ইপেপার । আজ শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হরিণাকুণ্ডুতে রবিউল হত্যা মামলায় ৩ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৫১:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩
  • / ১৫ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার জোড়াপুকুরিয়া গ্রামের রবিউল হত্যা মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃৃতরা হলেন- পৌর ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও উপজেলার মাদ্রাসা পাড়ার আজিজুর রহমানের ছেলে নাইম (১৯), পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পার্বতীপুর গ্রামের হেলাল ওরফে হেলার ছেলে হুসাইন (২১) এবং কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিরামপুর গ্রামের মসলেম উদ্দিনের ছেলে রানা (২২)।

রবিউলের বাবা মিনহাজ উদ্দীন বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে হরিণাকুণ্ডু থানায় মামলা করলে পুলিশ এ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। মিনহাজ উদ্দীন এজাহারে উল্লেখ করেন, ‘পূর্বশত্রুতার জেরে আমার ছেলে রবিউলকে প্রকাশ্যে আসামিরা খুন করেছে। এই খুনের সঙ্গে হরিণাকু-ু পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি জোড়াপুকুরিয়া গ্রামের আক্কাচ আলীর ছেলে পলাশ, বাকের আলীর ছেলে রাশেদ, মিয়াজুলের ছেলে শিমুল, আমোদ আলীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম ওরফে টুলু, তার ভাই শিলু, টানু, তাইজুদ্দীন মন্ডলের ছেলে খবির উদ্দিন, মাছেম আলী, আব্দুস সাত্তারের ছেলে আক্তার হোসেন, আলফাজের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক, মহি শেখের ছেলে হাসেম শেখ, মকছেদ আলীর ছেলে বাবর আলী, পারদখলপুর গ্রামের মন্টুর ছেলে আবির, মাদ্রাসাপাড়ার আজিজুর রহমানের ছেলে নাইম, পাবর্তীপুর গ্রামের হেলাল উদ্দীনের ছেলে হুসাইন ও বিরামপুর গ্রামের মসলেম উদ্দীনের ছেলে রানাসহ অজ্ঞাতনামা ৭ থেকে ৮ জন জড়িত আছে।’

উল্লেখ্য, গত শনিবার আসরের নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় রবিউল ইসলামকে কুপিয়ে আহত করা হয়। রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় হরিণাকুণ্ডু পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি পলাশসহ পাঁচজনের বাড়িতে আগুন দেয় প্রতিপক্ষরা। রবিউল ইসলাম হরিণাকুণ্ডু পৌরসভার জোড়াপুকুরিয়া গ্রামের মিনহাজ উদ্দীনের ছেলে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে রানা ও নাইম জড়িত নয় বলে তাদের পরিবার দাবি করেছে।

পুলিশ বলছে, গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের আক্কাচ আলী ও সাইফুল কমিশনারের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এর জেরে গত শুক্রবার বিকেলে রবিউলের ওপর হামলা করে প্রতিপক্ষরা।

এ বিষয়ে হরিণাকুণ্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আক্তারুজ্জামান লিটন বলেন, পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি আসামিদের ধরতে চেষ্টা চলছে। তবে এ হত্যাকা-ের সঙ্গে রানা ও নাইম কোনোভাবেই জড়িত নয় বলে তাদের পরিবার দাবি করেছেন। এদিকে, নিহত রবিউল ইসলামের ভাই মিনহাজ উদ্দীন বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে হরিণাকুণ্ডু থানায় মামলা করেছেন। মামলায় আরো ৭-৮ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা আসামি হয়েছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

হরিণাকুণ্ডুতে রবিউল হত্যা মামলায় ৩ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

আপলোড টাইম : ০৪:৫১:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩

ঝিনাইদহ অফিস:

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার জোড়াপুকুরিয়া গ্রামের রবিউল হত্যা মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃৃতরা হলেন- পৌর ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও উপজেলার মাদ্রাসা পাড়ার আজিজুর রহমানের ছেলে নাইম (১৯), পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পার্বতীপুর গ্রামের হেলাল ওরফে হেলার ছেলে হুসাইন (২১) এবং কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিরামপুর গ্রামের মসলেম উদ্দিনের ছেলে রানা (২২)।

রবিউলের বাবা মিনহাজ উদ্দীন বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে হরিণাকুণ্ডু থানায় মামলা করলে পুলিশ এ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। মিনহাজ উদ্দীন এজাহারে উল্লেখ করেন, ‘পূর্বশত্রুতার জেরে আমার ছেলে রবিউলকে প্রকাশ্যে আসামিরা খুন করেছে। এই খুনের সঙ্গে হরিণাকু-ু পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি জোড়াপুকুরিয়া গ্রামের আক্কাচ আলীর ছেলে পলাশ, বাকের আলীর ছেলে রাশেদ, মিয়াজুলের ছেলে শিমুল, আমোদ আলীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম ওরফে টুলু, তার ভাই শিলু, টানু, তাইজুদ্দীন মন্ডলের ছেলে খবির উদ্দিন, মাছেম আলী, আব্দুস সাত্তারের ছেলে আক্তার হোসেন, আলফাজের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক, মহি শেখের ছেলে হাসেম শেখ, মকছেদ আলীর ছেলে বাবর আলী, পারদখলপুর গ্রামের মন্টুর ছেলে আবির, মাদ্রাসাপাড়ার আজিজুর রহমানের ছেলে নাইম, পাবর্তীপুর গ্রামের হেলাল উদ্দীনের ছেলে হুসাইন ও বিরামপুর গ্রামের মসলেম উদ্দীনের ছেলে রানাসহ অজ্ঞাতনামা ৭ থেকে ৮ জন জড়িত আছে।’

উল্লেখ্য, গত শনিবার আসরের নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় রবিউল ইসলামকে কুপিয়ে আহত করা হয়। রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় হরিণাকুণ্ডু পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি পলাশসহ পাঁচজনের বাড়িতে আগুন দেয় প্রতিপক্ষরা। রবিউল ইসলাম হরিণাকুণ্ডু পৌরসভার জোড়াপুকুরিয়া গ্রামের মিনহাজ উদ্দীনের ছেলে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে রানা ও নাইম জড়িত নয় বলে তাদের পরিবার দাবি করেছে।

পুলিশ বলছে, গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের আক্কাচ আলী ও সাইফুল কমিশনারের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এর জেরে গত শুক্রবার বিকেলে রবিউলের ওপর হামলা করে প্রতিপক্ষরা।

এ বিষয়ে হরিণাকুণ্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আক্তারুজ্জামান লিটন বলেন, পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি আসামিদের ধরতে চেষ্টা চলছে। তবে এ হত্যাকা-ের সঙ্গে রানা ও নাইম কোনোভাবেই জড়িত নয় বলে তাদের পরিবার দাবি করেছেন। এদিকে, নিহত রবিউল ইসলামের ভাই মিনহাজ উদ্দীন বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে হরিণাকুণ্ডু থানায় মামলা করেছেন। মামলায় আরো ৭-৮ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা আসামি হয়েছেন।