেন। ঋণ শোধের আগেই ঋণের ৬ গুন টাকা দাবি করে মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। সুদের টাকা দিতে দেরি হলেই গুন্ডাবাহিনীর অত্যাচার নেমে আসে পরিবারের ওপর। রফিকুল ইসলাম ওরফে সুদখোর রফির অত্যাচারে মৃত্যুবরণকারী যাত্রাপুর গ্রামের আক্তারুজামানের মা বলেন, ‘আমার ছেলে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ১ লাখ ৮৪ হাজার টাকা শোধ করলেও টাকার জন্য রফি তার অফিসে ডেকে গুন্ডাবাহিনী দিয়ে মারধর করে। পরে অপমান সহ্য করতে না পেরে বিষপানে আত্যহত্যা করে। তাই ন্যায়বিচারের দাবিতে এই সড়ক অবরোধে আমিও শরিক হয়েছি।’

বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, সুদখোর রফির বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেও কোনো কাজ হয়নি। বরং রফি তার ভাড়াটিয়া বাহিনী দিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঋণ গ্রহীতাদের খুন জখমের হুমকি দিচ্ছে। সুদখোর রফির গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধের বিষয়ে জানতে চাইলে মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খুরশিদ আলম জানান, ‘বিষয়টি আমি অবহিত আছি। সুদখোর রফির গ্রেপ্তারের জন্য যা যা করা যায়, তাই করা হবে।’ পরে প্রশাসন ও চেয়ারম্যানের আশ^াসে অবরোধকারীরা সড়ক ছেড়ে দেন।