ইপেপার । আজ শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রতিবন্ধী ভাতায় চলে সংসার, চিকিৎসায় সহযোগিতার আহ্বান

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:৫৬:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩
  • / ২৫ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:

মেহেরপুরের গাংনীতে বৃদ্ধা নানী মমতাজ বেগমের বয়স্ক ভাতা আর প্রতিবন্ধী মুসলিমা খাতুনের প্রতিবন্ধী ভাতায় কোনোরকমে চলে সংসার। কিন্তু প্রতিবন্ধী মুসলিমা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে বিপাকে পড়েছে বৃদ্ধা নানী। মুসলিমার ভাই গরীব ও অসহায় সেলিম রেজা প্রতিবন্ধী বোনের চিকিৎসা সেবার জন্য কষ্টার্জিত সকল অর্থ শেষ করে নিজের সংসার চালাতেও হিমশিম খাচ্ছেন। এমতবস্থায় তিনি প্রতিবন্ধী মুসলিমার চিকিৎসার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

জানা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া এলাকার ছাকারউদ্দীন ও বিলকিস রাবেয়ার বড় মেয়ে মুসলিমা। ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ও দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে মা-বাবা দুজনেই দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে চিরবিদায় নেন। এরপর থেকেই মুসলিমাকে দেখাশোনার কেউ না থাকায় ও মুসলিমা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হওয়ায় দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের শিমুলতলা গ্রামের হাজীপাড়ায় মৃত আলফাজ উদ্দীনের স্ত্রী নানী মমতাজ বেগমের বাড়িতে বসবাস করেন মুসলিমা। যিনি বর্তমানে শিমুলতলা গ্রামের ভোটার। বৃদ্ধা নানীর বয়স্ক ভাতা, মুসলিমার প্রতিবন্ধী ভাতা আর তার ভাই সেলিম রেজার সহযোগিতায় কোনোরকমে দিনাতিপাত করলেও সম্প্রতি প্রতিবন্ধী মুসলিমা অসুস্থ হলে বিপাকে পড়েছে বৃদ্ধা নানী ও সেলিম রেজা।

মুসলিমার কোমরের হাড় বৃদ্ধি পাওয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত তিনি। গত ১৪ মার্চ থেকে অসুস্থ থাকায় মুসলিমার চিৎকারে প্রতিবেশীদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। অবশেষে উপায় না পেয়ে বোনকে বাঁচাতে ভাই সেলিম বিভিন্নজনের কাছ থেকে ধার-দেনা করে প্রথমে গাংনী উপজেলা হেলথ্ কমপ্লেক্স পরে আলমডাঙ্গার হারদী হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার জন্য নিয়ে যায়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয় মুসলিমাকে। মুসলিমাকে দেখা শোনার লোকজন না থাকায় আবারও ধারদেনা করে কুষ্টিয়া সনোতে চিকিৎসা সেবা নিয়ে শিমুলতলা ফেরেন মুসলিমা।

চিকিৎসক বলেছেন প্রতিবন্ধী মুসলিমার কোমরের হাড় অপারেশনসহ পেটের যন্ত্রণা এবং শরীরের জ্বালাপোড়া নিরাময়ে প্রায় ২ লাখ টাকার প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু ভাই সেলিমের সামর্থ্য নেই বোনের চিকিৎসা করানোর। গত কয়েকদিনে বোনের চিকিৎসা করাতে নিজের সকল অর্থসহ ধার-দেনা করে পথে বসার উপক্রম হয়েছেন তিনি। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন বোনের উন্নত চিকিৎসার জন্য। কিন্তু উপায় নেই কারণ এমন কেউ নেই যার কাছে আবারও ধার-দেনা করে বোনের চিকিৎসা খরচের টাকার যোগান দেবে।

ভাই সেলিম রেজা প্রতিনিধিকে কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার সকল কিছু শেষ করে চিকিৎসা করিয়েছি বোনের। এখন আর অর্থের অভাবে সম্ভব হচ্ছে না। বোনের কান্নাও সহ্য করতে পারছি না। এমতবস্থায় সেলিম তার বোন প্রতিবন্ধী মুসলিমার চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবান, এলাকার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, প্রবাসী ও গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাহায্য কামনা করেছেন। প্রয়োজনে সেলিমের সঙ্গে যোগাযোগ ও আর্থিক সহযোগিতার জন্য মোবাইল ও বিকাশ নম্বর: ০১৭২৫৭৩১৮৩৬।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

