ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দর্শনা পৌরসভায় জালিয়াতির করে এডিবি ও বিশেষ বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:১২:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩
  • / ৩০ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:

ঠিকাদারের নামে চেক ইস্যু করে জালিয়াতির মাধ্যমে এডিবি ও বিশেষ বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দর্শনা পৌরসভার ক্যাশিয়ার সৈয়দ মো. রুমি আলম ও সাবেক উপ-সহকারী প্রকৌশলী এস এম আব্দুস সামাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ঝিনাইদহ দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক মো. বজলুর রহমান বাদী হয়ে গতকাল বুধবার দুপুরে এ মামলা করেন। মামলার আসামি ক্যাশিয়ার সৈয়দ মো. রুমি আলম চুয়াডাঙ্গার দর্শনা পৌর এলাকার ইসলামপাড়ার সৈয়দ কামরুল আলমের ছেলে। আর সাবেক উপ-সহকারী প্রকৌশলী এস এম আব্দুস সামাদ চুয়াডাঙ্গার বুজরুকগড়গড়ি এলাকার সিঅ্যান্ডবিপাড়ার এস এম আব্দুল হামিদের ছেলে। তিনি বর্তমানে মুন্সিগঞ্জের মীরকাদিম পৌরসভায় কর্মরত আছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে দর্শনা পৌরসভা এলাকার চারটি রাস্তা সংস্কারের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। দাখিলকৃত দরপত্রের মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে দর্শনার দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের মেসার্স জয়নাল আবেদীন ও কলেজপাড়ার নাজমুল হুদাকে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। দরপত্রে দুটি রাস্তা এলজিইডির আইডিভুক্ত ছিল। ঠিকাদাররা কাজ না করেও প্রকল্প দুটির বাস্তবায়ন দেখিয়ে ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে চারটি চেকের মাধ্যমে ১৭ লাখ ৫২ হাজার টাকা তুলে নেন। ফলে পরস্পর যোগসাজসে অসৎ উদ্দেশ্যে জালিয়াতি, প্রতারণা, বিশ^াসভঙ্গ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করায় তাদের বিরুদ্ধে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা করা হয়।

দুর্নীতি দমন কমিশনের ঝিনাইদহ জেলা সমন্বিত অফিসের সহকারী পরিচালক মো. বজলুর রহমান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সরেজমিনে তদন্ত ও দপ্তরের কাগজপত্রে জালিয়াতির তথ্য মিলেছে। তারা এডিবি সাধারণ ও বিশেষ বরাদ্দের (জিওবি) টাকা আত্মসাৎ করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে প্রতিয়মান হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দর্শনা পৌরসভায় জালিয়াতির করে এডিবি ও বিশেষ বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ

আপলোড টাইম : ০৮:১২:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩

ঝিনাইদহ অফিস:

ঠিকাদারের নামে চেক ইস্যু করে জালিয়াতির মাধ্যমে এডিবি ও বিশেষ বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দর্শনা পৌরসভার ক্যাশিয়ার সৈয়দ মো. রুমি আলম ও সাবেক উপ-সহকারী প্রকৌশলী এস এম আব্দুস সামাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ঝিনাইদহ দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক মো. বজলুর রহমান বাদী হয়ে গতকাল বুধবার দুপুরে এ মামলা করেন। মামলার আসামি ক্যাশিয়ার সৈয়দ মো. রুমি আলম চুয়াডাঙ্গার দর্শনা পৌর এলাকার ইসলামপাড়ার সৈয়দ কামরুল আলমের ছেলে। আর সাবেক উপ-সহকারী প্রকৌশলী এস এম আব্দুস সামাদ চুয়াডাঙ্গার বুজরুকগড়গড়ি এলাকার সিঅ্যান্ডবিপাড়ার এস এম আব্দুল হামিদের ছেলে। তিনি বর্তমানে মুন্সিগঞ্জের মীরকাদিম পৌরসভায় কর্মরত আছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে দর্শনা পৌরসভা এলাকার চারটি রাস্তা সংস্কারের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। দাখিলকৃত দরপত্রের মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে দর্শনার দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের মেসার্স জয়নাল আবেদীন ও কলেজপাড়ার নাজমুল হুদাকে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। দরপত্রে দুটি রাস্তা এলজিইডির আইডিভুক্ত ছিল। ঠিকাদাররা কাজ না করেও প্রকল্প দুটির বাস্তবায়ন দেখিয়ে ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে চারটি চেকের মাধ্যমে ১৭ লাখ ৫২ হাজার টাকা তুলে নেন। ফলে পরস্পর যোগসাজসে অসৎ উদ্দেশ্যে জালিয়াতি, প্রতারণা, বিশ^াসভঙ্গ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করায় তাদের বিরুদ্ধে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা করা হয়।

দুর্নীতি দমন কমিশনের ঝিনাইদহ জেলা সমন্বিত অফিসের সহকারী পরিচালক মো. বজলুর রহমান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সরেজমিনে তদন্ত ও দপ্তরের কাগজপত্রে জালিয়াতির তথ্য মিলেছে। তারা এডিবি সাধারণ ও বিশেষ বরাদ্দের (জিওবি) টাকা আত্মসাৎ করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে প্রতিয়মান হয়।