ইপেপার । আজ শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেহেরপুরে গমের বাম্পার ফলনেও শঙ্কায় কৃষকরা!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:০৯:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩
  • / ২৩ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:

মেহেরপুরে গম চাষে বাম্পার ফলন হলেও বৃষ্টিবলয় জুঁই-২ এর প্রভাবে গত কয়েকদিনের ভারি বর্ষণে ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে মেহেরপুর জেলায় প্রায় ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা থেকে প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম উৎপাদন হতে পারে বলে আশা করছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। গম উৎপাদনে কৃষি প্রণোদনা সহায়তা হিসেবে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ বিতরণসহ সকল ধরনের পরামর্শ দিতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করেছেন কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তারা। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে থেমে থেমে হওয়া ভারি বর্ষণের কারণে স্থানীয় কৃষকরা গম সংগ্রহ ও দাম নিয়ে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।

গমচাষীরা জানান, বিভিন্ন মাঠে ইতঃমধ্যেই গম কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ শুরু হয়ে গেছে। ঠিক এমন মুহূর্তে ভারি বর্ষণ ও দমকা বাতাসে অনেক খেতের গমের গাছ ভেঙে নুইয়ে পড়েছে। ভারি বর্ষণের কারণে গমের দানা চুপসে যেতে পারে। তাছাড়া গমের রঙ ফ্যাকাসে হয়ে যেতে পারে। এতে করে গম বিক্রিতে ব্যবসায়ীরা ন্যায্য মূল্যে গম ক্রয় করবে না।

গতকাল সোমবার সকাল থেকে বিকেল অবধি সরেজমিনে মেহেরপুর সদর, মুজিবনগর ও গাংনী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে গমচাষীদের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা জুঁই-২ এর প্রভাবে গমে ক্ষতির শঙ্কার কথা জানান। মুন্দা অলিনগর গ্রামের কৃষক হুমায়ুন আহমেদ বলেন, অন্যান্য গমের তেমন ক্ষতি না হলেও বারী-৩০ জাতের গমচাষীরা বেশি ক্ষতির মুখে পড়বে। কারণ বারী-৩০ জাতের প্রায় খেতের গমের গাছ কাচা এবং অধিকাংশই নুইয়ে পড়েছে। এতে ফলন কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শঙ্কর কুমার মজুমদার বলেন, ‘এ পর্যন্ত যে বর্ষণ হয়েছে, তাতে করে গমের তেমন একটা ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। তবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে গমের দানার রঙ নষ্ট হতে পারে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মেহেরপুরে গমের বাম্পার ফলনেও শঙ্কায় কৃষকরা!

আপলোড টাইম : ১১:০৯:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদক:

মেহেরপুরে গম চাষে বাম্পার ফলন হলেও বৃষ্টিবলয় জুঁই-২ এর প্রভাবে গত কয়েকদিনের ভারি বর্ষণে ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে মেহেরপুর জেলায় প্রায় ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা থেকে প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম উৎপাদন হতে পারে বলে আশা করছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। গম উৎপাদনে কৃষি প্রণোদনা সহায়তা হিসেবে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ বিতরণসহ সকল ধরনের পরামর্শ দিতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করেছেন কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তারা। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে থেমে থেমে হওয়া ভারি বর্ষণের কারণে স্থানীয় কৃষকরা গম সংগ্রহ ও দাম নিয়ে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।

গমচাষীরা জানান, বিভিন্ন মাঠে ইতঃমধ্যেই গম কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ শুরু হয়ে গেছে। ঠিক এমন মুহূর্তে ভারি বর্ষণ ও দমকা বাতাসে অনেক খেতের গমের গাছ ভেঙে নুইয়ে পড়েছে। ভারি বর্ষণের কারণে গমের দানা চুপসে যেতে পারে। তাছাড়া গমের রঙ ফ্যাকাসে হয়ে যেতে পারে। এতে করে গম বিক্রিতে ব্যবসায়ীরা ন্যায্য মূল্যে গম ক্রয় করবে না।

গতকাল সোমবার সকাল থেকে বিকেল অবধি সরেজমিনে মেহেরপুর সদর, মুজিবনগর ও গাংনী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে গমচাষীদের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা জুঁই-২ এর প্রভাবে গমে ক্ষতির শঙ্কার কথা জানান। মুন্দা অলিনগর গ্রামের কৃষক হুমায়ুন আহমেদ বলেন, অন্যান্য গমের তেমন ক্ষতি না হলেও বারী-৩০ জাতের গমচাষীরা বেশি ক্ষতির মুখে পড়বে। কারণ বারী-৩০ জাতের প্রায় খেতের গমের গাছ কাচা এবং অধিকাংশই নুইয়ে পড়েছে। এতে ফলন কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শঙ্কর কুমার মজুমদার বলেন, ‘এ পর্যন্ত যে বর্ষণ হয়েছে, তাতে করে গমের তেমন একটা ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। তবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে গমের দানার রঙ নষ্ট হতে পারে।’