ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শৈলকুপায় ঘুমন্ত নারীদের ভিডিও ধারণের ঘটনায় যুবতীসহ গ্রেপ্তার ২

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:৩০:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ মে ২০২৩
  • / ২৬ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের শৈলকুপার সাপখোলা গ্রামে রাতের আঁধারে বাড়ি বাড়ি গিয়ে গোপনে ঘুমন্ত নারীদের ভিডিও ধারণের অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন ওই গ্রামের আদিল উদ্দিন খাঁর ছেলে জুলকার খাঁ (৩৫) ও শামসুল বিশ্বাসের মেয়ে জান্নাতি খাতুন (২০)। গতকাল শুক্রবার ভোরে সাপখোলা গ্রামে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান জেলার পুলিশ সুপার আশিকুর রহমান।

পুলিশ বলছে, ৩৫ বছর বয়সী জুলকার খাঁনের একাধিক স্ত্রী ছিল। কিন্তু সব স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যান। এরমধ্যে রাতের আঁধারে জান্নাতি খাতুন নামে এক যুবতীর কিছু ব্যক্তিগত ভিডিও ধারণ করেন জুলকার। সেই ভিডিও দেখিয়ে তার সঙ্গে শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি। পরে দুজন মিলে রাতের আঁধারে নারীদের ভিডিও ধারণ করা শুরু করেন। তিন মাসে রাতে ঘুমিয়ে থাকা গ্রামের অর্ধশত নারীর ব্যক্তিগত ভিডিও করেন তারা। তাদের উদ্দেশ্য ছিল এসব ব্যক্তিগত ভিডিও দেখিয়ে যৌন সম্পর্ক স্থাপন ও টাকা হাতিয়ে নেওয়া।

উল্লেখ্য, রাতের আধাঁরে ঘুমন্ত নারীদের ভিডিও ও ছবি ধারণ করার বিষয় নিয়ে মিডিয়ায় সংবাদ প্রচার হলে দেশব্যাপী আলোচনায় উঠে আসে। তৎপর হয় পুলিশ। তাদের গ্রেপ্তারে মাঠে নামে প্রশাসন। অবশেষে তাদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয় পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল।

গ্রেপ্তার জুলকার খাঁ সাপখোলা গ্রামের আদিল উদ্দিন খাঁর ছেলে। আর তার প্রেমিকা জান্নাতি খাতুন শামছুল বিশ^াসের মেয়ে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার আশিকুর রহমান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানা যায়, শৈলকুপা উপজেলার সাপখোলা গ্রামে মামুন ফেরদৌসের বাড়ির জানালা দিয়ে কে বা কারা তার ঘুমন্ত স্ত্রী ও কন্যার ভিডিও করছিল।

এ সময় মোবাইলের ফ্লাস লাইটের আলো জ¦লে উঠলে ফেরদৌস ঘরের ভেতর অজ্ঞাত যুবকের হাত চেপে ধরে। তখন মোবাইল ফোন ফেলে সে পালিয়ে যায়। ফেলে যাওয়া মোবাইলে মধ্যে সাপখোলা গ্রামের প্রায় অর্ধশত নারী ভিডিও ও ছবি ছিল। এ ঘটনায় ৪ মে ফেরদৌস বাদী হয়ে শৈলকুপা থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। পুলিশেল সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে জুলকার খাঁ ও জান্নাতিকে গ্রেপ্তার করে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

শৈলকুপায় ঘুমন্ত নারীদের ভিডিও ধারণের ঘটনায় যুবতীসহ গ্রেপ্তার ২

আপলোড টাইম : ০৭:৩০:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ মে ২০২৩

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের শৈলকুপার সাপখোলা গ্রামে রাতের আঁধারে বাড়ি বাড়ি গিয়ে গোপনে ঘুমন্ত নারীদের ভিডিও ধারণের অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন ওই গ্রামের আদিল উদ্দিন খাঁর ছেলে জুলকার খাঁ (৩৫) ও শামসুল বিশ্বাসের মেয়ে জান্নাতি খাতুন (২০)। গতকাল শুক্রবার ভোরে সাপখোলা গ্রামে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান জেলার পুলিশ সুপার আশিকুর রহমান।

পুলিশ বলছে, ৩৫ বছর বয়সী জুলকার খাঁনের একাধিক স্ত্রী ছিল। কিন্তু সব স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যান। এরমধ্যে রাতের আঁধারে জান্নাতি খাতুন নামে এক যুবতীর কিছু ব্যক্তিগত ভিডিও ধারণ করেন জুলকার। সেই ভিডিও দেখিয়ে তার সঙ্গে শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি। পরে দুজন মিলে রাতের আঁধারে নারীদের ভিডিও ধারণ করা শুরু করেন। তিন মাসে রাতে ঘুমিয়ে থাকা গ্রামের অর্ধশত নারীর ব্যক্তিগত ভিডিও করেন তারা। তাদের উদ্দেশ্য ছিল এসব ব্যক্তিগত ভিডিও দেখিয়ে যৌন সম্পর্ক স্থাপন ও টাকা হাতিয়ে নেওয়া।

উল্লেখ্য, রাতের আধাঁরে ঘুমন্ত নারীদের ভিডিও ও ছবি ধারণ করার বিষয় নিয়ে মিডিয়ায় সংবাদ প্রচার হলে দেশব্যাপী আলোচনায় উঠে আসে। তৎপর হয় পুলিশ। তাদের গ্রেপ্তারে মাঠে নামে প্রশাসন। অবশেষে তাদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয় পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল।

গ্রেপ্তার জুলকার খাঁ সাপখোলা গ্রামের আদিল উদ্দিন খাঁর ছেলে। আর তার প্রেমিকা জান্নাতি খাতুন শামছুল বিশ^াসের মেয়ে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার আশিকুর রহমান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানা যায়, শৈলকুপা উপজেলার সাপখোলা গ্রামে মামুন ফেরদৌসের বাড়ির জানালা দিয়ে কে বা কারা তার ঘুমন্ত স্ত্রী ও কন্যার ভিডিও করছিল।

এ সময় মোবাইলের ফ্লাস লাইটের আলো জ¦লে উঠলে ফেরদৌস ঘরের ভেতর অজ্ঞাত যুবকের হাত চেপে ধরে। তখন মোবাইল ফোন ফেলে সে পালিয়ে যায়। ফেলে যাওয়া মোবাইলে মধ্যে সাপখোলা গ্রামের প্রায় অর্ধশত নারী ভিডিও ও ছবি ছিল। এ ঘটনায় ৪ মে ফেরদৌস বাদী হয়ে শৈলকুপা থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। পুলিশেল সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে জুলকার খাঁ ও জান্নাতিকে গ্রেপ্তার করে।