ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চালু হলো বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:২৪:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩
  • / ২০ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:

ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবার উদ্বোধন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সেবার উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এসময় স্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী পরিচালক ডা. শামসাদ রাব্বী খান, ঝিনাইদহ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সৈয়দ রেজাউল ইসলাম ও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মিথিলা ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনের পর অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ ডা. মনিরুল ইসলাম, শিশু চিকিৎসক আনোয়ারুল ইসলাম ও ডেন্টাল চিকিৎসক মেহেদী মাসুম সরকার নির্ধারিত ফি পরিশোধ করে রোগী দেখেন। আগামী শনিবার থেকে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা পুরোদমে শুরু হবে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সৈয়দ রেজাউল ইসলাম জানান, খুলনা বিভাগে জেলা পর্যায়ে একমাত্র ঝিনাইদহ জেনারেল হাসপাতালকে নির্বাচিত করা হয়েছে। শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য চিকিৎসকদের একটি তালিকা করা হয়েছে। সে মোতাবেক রোগীরা সিনিয়র কনসালট্যান্টকে ৪০০ টাকা, জুনিয়ার কনসালট্যান্টকে ৩০০ টাকা এবং মেডিকেল অফিসারকে ২০০ টাকা দিয়ে ব্যবস্থাপত্র নিতে পারবে। এছাড়া পরীক্ষা-নিরীক্ষারও ব্যবস্থা থাকবে হাসপাতালে।

সরেজমিনে দেখা যায়, গতকাল ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের অর্থো সার্জারি চিকিৎসকের কাছে পাঁচজন রোগী ৩০০ টাকা পরিশোধ করে সেবা নেন। এর মধ্যে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের আঁখি বেগম (৫০) এসেছিলেন বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা নিতে। তিনি চিকিৎসা নিয়ে জানান, ‘সুন্দর পরিবেশে ডাক্তার আমার কথা শুনে ব্যবস্থাপত্র দিয়েছেন। এমন ব্যবস্থা চালু থাকলে রোগীরা উপকৃত হবে।’ হরিণাকুণ্ডু উপজেলা থেকে ছকিনা বেগম (৫২) ও সদর উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া থেকে রাজেদা খাতুন এসে সরকার নির্ধারিত ফি পরিশোধ করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছ থেকে ব্যবস্থাপত্র নেন। সার্জারি চিকিৎসক আব্দুল্লাহিল কাফির চেম্বারে একজন রোগী চিকিৎসা নেন।

জানা গেছে, দেশের সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা হাসপাতালে ডিউটি শেষে সেখানেই প্রাইভেট প্র্যাকটিসের সুবিধা পাবেন। হাসপাতালে চিকিৎসকেরা সাধারণত রোগী দেখেন সকাল ৮টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত। এরপর বেশিরভাগ চিকিৎসক বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক বা ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখেন। তবে এখন থেকে চিকিৎসকেরা বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই প্রাইভেট প্র্যাকটিসের সুযোগ পাবেন। এতে রোগীদের খরচ কমবে। আর সরকারি চিকিৎসকেরা ধীরে ধীরে বাইরে প্রাইভেট প্রাকটিসে নিরুৎসাহিত হবেন বলে সরকার আশা করছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চালু হলো বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম

আপলোড টাইম : ০৫:২৪:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩

ঝিনাইদহ অফিস:

ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবার উদ্বোধন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সেবার উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এসময় স্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী পরিচালক ডা. শামসাদ রাব্বী খান, ঝিনাইদহ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সৈয়দ রেজাউল ইসলাম ও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মিথিলা ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনের পর অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ ডা. মনিরুল ইসলাম, শিশু চিকিৎসক আনোয়ারুল ইসলাম ও ডেন্টাল চিকিৎসক মেহেদী মাসুম সরকার নির্ধারিত ফি পরিশোধ করে রোগী দেখেন। আগামী শনিবার থেকে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা পুরোদমে শুরু হবে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সৈয়দ রেজাউল ইসলাম জানান, খুলনা বিভাগে জেলা পর্যায়ে একমাত্র ঝিনাইদহ জেনারেল হাসপাতালকে নির্বাচিত করা হয়েছে। শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য চিকিৎসকদের একটি তালিকা করা হয়েছে। সে মোতাবেক রোগীরা সিনিয়র কনসালট্যান্টকে ৪০০ টাকা, জুনিয়ার কনসালট্যান্টকে ৩০০ টাকা এবং মেডিকেল অফিসারকে ২০০ টাকা দিয়ে ব্যবস্থাপত্র নিতে পারবে। এছাড়া পরীক্ষা-নিরীক্ষারও ব্যবস্থা থাকবে হাসপাতালে।

সরেজমিনে দেখা যায়, গতকাল ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের অর্থো সার্জারি চিকিৎসকের কাছে পাঁচজন রোগী ৩০০ টাকা পরিশোধ করে সেবা নেন। এর মধ্যে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের আঁখি বেগম (৫০) এসেছিলেন বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা নিতে। তিনি চিকিৎসা নিয়ে জানান, ‘সুন্দর পরিবেশে ডাক্তার আমার কথা শুনে ব্যবস্থাপত্র দিয়েছেন। এমন ব্যবস্থা চালু থাকলে রোগীরা উপকৃত হবে।’ হরিণাকুণ্ডু উপজেলা থেকে ছকিনা বেগম (৫২) ও সদর উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া থেকে রাজেদা খাতুন এসে সরকার নির্ধারিত ফি পরিশোধ করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছ থেকে ব্যবস্থাপত্র নেন। সার্জারি চিকিৎসক আব্দুল্লাহিল কাফির চেম্বারে একজন রোগী চিকিৎসা নেন।

জানা গেছে, দেশের সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা হাসপাতালে ডিউটি শেষে সেখানেই প্রাইভেট প্র্যাকটিসের সুবিধা পাবেন। হাসপাতালে চিকিৎসকেরা সাধারণত রোগী দেখেন সকাল ৮টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত। এরপর বেশিরভাগ চিকিৎসক বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক বা ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখেন। তবে এখন থেকে চিকিৎসকেরা বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই প্রাইভেট প্র্যাকটিসের সুযোগ পাবেন। এতে রোগীদের খরচ কমবে। আর সরকারি চিকিৎসকেরা ধীরে ধীরে বাইরে প্রাইভেট প্রাকটিসে নিরুৎসাহিত হবেন বলে সরকার আশা করছে।