ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব শাজাহান ও উদ্যোক্তা শিপনের কাছে জিম্মি সাধারণ মানুষ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৪৬:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৪ বার পড়া হয়েছে

জীবননগর অফিস:

জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা শিপন ও সচিব শাজাহান জন্মনিবন্ধন করতে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জন্মনিবন্ধনে সরকারি ফি ৫০ টাকা হলেও তারা ১৫০ থেকে ২০০ টাকা আদায় করছেন এমন অভিযোগ সেবাগ্রহীতাদের। শিশু জন্মের ৪৫ দিন পর্যন্ত জন্মনিবন্ধনে কোনো ফি নেওয়ার নিয়ম নেই। আর ৫ বছর পর্যন্ত ২৫ টাকা এবং এর বেশি হলে ৫০ টাকা নেওয়ার নিয়ম করে দিয়েছে সরকার। তবে উদ্যোক্তা শিপন ও সচিব শাজাহান সব নিয়ম উপেক্ষা করে নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন এমন অভিযোগও রয়েছে।

সরেজমিনেও অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। দেখা গেছে, জন্মনিবন্ধন আবেদন পত্রের সঙ্গে ২০০ টাকা করে পিন মেরে রাখা হয়েছে। যে বেশি টাকা দেয় তার কাজ আগে করে দেন তারা।

বাঁকা গ্রামের বাসিন্দা লাল মোহাম্মদ  ও মোমেনা বেগম বলেন, ‘আমরা জন্মনিবন্ধন ডিজিটাল করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে গেলে ২০০ টাকার কমে জন্মসনদ দেওয়া যাবে না বলে জানান শিপন। তাই বাধ্য হয়ে ২০০ টাকা দিয়ে জন্মসনদ নিয়েছি।’

এ বিষয়ে শিপনের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, ‘সরকারি নিয়ম ৫০ টাকা এটা সঠিক। কিন্তু আমরা যারা কাজ করছি, পারিশ্রমিক হিসেবে ১০০ টাকা করে রাখি। আর বাকি টাকা সচিবের কাছে জমা দিই।’

বাঁকা ইউপি সচিব মো. শাজাহান বলেন, ‘জন্মনিবন্ধনের জন্য সরকার নিধারিত ফি বাদে যে টাকা নেওয়া হয়, সেটি চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা করেই নেওয়া হয়। ’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাঁকা  ইউপির চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাদের প্রধান বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত ফি বাদে কোনো টাকা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়নি। বিষয়টি দেখে দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে।’

জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রোকনুজ্জামান বলেন, ‘জন্মনিবন্ধনে সরকারি নির্ধারিত ফি বাদে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের কোনো সুযোগ নেই। কেউ এমন কিছু করে থাকলে, তাকেই এর দায় নিতে হবে। সরকার নির্ধারিত ফি বাদে অতিরিক্ত টাকা গ্রহণের অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, জীবননগর উপজেলার শুধু বাঁকা ইউনিয়নে নয়। উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া, হাসাদহ, সীমান্ত ও রায়পুরসহ প্রতিটি ইউনিয়নে একই ধরণের অনিয়ম হচ্ছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব শাজাহান ও উদ্যোক্তা শিপনের কাছে জিম্মি সাধারণ মানুষ

আপলোড টাইম : ০৪:৪৬:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩

জীবননগর অফিস:

জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা শিপন ও সচিব শাজাহান জন্মনিবন্ধন করতে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জন্মনিবন্ধনে সরকারি ফি ৫০ টাকা হলেও তারা ১৫০ থেকে ২০০ টাকা আদায় করছেন এমন অভিযোগ সেবাগ্রহীতাদের। শিশু জন্মের ৪৫ দিন পর্যন্ত জন্মনিবন্ধনে কোনো ফি নেওয়ার নিয়ম নেই। আর ৫ বছর পর্যন্ত ২৫ টাকা এবং এর বেশি হলে ৫০ টাকা নেওয়ার নিয়ম করে দিয়েছে সরকার। তবে উদ্যোক্তা শিপন ও সচিব শাজাহান সব নিয়ম উপেক্ষা করে নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন এমন অভিযোগও রয়েছে।

সরেজমিনেও অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। দেখা গেছে, জন্মনিবন্ধন আবেদন পত্রের সঙ্গে ২০০ টাকা করে পিন মেরে রাখা হয়েছে। যে বেশি টাকা দেয় তার কাজ আগে করে দেন তারা।

বাঁকা গ্রামের বাসিন্দা লাল মোহাম্মদ  ও মোমেনা বেগম বলেন, ‘আমরা জন্মনিবন্ধন ডিজিটাল করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে গেলে ২০০ টাকার কমে জন্মসনদ দেওয়া যাবে না বলে জানান শিপন। তাই বাধ্য হয়ে ২০০ টাকা দিয়ে জন্মসনদ নিয়েছি।’

এ বিষয়ে শিপনের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, ‘সরকারি নিয়ম ৫০ টাকা এটা সঠিক। কিন্তু আমরা যারা কাজ করছি, পারিশ্রমিক হিসেবে ১০০ টাকা করে রাখি। আর বাকি টাকা সচিবের কাছে জমা দিই।’

বাঁকা ইউপি সচিব মো. শাজাহান বলেন, ‘জন্মনিবন্ধনের জন্য সরকার নিধারিত ফি বাদে যে টাকা নেওয়া হয়, সেটি চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা করেই নেওয়া হয়। ’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাঁকা  ইউপির চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাদের প্রধান বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত ফি বাদে কোনো টাকা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়নি। বিষয়টি দেখে দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে।’

জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রোকনুজ্জামান বলেন, ‘জন্মনিবন্ধনে সরকারি নির্ধারিত ফি বাদে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের কোনো সুযোগ নেই। কেউ এমন কিছু করে থাকলে, তাকেই এর দায় নিতে হবে। সরকার নির্ধারিত ফি বাদে অতিরিক্ত টাকা গ্রহণের অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, জীবননগর উপজেলার শুধু বাঁকা ইউনিয়নে নয়। উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া, হাসাদহ, সীমান্ত ও রায়পুরসহ প্রতিটি ইউনিয়নে একই ধরণের অনিয়ম হচ্ছে।