ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে মাটির ঘর

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৫:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৩৩ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:
কালের বিবর্তনে আর আধুনিকতার ছোঁয়াই মেহেরপুর থেকে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী মাটির ঘর। মাটির ঘরের স্থান দখল করে নিচ্ছে ইট-পাথরের দালান। শীত কিংবা গ্রীষ্ম সব ঋতুতেই মাটির ঘর বেশ আরামদায়ক বাসস্থান। যদিও বর্ষাকালে একটু অসুবিধার সৃষ্টি হয়। গ্রাম-বাংলার চিরচেনা ঐতিহ্যের নিদর্শন সবুজ শ্যামল ছায়াঘেরা শান্তির নীড় ছিল মাটির ঘর। যা একসময় গ্রামের মানুষের কাছে গরিবের এসি নামে পরিচিত ছিল। কারণ মাটির ঘর তৈরির সময় ইচ্ছেমতো জানালার সংখ্যা বাড়ানো যেতো। যা দিয়ে খুব সহজেই ঘরের ভেতরে বাতাস চলাচল করতে পারতো। তাছাড়া মাটির ঘরে গরমের সময় শীতল এবং শীতের সময় উষ্ণ থাকে। তবে কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে এ মাটির ঘর।
কয়েক বছর পূর্বেও মেহেরপুর সদর, গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলার প্রায় প্রতিটা গ্রামেই খড়ের কিংবা টিনের ছাউনির মাটির ঘর থাকলেও এখন আর তার দেখা মেলে না। এখন বিভিন্ন গ্রাম খুঁজেও একটি মাটির ঘরের সন্ধান পাওয়া কঠিন। মাটির ঘরের স্থানে এখন জায়গা করে নিয়েছে অট্টালিকা। মানুষের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা, প্রযুক্তির উন্নয়ন, রুচিবোধের পরিবর্তন, পারিবারিক নিরাপত্তা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে নিজেদের সুরক্ষার কারণে এখন আর কেউ মাটির ঘরে থাকতে চায় না। অস্বচ্ছল মানুষরাও এখন ঝুঁকে পড়েছেন পাকা দালানের দিকে। আর স্বচ্ছল মানুষরা যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাকা দালান তৈরি করছেন।
তবে মাটির ঘরের শান্তি ইট-পাথরের দালানে খুঁজে পাওয়া যায় না বলে জানালেন গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের কসবা গ্রামে মাটির ঘরে বসবাসরত কয়েকটি পরিবারের সদস্যরা। তারা জানান, মাটির ঘর হারিয়ে গেলেও কসবা গ্রামে বেশ কয়েকটি পরিবার এখনও মাটির ঘরেই বসবাস করছেন। যে মাটির ঘরগুলো কাল হয়তো স্থান পাবে ইতিহাসের পাতায়, অথবা জাদুঘরে। সময়ের সঙ্গে ও মানুষের আর্থিক সামর্থ্য আর রুচির পরিবর্তনের ফলে গ্রাম থেকে হারিয়ে যাচ্ছে এ মাটির ঘর।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে মাটির ঘর

আপলোড টাইম : ০৯:১৫:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদক:
কালের বিবর্তনে আর আধুনিকতার ছোঁয়াই মেহেরপুর থেকে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী মাটির ঘর। মাটির ঘরের স্থান দখল করে নিচ্ছে ইট-পাথরের দালান। শীত কিংবা গ্রীষ্ম সব ঋতুতেই মাটির ঘর বেশ আরামদায়ক বাসস্থান। যদিও বর্ষাকালে একটু অসুবিধার সৃষ্টি হয়। গ্রাম-বাংলার চিরচেনা ঐতিহ্যের নিদর্শন সবুজ শ্যামল ছায়াঘেরা শান্তির নীড় ছিল মাটির ঘর। যা একসময় গ্রামের মানুষের কাছে গরিবের এসি নামে পরিচিত ছিল। কারণ মাটির ঘর তৈরির সময় ইচ্ছেমতো জানালার সংখ্যা বাড়ানো যেতো। যা দিয়ে খুব সহজেই ঘরের ভেতরে বাতাস চলাচল করতে পারতো। তাছাড়া মাটির ঘরে গরমের সময় শীতল এবং শীতের সময় উষ্ণ থাকে। তবে কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে এ মাটির ঘর।
কয়েক বছর পূর্বেও মেহেরপুর সদর, গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলার প্রায় প্রতিটা গ্রামেই খড়ের কিংবা টিনের ছাউনির মাটির ঘর থাকলেও এখন আর তার দেখা মেলে না। এখন বিভিন্ন গ্রাম খুঁজেও একটি মাটির ঘরের সন্ধান পাওয়া কঠিন। মাটির ঘরের স্থানে এখন জায়গা করে নিয়েছে অট্টালিকা। মানুষের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা, প্রযুক্তির উন্নয়ন, রুচিবোধের পরিবর্তন, পারিবারিক নিরাপত্তা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে নিজেদের সুরক্ষার কারণে এখন আর কেউ মাটির ঘরে থাকতে চায় না। অস্বচ্ছল মানুষরাও এখন ঝুঁকে পড়েছেন পাকা দালানের দিকে। আর স্বচ্ছল মানুষরা যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাকা দালান তৈরি করছেন।
তবে মাটির ঘরের শান্তি ইট-পাথরের দালানে খুঁজে পাওয়া যায় না বলে জানালেন গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের কসবা গ্রামে মাটির ঘরে বসবাসরত কয়েকটি পরিবারের সদস্যরা। তারা জানান, মাটির ঘর হারিয়ে গেলেও কসবা গ্রামে বেশ কয়েকটি পরিবার এখনও মাটির ঘরেই বসবাস করছেন। যে মাটির ঘরগুলো কাল হয়তো স্থান পাবে ইতিহাসের পাতায়, অথবা জাদুঘরে। সময়ের সঙ্গে ও মানুষের আর্থিক সামর্থ্য আর রুচির পরিবর্তনের ফলে গ্রাম থেকে হারিয়ে যাচ্ছে এ মাটির ঘর।