ইপেপার । আজ শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক স্বামী-স্ত্রী গ্রেপ্তার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৩:৪৪:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ মে ২০২৩
  • / ২০ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহে গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি স্বামী ও সতীনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত সোমবার রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ জানায়, হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ঝিনাইদহ সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আ. গনি বিশ^াসের ছেলে শহিদুল ইসলাম ও তার প্রথম স্ত্রী চম্পা খাতুন রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় অবস্থান করছে এমন সংবাদ পেয়ে সদর থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

জানা যায়, ঝিনাইদহের হলিধানী বাজারে মাজেদা খাতুন ডিম ও তরকারির ব্যবসা করতেন। সেই সূত্রে শহিদুলের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে তারা বিয়ে করেন। এরপর থেকে মাজেদা রামচন্দ্রপুর গ্রামে সতীন ও স্বামীসহ একসঙ্গে বসবাস করতেন। এর মধ্যে শহিদুল মাজেদার নিকটে ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবি করেন। মাজেদা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে প্রায়ই তাকে নির্যাতন করতো শহিদুল। ২০১২ সালের ২৩ জানুয়ারি মাজেদা ঘরে শুয়েছিলেন। এ সময় তার স্বামী শহিদুল ও প্রথম স্ত্রী চম্পা কেরোসিন তেল ঢেলে খাতুন মাজেদার দায়ে আগুন লাগিয়ে দেন। এতে তার দেহ ঝলসে যায়। পরে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

মাজেদার কোনো আত্মীয়-স্বজন না থাকায় স্থানীয় চৌকিদার শহিদুল ইসলাম ওই দিনই ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিলে চার্জশিট জমা দেয়। ১০ বছরের অধীক সময় ধরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে গত ৭ মার্চ ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ এর ১১(ক)/৩০ ধরায় অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তাদের দোষী সাব্যস্ত করে আদালতের বিরাচক মো. মিজানুর রহমান মৃত্যুদণ্ড দেন। রায় ঘোষণার পর থেকেই তারা পলাতক ছিলেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঝিনাইদহে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক স্বামী-স্ত্রী গ্রেপ্তার

আপলোড টাইম : ০৩:৪৪:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ মে ২০২৩

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহে গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি স্বামী ও সতীনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত সোমবার রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ জানায়, হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ঝিনাইদহ সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আ. গনি বিশ^াসের ছেলে শহিদুল ইসলাম ও তার প্রথম স্ত্রী চম্পা খাতুন রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় অবস্থান করছে এমন সংবাদ পেয়ে সদর থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

জানা যায়, ঝিনাইদহের হলিধানী বাজারে মাজেদা খাতুন ডিম ও তরকারির ব্যবসা করতেন। সেই সূত্রে শহিদুলের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে তারা বিয়ে করেন। এরপর থেকে মাজেদা রামচন্দ্রপুর গ্রামে সতীন ও স্বামীসহ একসঙ্গে বসবাস করতেন। এর মধ্যে শহিদুল মাজেদার নিকটে ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবি করেন। মাজেদা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে প্রায়ই তাকে নির্যাতন করতো শহিদুল। ২০১২ সালের ২৩ জানুয়ারি মাজেদা ঘরে শুয়েছিলেন। এ সময় তার স্বামী শহিদুল ও প্রথম স্ত্রী চম্পা কেরোসিন তেল ঢেলে খাতুন মাজেদার দায়ে আগুন লাগিয়ে দেন। এতে তার দেহ ঝলসে যায়। পরে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

মাজেদার কোনো আত্মীয়-স্বজন না থাকায় স্থানীয় চৌকিদার শহিদুল ইসলাম ওই দিনই ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিলে চার্জশিট জমা দেয়। ১০ বছরের অধীক সময় ধরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে গত ৭ মার্চ ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ এর ১১(ক)/৩০ ধরায় অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তাদের দোষী সাব্যস্ত করে আদালতের বিরাচক মো. মিজানুর রহমান মৃত্যুদণ্ড দেন। রায় ঘোষণার পর থেকেই তারা পলাতক ছিলেন।