ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাল সারাদেশের ৮৩৬টি ভূমি-গৃহহীন পরিবার পাবে জমির দলিল ও ঘর

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:০১:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩
  • / ৩২ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:

‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সব ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ দেওয়া কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আগামীকাল বুধবার (২২ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল সাড়ে ১০টায় চতুর্থ তৃতীয় পর্যায়ের অবশিষ্ট ৭৯টি ও চতুর্থ পর্যায়ের ৭৫৭টিসহ মোট ৮৩৬টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের হাতে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করবেন। এ লক্ষে সারাদেশের ন্যায় সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেস ব্রিফিং করেছে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন উপজেলা ও ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসন।

আলমডাঙ্গা:

আলমডাঙ্গায় চতুর্থ পর্যায়ে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধনের লক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল সোমবার উপজেলা পরিষদের হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রনি আলম নূর লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজন্ম স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়ে তোলা। যেখানে গরিব-দুঃখী, নিঃস্ব মানুষের মুখে থাকবে প্রশান্তির হাসি। এ লক্ষ্য পূরণে তিনি অণ্ন, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ জীবনধারণের মৌলিক উপকরণের ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণের বিষয়টি সংবিধানের ১৫(ক) অনুচ্ছেদে অন্তর্ভূক্ত করেন। এরই ধারাবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সাল হতে অসহায় ছিন্নমূল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করেন। তাঁর এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ১৯৯৭ সালে শুরু হয় আশ্রয়ণ প্রকল্প। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রজমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য জমিসহ ঘর প্রদান।’

আলমডাঙ্গা উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ৫০টি ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়। যার প্রতিটি ঘরের ব্যয় ছিল ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪৫টি ঘরের নির্মাণ করা হয়। যার প্রতিটি ঘরের ব্যয় হয় ১ লাখ ৯১ হাজার টাকা, তৃতীয় পর্যায়ে ৮০টি ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়। যার প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় হয় ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫ শ টাকা। এবং চতুর্থ পর্যায়ে ১৭টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৫ শ টাকা। তিন পর্যায়ে নির্মিত ঘর ইতঃপূর্বে উপকারভোগীদের মধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে। আগামী ২২ মার্চ চতুর্থ পর্যায়ের ঘরগুলো উপকারভোগীদের মধ্যে হস্তান্তর করা হবে। এবার উপজেলার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নে ১২টি, নাগদাহ ইউনিয়নে ৩টি ও বেলগাছি ইউনিয়নে ২টি ঘর উপকারভোগীদের মধ্যে হস্তান্তর করবে উপজেলা প্রশাসন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজোয়ানা নাহিদ, উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুদৌলা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হক, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম আজম, সাংবাদিক প্রশান্ত বিশ্বাস, ফিরোজ ইফতেখার, শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।

দামুড়হুদা:

দামুড়হুদায় ৪র্থ পর্যায়ে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল সোমবার বিকেল চারটায় দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সম্মেলনকক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোকসানা মিতা।

এসময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘দামুড়হুদা উপজেলার ‘ক’ শ্রেণির তালিকাভুক্ত ৩২৯ জনের তালিকা থেকে ১ম, ২য় ও ৩য় পর্যায়ে মোট ১২৩ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়। উক্ত তালিকা যাচাই-বাছাই এর মাধ্যমে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত নয়, যৌক্তিক কারণ ও ডকুমেন্টসহ এমন ২৬৮ জনের নাম বাদ দেওয়া হয় এবং আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৭১ জনকে নতুন করে ভূমিহীন ও গৃহহীন তালিকাভুক্ত করা হয়। ১ম, ২য় ও ৩য় পর্যায়ে পূর্বের তালিকা হতে ৬১ জন, নতুন তালিকায় ৬২ জনসহ মোট ১২৩ জন ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়। দামুড়হুদা উপজেলা পূর্বের ‘ক’ তালিকাভুক্ত আর কোনো ভূমিহীন পরিবার না থাকায় পরবর্তীতে বহুল প্রচারের মাধ্যমে ও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে অধিক খোঁজখবর নিয়ে ১৫টি ভূমিহীন পরিবারের আবেদন পাওয়া যায়। উক্ত ১৫টি ভূমিহীন পরিবারকে নতুন করে তালিকাভুক্ত করে পুনর্বাসন করা হয়েছে। চতুর্থ পর্যায়ে ১৫টিসহ সর্বমোট ১৩৮টি ভূমিহীন গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসনের মাধ্যমে ‘ক’ শ্রেণির পরিবারের পুনর্বাসন সমাপ্ত হয়েছে।’ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস, উপজেলা প্রশাসনের সিও ফয়জুল ইসলাম প্রমুখ।

