ইপেপার । আজ শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেহেরপুরে আম সংগ্রহ ও বাজারজাত মনিটরিং সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৩৬:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মে ২০২৩
  • / ৪০ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:
আমের জন্য রাজশাহী বিখ্যাত হলেও কয়েক বছর ধরে মেহেরপুরের আমের চাহিদা ও খ্যাতি দেশব্যাপী ছড়িয়ে গেছে। তাই ভোক্তাদের কেমিক্যাল মুক্ত আমের নিশ্চয়তা ও মেহেরপুরের আমের খ্যাতি ধরে রাখতে জেলায় আম পাড়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। গতকাল সোমবার সকালে মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে জেলায় চলতি মৌসুমে আম সংগ্রহ, পরিবহন, বিপণন ও বাজারজাত মনিটরিং সংক্রান্ত সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিুজুল ইসলাম।

এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মৃধা মোহাম্মদ মোজাহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লিংকন বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ খালেক, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শংকর কুমার মজুমদার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া সিদ্দিকা সেতু, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনী খাতুনসহ জেলার বিভিন্ন এলাকার আম ব্যবসায়ী, আমচাষী ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বক্তব্য দেন।
সভায় নিরাপদ, বিষমুক্ত ও পরিপক্ব আম বাজারজাত নিশ্চিত করতে স্থানীয় আম ব্যবসায়ী ও চাষিদের সঙ্গে আলোচনা শেষে আগামী ১৫ মে বুম্বাই, ১৮ মে গোপালভোগ, ২৫ মে হিমসাগর, ২৮ মে ল্যাংড়া, ৫ জুন আম্রুপালী, ২০ জুন ফজলি এবং ১৫ জুলাই থেকে বিশ্বনাথ, বারী-৪ ও আশ্বিনা জাতের আম পাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

অসময়ে আম পাড়া বন্ধে এবং ক্যালসিয়াম, কার্বাইড, পিপিআর, ফরমালিন ও ইথিফনের মতো কেমিক্যাল ব্যবহারের মাধ্যমে যাতে আম পাকিয়ে মেহেরপুরের আমের খ্যাতি নষ্ট না করা হয় সজেন্য আম নামানোর সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি ভ্রাম্যমাণ আদালত ও পুলিশ প্রশাসন কঠোরভাবে মনিটরিং করবে বলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম জানিয়েছেন।

জানা গেছে, মেহেরপুর সদর, গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলায় ২৩ হাজার হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে। যেখান থেকে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৪০ লক্ষ মেট্রিক টন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চাষিরা তাদের কাক্সিক্ষত লাভের মুখ দেখবেন বলে মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আশা করছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মেহেরপুরে আম সংগ্রহ ও বাজারজাত মনিটরিং সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত

আপলোড টাইম : ০৪:৩৬:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মে ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদক:
আমের জন্য রাজশাহী বিখ্যাত হলেও কয়েক বছর ধরে মেহেরপুরের আমের চাহিদা ও খ্যাতি দেশব্যাপী ছড়িয়ে গেছে। তাই ভোক্তাদের কেমিক্যাল মুক্ত আমের নিশ্চয়তা ও মেহেরপুরের আমের খ্যাতি ধরে রাখতে জেলায় আম পাড়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। গতকাল সোমবার সকালে মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে জেলায় চলতি মৌসুমে আম সংগ্রহ, পরিবহন, বিপণন ও বাজারজাত মনিটরিং সংক্রান্ত সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিুজুল ইসলাম।

এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মৃধা মোহাম্মদ মোজাহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লিংকন বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ খালেক, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শংকর কুমার মজুমদার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া সিদ্দিকা সেতু, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনী খাতুনসহ জেলার বিভিন্ন এলাকার আম ব্যবসায়ী, আমচাষী ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বক্তব্য দেন।
সভায় নিরাপদ, বিষমুক্ত ও পরিপক্ব আম বাজারজাত নিশ্চিত করতে স্থানীয় আম ব্যবসায়ী ও চাষিদের সঙ্গে আলোচনা শেষে আগামী ১৫ মে বুম্বাই, ১৮ মে গোপালভোগ, ২৫ মে হিমসাগর, ২৮ মে ল্যাংড়া, ৫ জুন আম্রুপালী, ২০ জুন ফজলি এবং ১৫ জুলাই থেকে বিশ্বনাথ, বারী-৪ ও আশ্বিনা জাতের আম পাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

অসময়ে আম পাড়া বন্ধে এবং ক্যালসিয়াম, কার্বাইড, পিপিআর, ফরমালিন ও ইথিফনের মতো কেমিক্যাল ব্যবহারের মাধ্যমে যাতে আম পাকিয়ে মেহেরপুরের আমের খ্যাতি নষ্ট না করা হয় সজেন্য আম নামানোর সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি ভ্রাম্যমাণ আদালত ও পুলিশ প্রশাসন কঠোরভাবে মনিটরিং করবে বলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম জানিয়েছেন।

জানা গেছে, মেহেরপুর সদর, গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলায় ২৩ হাজার হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে। যেখান থেকে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৪০ লক্ষ মেট্রিক টন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চাষিরা তাদের কাক্সিক্ষত লাভের মুখ দেখবেন বলে মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আশা করছে।