প্রতিবন্ধী ভাতায় চলে সংসার, চিকিৎসায় সহযোগিতার আহ্বান

আপলোড টাইম : ০৭:৫৬:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদক:

মেহেরপুরের গাংনীতে বৃদ্ধা নানী মমতাজ বেগমের বয়স্ক ভাতা আর প্রতিবন্ধী মুসলিমা খাতুনের প্রতিবন্ধী ভাতায় কোনোরকমে চলে সংসার। কিন্তু প্রতিবন্ধী মুসলিমা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে বিপাকে পড়েছে বৃদ্ধা নানী। মুসলিমার ভাই গরীব ও অসহায় সেলিম রেজা প্রতিবন্ধী বোনের চিকিৎসা সেবার জন্য কষ্টার্জিত সকল অর্থ শেষ করে নিজের সংসার চালাতেও হিমশিম খাচ্ছেন। এমতবস্থায় তিনি প্রতিবন্ধী মুসলিমার চিকিৎসার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

জানা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া এলাকার ছাকারউদ্দীন ও বিলকিস রাবেয়ার বড় মেয়ে মুসলিমা। ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ও দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে মা-বাবা দুজনেই দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে চিরবিদায় নেন। এরপর থেকেই মুসলিমাকে দেখাশোনার কেউ না থাকায় ও মুসলিমা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হওয়ায় দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের শিমুলতলা গ্রামের হাজীপাড়ায় মৃত আলফাজ উদ্দীনের স্ত্রী নানী মমতাজ বেগমের বাড়িতে বসবাস করেন মুসলিমা। যিনি বর্তমানে শিমুলতলা গ্রামের ভোটার। বৃদ্ধা নানীর বয়স্ক ভাতা, মুসলিমার প্রতিবন্ধী ভাতা আর তার ভাই সেলিম রেজার সহযোগিতায় কোনোরকমে দিনাতিপাত করলেও সম্প্রতি প্রতিবন্ধী মুসলিমা অসুস্থ হলে বিপাকে পড়েছে বৃদ্ধা নানী ও সেলিম রেজা।

মুসলিমার কোমরের হাড় বৃদ্ধি পাওয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত তিনি। গত ১৪ মার্চ থেকে অসুস্থ থাকায় মুসলিমার চিৎকারে প্রতিবেশীদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। অবশেষে উপায় না পেয়ে বোনকে বাঁচাতে ভাই সেলিম বিভিন্নজনের কাছ থেকে ধার-দেনা করে প্রথমে গাংনী উপজেলা হেলথ্ কমপ্লেক্স পরে আলমডাঙ্গার হারদী হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার জন্য নিয়ে যায়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয় মুসলিমাকে। মুসলিমাকে দেখা শোনার লোকজন না থাকায় আবারও ধারদেনা করে কুষ্টিয়া সনোতে চিকিৎসা সেবা নিয়ে শিমুলতলা ফেরেন মুসলিমা।

চিকিৎসক বলেছেন প্রতিবন্ধী মুসলিমার কোমরের হাড় অপারেশনসহ পেটের যন্ত্রণা এবং শরীরের জ্বালাপোড়া নিরাময়ে প্রায় ২ লাখ টাকার প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু ভাই সেলিমের সামর্থ্য নেই বোনের চিকিৎসা করানোর। গত কয়েকদিনে বোনের চিকিৎসা করাতে নিজের সকল অর্থসহ ধার-দেনা করে পথে বসার উপক্রম হয়েছেন তিনি। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন বোনের উন্নত চিকিৎসার জন্য। কিন্তু উপায় নেই কারণ এমন কেউ নেই যার কাছে আবারও ধার-দেনা করে বোনের চিকিৎসা খরচের টাকার যোগান দেবে।

ভাই সেলিম রেজা প্রতিনিধিকে কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার সকল কিছু শেষ করে চিকিৎসা করিয়েছি বোনের। এখন আর অর্থের অভাবে সম্ভব হচ্ছে না। বোনের কান্নাও সহ্য করতে পারছি না। এমতবস্থায় সেলিম তার বোন প্রতিবন্ধী মুসলিমার চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবান, এলাকার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, প্রবাসী ও গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাহায্য কামনা করেছেন। প্রয়োজনে সেলিমের সঙ্গে যোগাযোগ ও আর্থিক সহযোগিতার জন্য মোবাইল ও বিকাশ নম্বর: ০১৭২৫৭৩১৮৩৬।