জীবননগর:

জীবননগরে চতুর্থ পর্যায়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমি ও গৃহহীন ১১টি পরিবারকে উপহারের ঘর হস্তান্তর করবেন। এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন। জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রোকুনুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তিথি মিত্র, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, জীবননগর প্রেসক্লাবের সভাপতি এম আর বাবু, সাধারণ সম্পাদক কাজী শামসুর রহমান চঞ্চল, জীবননগর সাংবাদিক সমিতির সভাপতি জাহিদ বাবু, সাংবাদিক সালাউদ্দিন কাজল, মিঠুন মাহমুদ, মাজেদুর রহমান লিটন, চাষী রমজান, রিপন হোসেন, মুকুল, মুতাসিন, তুহিন প্রমুখ। ইউএনও জানান, চতুর্থ পর্যায়ে জীবননগর উপজেলার ১১টি পরিবারের মধ্যে ঘরের চাবি ও জমির দলিল হস্তান্তর করা হবে। প্রতিটি ঘর নির্মাণে বরাদ্দ ছিল ২ লাখ ৮৪ হাজার ৫ শ টাকা করে।

ঝিনাইদহ:

ঝিনাইদহে ৪র্থ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাচ্ছে ১২৩টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। গতকাল সোমবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম। সে সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রথীন্দ্র নাথ রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রাজিবুল ইসলাম খান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া জেরিনসহ জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কমকর্তাগণ ও ৬ উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ।

সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়, আগামী ২২ মার্চ জেলার ৬ উপজেলার ১২৩টি পরিবারের মাঝে ঘরের চাবি ও জমির দলিল হস্তান্তর করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশের ন্যায় ঝিনাইদহেও ভার্চুয়ালি এ ঘর হস্তান্তর কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন। ৪০০ বর্গফুটের প্রতিটি গৃহে রয়েছে ২টি বেড রুম, একটি রান্নাঘর, একটি ইউটিলিটি রুম, একটি টয়লেট ও একটি বারান্দা। ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী, ভ্যানচালক, বেদে সম্প্রদায়ের সদস্য, বিধবা, স্বামী পরিত্যাক্তা, ষাটোর্দ্ধ প্রবীণসহ অন্যান্য ভূমিহীনদের এ ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

কাল সারাদেশের ৮৩৬টি ভূমি-গৃহহীন পরিবার পাবে জমির দলিল ও ঘর

আপলোড টাইম : ১১:০১:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদন:

‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সব ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ দেওয়া কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আগামীকাল বুধবার (২২ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল সাড়ে ১০টায় চতুর্থ তৃতীয় পর্যায়ের অবশিষ্ট ৭৯টি ও চতুর্থ পর্যায়ের ৭৫৭টিসহ মোট ৮৩৬টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের হাতে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করবেন। এ লক্ষে সারাদেশের ন্যায় সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেস ব্রিফিং করেছে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন উপজেলা ও ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসন।

আলমডাঙ্গা:

আলমডাঙ্গায় চতুর্থ পর্যায়ে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধনের লক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল সোমবার উপজেলা পরিষদের হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রনি আলম নূর লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজন্ম স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়ে তোলা। যেখানে গরিব-দুঃখী, নিঃস্ব মানুষের মুখে থাকবে প্রশান্তির হাসি। এ লক্ষ্য পূরণে তিনি অণ্ন, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ জীবনধারণের মৌলিক উপকরণের ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণের বিষয়টি সংবিধানের ১৫(ক) অনুচ্ছেদে অন্তর্ভূক্ত করেন। এরই ধারাবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সাল হতে অসহায় ছিন্নমূল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করেন। তাঁর এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ১৯৯৭ সালে শুরু হয় আশ্রয়ণ প্রকল্প। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রজমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য জমিসহ ঘর প্রদান।’

আলমডাঙ্গা উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ৫০টি ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়। যার প্রতিটি ঘরের ব্যয় ছিল ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪৫টি ঘরের নির্মাণ করা হয়। যার প্রতিটি ঘরের ব্যয় হয় ১ লাখ ৯১ হাজার টাকা, তৃতীয় পর্যায়ে ৮০টি ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়। যার প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় হয় ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫ শ টাকা। এবং চতুর্থ পর্যায়ে ১৭টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৫ শ টাকা। তিন পর্যায়ে নির্মিত ঘর ইতঃপূর্বে উপকারভোগীদের মধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে। আগামী ২২ মার্চ চতুর্থ পর্যায়ের ঘরগুলো উপকারভোগীদের মধ্যে হস্তান্তর করা হবে। এবার উপজেলার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নে ১২টি, নাগদাহ ইউনিয়নে ৩টি ও বেলগাছি ইউনিয়নে ২টি ঘর উপকারভোগীদের মধ্যে হস্তান্তর করবে উপজেলা প্রশাসন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজোয়ানা নাহিদ, উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুদৌলা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হক, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম আজম, সাংবাদিক প্রশান্ত বিশ্বাস, ফিরোজ ইফতেখার, শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।

