ইপেপার । আজ শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:০৮:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৩৫ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর মধ্যদিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যথাযথ মর্যাদায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল রোববার (১৭ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলা এবং উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়।

চুয়াডাঙ্গা:

চুয়াডাঙ্গায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এই দিবসের তাৎপর্য ও গুরুত্ব অনেক বেশি। দিবসটির সাথে চুয়াডাঙ্গা জেলার অগ্রণী ভূমিকা ছিল। উন্নত বাংলাদেশ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার জাগ্রত হতে হবে। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান করে বলেন, তোমাদের সঠিক মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে হবে ও সঠিক মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নিজেদের গঠন করতে হবে।

সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) আবু তারেক, জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান, পৌর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আবু রাশেদ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দার টোটন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, জেলা রোভারের সম্পাদক ও চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো. জাহিদুল হাসান, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাজহারুল ইসলামসহ জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।

দামুড়হুদা:

দামুড়হুদায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষে গতকাল সকাল ১০টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পরিষদের সম্মেলনকক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ১৭ই এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের আলোচনা সভাটির সভাপতিত্ব করেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোকসানা মিতা। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস, উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুজ্জামান, সমাজসেবা অফিসার তোফাজ্জল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (অপারেশন) শফিউল আলম, উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফয়জুল ইসলামসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।

মুজিবনগর:

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ বলেছেন, আগামী জানুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন। তাই এখনই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে শত্রুদের এখনই মোকাবিলা করতে হবে। গতকাল সোমবার দুপুরে মেহেরপুরের ঐতিহাসিক মুজিবনগর আম্রকাননে মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। আপনি চেয়ারে আছেন বলে মনোনয়ন পাবেন, এমন না। দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, দুশো বছর আগের নবাব সিরাজ উদ্দৌলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ষড়যন্ত্র একই সূত্রে গাঁথা। আবারও চারদিকে সেই গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এ কারণে দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে সব ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশে বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে। এই দলকে হুমকি-ধামকি দিয়ে কোনো লাভ হবে না। আমরা একাত্তরে আল-বদর রাজাকারদের পরাস্ত করেছি। প্রয়োজন হলে আবার তাদের পরাজিত করা হবে। মাহবুবুল আলম হানিফ আরও বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। তিনি ছিলেন পাকিস্তানি এজেন্ট। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কারো অবদান রাখার সুযোগ নেই।

সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যাদের নির্বাচন করার সক্ষমতা আছে, তারাই শুধু নির্বাচনে আসবে। নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রমাণ করবে জনগণ কাকে চায়, আর কাকে চায় না। রাজপথে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিয়ে জনগণ তার পক্ষে আছে এটা বলার কোনো সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগ জনগণের ক্ষমতা ও শক্তিতে বিশ^াসী বলেও দাবি করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন নাছিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজম্মেল হক, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক, মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন, সাবেক এমপি মকবুল হোসেন ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ইব্রাহিম শাহীন।

এর আগে সকাল ৬টায় জেলা প্রশাসনের পক্ষে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। দুই পর্বের অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে সকাল সাড়ে ৯টায় স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। পরে শেখ হাসিনা মঞ্চের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এসময় পুলিশ, বিজিবি, আনছার সদস্যদের গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী। অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, গালর্স গাইড, বিএনসিসি কুজকাওয়াজ প্রদর্শন করে।

এই স্থানে বাংলাদেশ আনছার বাহিনী অর্কেস্টা দলের গীতিনাট্য জল, মাটি ও মানুষ প্রদর্শন করা হয়। যেখানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস এবং পর্যায়ক্রমে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেভাবে বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছে তা অধিনয়ের মাধ্যমে তুলে ধরেন আনছার আর্কেস্টা দলের শিল্পীরা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে

আপলোড টাইম : ১১:০৮:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদক:

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর মধ্যদিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যথাযথ মর্যাদায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল রোববার (১৭ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলা এবং উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়।

চুয়াডাঙ্গা:

চুয়াডাঙ্গায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এই দিবসের তাৎপর্য ও গুরুত্ব অনেক বেশি। দিবসটির সাথে চুয়াডাঙ্গা জেলার অগ্রণী ভূমিকা ছিল। উন্নত বাংলাদেশ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার জাগ্রত হতে হবে। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান করে বলেন, তোমাদের সঠিক মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে হবে ও সঠিক মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নিজেদের গঠন করতে হবে।

সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) আবু তারেক, জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান, পৌর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আবু রাশেদ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দার টোটন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, জেলা রোভারের সম্পাদক ও চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো. জাহিদুল হাসান, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাজহারুল ইসলামসহ জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।

দামুড়হুদা:

দামুড়হুদায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষে গতকাল সকাল ১০টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পরিষদের সম্মেলনকক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ১৭ই এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের আলোচনা সভাটির সভাপতিত্ব করেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোকসানা মিতা। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস, উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুজ্জামান, সমাজসেবা অফিসার তোফাজ্জল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (অপারেশন) শফিউল আলম, উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফয়জুল ইসলামসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।

মুজিবনগর:

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ বলেছেন, আগামী জানুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন। তাই এখনই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে শত্রুদের এখনই মোকাবিলা করতে হবে। গতকাল সোমবার দুপুরে মেহেরপুরের ঐতিহাসিক মুজিবনগর আম্রকাননে মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। আপনি চেয়ারে আছেন বলে মনোনয়ন পাবেন, এমন না। দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, দুশো বছর আগের নবাব সিরাজ উদ্দৌলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ষড়যন্ত্র একই সূত্রে গাঁথা। আবারও চারদিকে সেই গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এ কারণে দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে সব ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশে বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে। এই দলকে হুমকি-ধামকি দিয়ে কোনো লাভ হবে না। আমরা একাত্তরে আল-বদর রাজাকারদের পরাস্ত করেছি। প্রয়োজন হলে আবার তাদের পরাজিত করা হবে। মাহবুবুল আলম হানিফ আরও বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। তিনি ছিলেন পাকিস্তানি এজেন্ট। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কারো অবদান রাখার সুযোগ নেই।

সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যাদের নির্বাচন করার সক্ষমতা আছে, তারাই শুধু নির্বাচনে আসবে। নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রমাণ করবে জনগণ কাকে চায়, আর কাকে চায় না। রাজপথে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিয়ে জনগণ তার পক্ষে আছে এটা বলার কোনো সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগ জনগণের ক্ষমতা ও শক্তিতে বিশ^াসী বলেও দাবি করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন নাছিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজম্মেল হক, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক, মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন, সাবেক এমপি মকবুল হোসেন ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ইব্রাহিম শাহীন।

এর আগে সকাল ৬টায় জেলা প্রশাসনের পক্ষে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। দুই পর্বের অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে সকাল সাড়ে ৯টায় স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। পরে শেখ হাসিনা মঞ্চের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এসময় পুলিশ, বিজিবি, আনছার সদস্যদের গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী। অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, গালর্স গাইড, বিএনসিসি কুজকাওয়াজ প্রদর্শন করে।

এই স্থানে বাংলাদেশ আনছার বাহিনী অর্কেস্টা দলের গীতিনাট্য জল, মাটি ও মানুষ প্রদর্শন করা হয়। যেখানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস এবং পর্যায়ক্রমে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেভাবে বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছে তা অধিনয়ের মাধ্যমে তুলে ধরেন আনছার আর্কেস্টা দলের শিল্পীরা।