ইপেপার । আজ শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাহিদা মতো সবজি না কিনেই বাড়ি ফিরছেন ক্রেতারা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৮:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩
  • / ৩৭ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:

মেহেরপুরে বেগুন, শসাসহ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। বেড়েছে লেবু ও পেঁয়াজের দামও। ফলে রমজানের আগে দিন বাজার করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। দাম বেশি থাকায় চাহিদা মতো সবজি না কিনেই ফিরে যাচ্ছেন অনেকে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে মেহেরপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমনটা জানা যায়। মেহেরপুর বড় বাজারে পাইকারি প্রতি কেজি বেগুন ৫৫ টাকা বিক্রি করছেন কৃষকরা। সেই বেগুন খুচরা বাজারে ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা। একইভাবে পাইকারি বাজারে শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। আর খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি শসা ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা।

এ বিষয়ে বিক্রেতা বিপ্লব হোসেন বলেন, বাজারে শসার অনেক চাহিদা থাকায় দাম বেশি। অন্যদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে পেঁয়াজ ও আদার দাম। বাজারে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৮০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ১২০-১৩০ টাকার মধ্যে ছিল। এছাড়া ২০-২৫ টাকার মধ্যে থাকা পেঁয়াজ এখন ৩০-৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আদা-পেঁয়াজের দাম বাড়ার বিষয়ে মেহেরপুর বড় বাজারের পাইকারি বিক্রেতা আব্দুস সামাদ বলেন, চীনে আদার দাম বেড়েছে। সরবরাহ কম আছে পেঁয়াজের। তাই দামও বেশি রাখতে হচ্ছে। অন্যদিকে মেহেরপুরে দেড়মাস ধরে চালের বাজার স্থির আছে। তবে সেটা স্বস্তি দেওয়ার মতো না। মোটা বা স্বর্ণ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৪-৪৬ টাকা কেজি, আটাশ ৫৬-৫৮, মিনিকেট ৬৫-৬৮, বাসমতি ৮০-৮৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে সবজির ভরপুর সরবরাহ আছ। এরপরও দাম বেশি। শিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০ টাকা, সজনে ডাটা ১০০, উস্তে ১০০ টাকা। তবে আলুর দাম ১৬-২০ টাকা। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজিতে। অপরদিকে ব্রয়লার মুরগী বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা কেজি। একইভাবে সোনালি মুরগী ৩৫০ ও লেয়ার মুরগী ৩২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা জানান, দাম অনেক বেশি। ফলে চাহিদা মতো বাজার কিনতে পারছেন না তারা। এভাবে দাম বাড়তি থাকলে না খেয়ে থাকতে হবে তাদের।

ব্যবসায়ী হাফিজুল বলেন, বাজারে মুরগীর ব্যাপক চাহিদা। কিন্তু সরবরাহ কম। পাশাপাশি মুরগীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পণ্যের দাম বাড়তি। ফলে মুরগী বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এছাড়া মাছের বাজার আগুন। ১৭০ টাকার নিচে কোনো মাছ নেই। বাড়তি দামের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা জিবরাইল হোসেন বলেন, রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যারা বেশি দামে পণ্য বিক্রি করবে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চাহিদা মতো সবজি না কিনেই বাড়ি ফিরছেন ক্রেতারা

আপলোড টাইম : ০৯:১৮:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদন:

মেহেরপুরে বেগুন, শসাসহ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। বেড়েছে লেবু ও পেঁয়াজের দামও। ফলে রমজানের আগে দিন বাজার করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। দাম বেশি থাকায় চাহিদা মতো সবজি না কিনেই ফিরে যাচ্ছেন অনেকে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে মেহেরপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমনটা জানা যায়। মেহেরপুর বড় বাজারে পাইকারি প্রতি কেজি বেগুন ৫৫ টাকা বিক্রি করছেন কৃষকরা। সেই বেগুন খুচরা বাজারে ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা। একইভাবে পাইকারি বাজারে শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। আর খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি শসা ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা।

এ বিষয়ে বিক্রেতা বিপ্লব হোসেন বলেন, বাজারে শসার অনেক চাহিদা থাকায় দাম বেশি। অন্যদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে পেঁয়াজ ও আদার দাম। বাজারে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৮০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ১২০-১৩০ টাকার মধ্যে ছিল। এছাড়া ২০-২৫ টাকার মধ্যে থাকা পেঁয়াজ এখন ৩০-৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আদা-পেঁয়াজের দাম বাড়ার বিষয়ে মেহেরপুর বড় বাজারের পাইকারি বিক্রেতা আব্দুস সামাদ বলেন, চীনে আদার দাম বেড়েছে। সরবরাহ কম আছে পেঁয়াজের। তাই দামও বেশি রাখতে হচ্ছে। অন্যদিকে মেহেরপুরে দেড়মাস ধরে চালের বাজার স্থির আছে। তবে সেটা স্বস্তি দেওয়ার মতো না। মোটা বা স্বর্ণ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৪-৪৬ টাকা কেজি, আটাশ ৫৬-৫৮, মিনিকেট ৬৫-৬৮, বাসমতি ৮০-৮৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে সবজির ভরপুর সরবরাহ আছ। এরপরও দাম বেশি। শিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০ টাকা, সজনে ডাটা ১০০, উস্তে ১০০ টাকা। তবে আলুর দাম ১৬-২০ টাকা। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজিতে। অপরদিকে ব্রয়লার মুরগী বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা কেজি। একইভাবে সোনালি মুরগী ৩৫০ ও লেয়ার মুরগী ৩২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা জানান, দাম অনেক বেশি। ফলে চাহিদা মতো বাজার কিনতে পারছেন না তারা। এভাবে দাম বাড়তি থাকলে না খেয়ে থাকতে হবে তাদের।

ব্যবসায়ী হাফিজুল বলেন, বাজারে মুরগীর ব্যাপক চাহিদা। কিন্তু সরবরাহ কম। পাশাপাশি মুরগীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পণ্যের দাম বাড়তি। ফলে মুরগী বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এছাড়া মাছের বাজার আগুন। ১৭০ টাকার নিচে কোনো মাছ নেই। বাড়তি দামের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা জিবরাইল হোসেন বলেন, রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যারা বেশি দামে পণ্য বিক্রি করবে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।