ইপেপার । আজ শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হরিণাকুণ্ডুতে তথ্য চাওয়ায় সাংবাদিককে হুমকির অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:৫৬:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ মে ২০২৩
  • / ৩৩ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, হরিণাকুণ্ডু:
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের শ্রীবলতোলা গ্রামে কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই চলছে টিআর/কাবিখা কর্মসূচির কাজ। সেখানে শ্রমিকের পরিবর্তে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে বঞ্চিত হচ্ছেন হতদরিদ্র শ্রমিকরা। এছাড়া প্রকল্পের কাজ না করে মরা গাং (কুমরোল) থেকে মাটি বিক্রির ও সরকারি জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে রঘুনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তথ্য সংগ্রহে বাধাদান দেন। তিনি সাংবাদিককে হুমকি দেন। কথোপকথনের একপর্যায়ে চেয়ারম্যান বসির উদ্দীন বলেন, ‘মাটি বিক্রয় করে কি তারা কোটিপতি হয়ে গেছে? সাংবাদিকেরা আমার ইউনিয়নে কী? অন্য জায়গায় যান। আমার প্রকল্পের কাজ দেখবে ইউএনও ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। আপনারা আমার ইউনিয়নের কাজ দেখার কে? চিটারি বাদ দেন। আপনারা খুব বেশি বাড়াবাড়ি করছেন।’
এদিকে মরা গাং কুমরোল থেকে মাটি ক্রেতার সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, ‘আমি ১ হাজার টাকা প্রতি গাড়িতে দিয়ে মাটি কিনেছি মহিলা মেম্বারের স্বামী আ.রশিদের কাছ থেকে।’ জানতে চাইলে সংরক্ষিত নারী সদস্যের স্বামী আ. রশিদ বলেন, ‘পরিষদের কাজ আমিই করে থাকি। যা বলার আমাকেই বলুন। আমি মাটি বিক্রয় করিনি। কিছু মাটি আমি নিয়ে এসেছি নীচু জমি ভরাটের জন্য। এতে আমার জেল-ফাঁস হয় হোক। দেখলাম তো গত দুই দিন ধরে শ্রমিকের পরিবর্তে মাটি কাটা ভেকু দিয়ে এই রাস্তার কাজ করছেন চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা।’
হরিণাকুণ্ডু উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মফিজুর রহমান বলেন, ‘আমি তো কাগজপত্র (ফাইল) না দেখে কিছুই বলতে পারছি না।’ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুস্মিতা সাহা বলেন, ‘হতদরিদ্র শ্রমিকদের বঞ্চিত করে (ভেকু) দিয়ে কাজ করছে কি না, আমার তা জানা নেই। কোনো অনিয়ম হলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

হরিণাকুণ্ডুতে তথ্য চাওয়ায় সাংবাদিককে হুমকির অভিযোগ

আপলোড টাইম : ০৭:৫৬:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ মে ২০২৩

প্রতিবেদক, হরিণাকুণ্ডু:
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের শ্রীবলতোলা গ্রামে কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই চলছে টিআর/কাবিখা কর্মসূচির কাজ। সেখানে শ্রমিকের পরিবর্তে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে বঞ্চিত হচ্ছেন হতদরিদ্র শ্রমিকরা। এছাড়া প্রকল্পের কাজ না করে মরা গাং (কুমরোল) থেকে মাটি বিক্রির ও সরকারি জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে রঘুনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তথ্য সংগ্রহে বাধাদান দেন। তিনি সাংবাদিককে হুমকি দেন। কথোপকথনের একপর্যায়ে চেয়ারম্যান বসির উদ্দীন বলেন, ‘মাটি বিক্রয় করে কি তারা কোটিপতি হয়ে গেছে? সাংবাদিকেরা আমার ইউনিয়নে কী? অন্য জায়গায় যান। আমার প্রকল্পের কাজ দেখবে ইউএনও ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। আপনারা আমার ইউনিয়নের কাজ দেখার কে? চিটারি বাদ দেন। আপনারা খুব বেশি বাড়াবাড়ি করছেন।’
এদিকে মরা গাং কুমরোল থেকে মাটি ক্রেতার সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, ‘আমি ১ হাজার টাকা প্রতি গাড়িতে দিয়ে মাটি কিনেছি মহিলা মেম্বারের স্বামী আ.রশিদের কাছ থেকে।’ জানতে চাইলে সংরক্ষিত নারী সদস্যের স্বামী আ. রশিদ বলেন, ‘পরিষদের কাজ আমিই করে থাকি। যা বলার আমাকেই বলুন। আমি মাটি বিক্রয় করিনি। কিছু মাটি আমি নিয়ে এসেছি নীচু জমি ভরাটের জন্য। এতে আমার জেল-ফাঁস হয় হোক। দেখলাম তো গত দুই দিন ধরে শ্রমিকের পরিবর্তে মাটি কাটা ভেকু দিয়ে এই রাস্তার কাজ করছেন চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা।’
হরিণাকুণ্ডু উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মফিজুর রহমান বলেন, ‘আমি তো কাগজপত্র (ফাইল) না দেখে কিছুই বলতে পারছি না।’ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুস্মিতা সাহা বলেন, ‘হতদরিদ্র শ্রমিকদের বঞ্চিত করে (ভেকু) দিয়ে কাজ করছে কি না, আমার তা জানা নেই। কোনো অনিয়ম হলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’