দামুড়হুদা:

দামুড়হুদায় ৪র্থ পর্যায়ে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল সোমবার বিকেল চারটায় দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সম্মেলনকক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোকসানা মিতা।

এসময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘দামুড়হুদা উপজেলার ‘ক’ শ্রেণির তালিকাভুক্ত ৩২৯ জনের তালিকা থেকে ১ম, ২য় ও ৩য় পর্যায়ে মোট ১২৩ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়। উক্ত তালিকা যাচাই-বাছাই এর মাধ্যমে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত নয়, যৌক্তিক কারণ ও ডকুমেন্টসহ এমন ২৬৮ জনের নাম বাদ দেওয়া হয় এবং আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৭১ জনকে নতুন করে ভূমিহীন ও গৃহহীন তালিকাভুক্ত করা হয়। ১ম, ২য় ও ৩য় পর্যায়ে পূর্বের তালিকা হতে ৬১ জন, নতুন তালিকায় ৬২ জনসহ মোট ১২৩ জন ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়। দামুড়হুদা উপজেলা পূর্বের ‘ক’ তালিকাভুক্ত আর কোনো ভূমিহীন পরিবার না থাকায় পরবর্তীতে বহুল প্রচারের মাধ্যমে ও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে অধিক খোঁজখবর নিয়ে ১৫টি ভূমিহীন পরিবারের আবেদন পাওয়া যায়। উক্ত ১৫টি ভূমিহীন পরিবারকে নতুন করে তালিকাভুক্ত করে পুনর্বাসন করা হয়েছে। চতুর্থ পর্যায়ে ১৫টিসহ সর্বমোট ১৩৮টি ভূমিহীন গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসনের মাধ্যমে ‘ক’ শ্রেণির পরিবারের পুনর্বাসন সমাপ্ত হয়েছে।’ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস, উপজেলা প্রশাসনের সিও ফয়জুল ইসলাম প্রমুখ।

জীবননগর:

জীবননগরে চতুর্থ পর্যায়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমি ও গৃহহীন ১১টি পরিবারকে উপহারের ঘর হস্তান্তর করবেন। এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন। জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রোকুনুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তিথি মিত্র, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, জীবননগর প্রেসক্লাবের সভাপতি এম আর বাবু, সাধারণ সম্পাদক কাজী শামসুর রহমান চঞ্চল, জীবননগর সাংবাদিক সমিতির সভাপতি জাহিদ বাবু, সাংবাদিক সালাউদ্দিন কাজল, মিঠুন মাহমুদ, মাজেদুর রহমান লিটন, চাষী রমজান, রিপন হোসেন, মুকুল, মুতাসিন, তুহিন প্রমুখ। ইউএনও জানান, চতুর্থ পর্যায়ে জীবননগর উপজেলার ১১টি পরিবারের মধ্যে ঘরের চাবি ও জমির দলিল হস্তান্তর করা হবে। প্রতিটি ঘর নির্মাণে বরাদ্দ ছিল ২ লাখ ৮৪ হাজার ৫ শ টাকা করে।

ঝিনাইদহ:

ঝিনাইদহে ৪র্থ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাচ্ছে ১২৩টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। গতকাল সোমবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম। সে সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রথীন্দ্র নাথ রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রাজিবুল ইসলাম খান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া জেরিনসহ জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কমকর্তাগণ ও ৬ উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ।

সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়, আগামী ২২ মার্চ জেলার ৬ উপজেলার ১২৩টি পরিবারের মাঝে ঘরের চাবি ও জমির দলিল হস্তান্তর করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশের ন্যায় ঝিনাইদহেও ভার্চুয়ালি এ ঘর হস্তান্তর কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন। ৪০০ বর্গফুটের প্রতিটি গৃহে রয়েছে ২টি বেড রুম, একটি রান্নাঘর, একটি ইউটিলিটি রুম, একটি টয়লেট ও একটি বারান্দা। ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী, ভ্যানচালক, বেদে সম্প্রদায়ের সদস্য, বিধবা, স্বামী পরিত্যাক্তা, ষাটোর্দ্ধ প্রবীণসহ অন্যান্য ভূমিহীনদের এ ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।