ইপেপার । আজ বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুরুষ শূন্য সুটিয়া গ্রাম, জামায়াতের তিন নেতা গ্রেপ্তার, তৎপর পুলিশ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০২৩
  • / ২৯ বার পড়া হয়েছে

জীবননগর অফিস:

জীবননগর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে বাড়ছে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা। নির্বাচনের একদিনের মাথায় বিভিন্ন স্থানে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, হামলা ও বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় থানায় পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগ ও মামলা করা হচ্ছে। ইতঃমধ্যে একটি মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এতে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

জানা গেছে, গত বৃৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকেরা নির্বাচনী কেন্দ্র একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল ভাঙচুর করে। পরে বিজয়ী প্রার্থী চামেলীর বাড়িতে হামলা এবং সেখানে উপস্থিত এক সাংবাদিকের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এদিকে, বাঁকা ইউনিয়নের সুটিয়ায় গত শুক্রবার জুম্মার নামাজের শুরুতেই নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে পরাজিত প্রার্থীদের কর্মীদের হাতাহাতি হয়। এতে শারীরিকভাবে নৌকার সমর্থক হারুন ও ফয়েজ নামের দুজন আহত হন। এ ঘটনার জেরে জুম্মার নামাজ শেষে জামায়াতে ইসলামী নেতা মফিজুর রহমান ও ইউনুস আলীর বাড়িতে বহিরাগতরা হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এসময় হামলাকারীরা নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং ৭ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হলে তিন জামায়াতের নেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর থেকে পুরুষ শূন্য সুটিয়া গ্রাম।

অভিযোগ রয়েছে, একই ইউনিয়নের পাথিলা গ্রামে পরাজিত প্রার্থীর কর্মী তুহিন (২৬) নামের একজনকে মারধর করে হাত ভেঙে দিয়েছে বিজয়ী প্রার্থীর বাবা। আর রায়পুর ইউনিয়নের বালিহুদা গ্রামের পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকের হাতে বিজয়ী প্রার্থীর এক নারী সমর্থকসহ তিনজন আহত হয়েছেন। অপরদিকে, কেডিকে ইউনিয়নে গত শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দুই দফায় বিজয়ী ও পরাজিত প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এদিকে মনোহরপুর ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ডে দুই প্রার্থী সমান ভোট পাওয়ায় সেখানে পুনরায় নির্বাচনের সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

বাঁকা ইউনিয়নে পুনরায় নির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের প্রধান বলেন, ‘সুটিয়া গ্রামের মসজিদের ভেতরে দুজনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। এ ঘটনা শুনে আমি দ্রুত সেখানে হাজির হই। তাদের উভয়পক্ষকে শান্ত করি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। দুই পক্ষের সঙ্গে বসে বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা হবে।’

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল খালেক বলেন, ‘নির্বাচন পরবর্তী প্রতিটি ঘটনা পুলিশ শক্ত হাতে মোকাবিলা করছে। সব ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। এ পর্যন্ত শুধুমাত্র সুটিয়ার ঘটনায় নিয়মিত মামলা হয়েছে। ওই মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে সবাইকে আইন হাতে তুলে না নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। পুলিশ সর্বদা তৎপর রয়েছে। কোনো ঘটনা ঘটলে পুলিশকে তাৎক্ষণিকভাবে জানানোর জন্য বলা হয়ছে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

পুরুষ শূন্য সুটিয়া গ্রাম, জামায়াতের তিন নেতা গ্রেপ্তার, তৎপর পুলিশ

আপলোড টাইম : ১০:২৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০২৩

জীবননগর অফিস:

জীবননগর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে বাড়ছে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা। নির্বাচনের একদিনের মাথায় বিভিন্ন স্থানে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, হামলা ও বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় থানায় পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগ ও মামলা করা হচ্ছে। ইতঃমধ্যে একটি মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এতে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

জানা গেছে, গত বৃৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকেরা নির্বাচনী কেন্দ্র একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল ভাঙচুর করে। পরে বিজয়ী প্রার্থী চামেলীর বাড়িতে হামলা এবং সেখানে উপস্থিত এক সাংবাদিকের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এদিকে, বাঁকা ইউনিয়নের সুটিয়ায় গত শুক্রবার জুম্মার নামাজের শুরুতেই নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে পরাজিত প্রার্থীদের কর্মীদের হাতাহাতি হয়। এতে শারীরিকভাবে নৌকার সমর্থক হারুন ও ফয়েজ নামের দুজন আহত হন। এ ঘটনার জেরে জুম্মার নামাজ শেষে জামায়াতে ইসলামী নেতা মফিজুর রহমান ও ইউনুস আলীর বাড়িতে বহিরাগতরা হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এসময় হামলাকারীরা নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং ৭ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হলে তিন জামায়াতের নেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর থেকে পুরুষ শূন্য সুটিয়া গ্রাম।

অভিযোগ রয়েছে, একই ইউনিয়নের পাথিলা গ্রামে পরাজিত প্রার্থীর কর্মী তুহিন (২৬) নামের একজনকে মারধর করে হাত ভেঙে দিয়েছে বিজয়ী প্রার্থীর বাবা। আর রায়পুর ইউনিয়নের বালিহুদা গ্রামের পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকের হাতে বিজয়ী প্রার্থীর এক নারী সমর্থকসহ তিনজন আহত হয়েছেন। অপরদিকে, কেডিকে ইউনিয়নে গত শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দুই দফায় বিজয়ী ও পরাজিত প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এদিকে মনোহরপুর ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ডে দুই প্রার্থী সমান ভোট পাওয়ায় সেখানে পুনরায় নির্বাচনের সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

বাঁকা ইউনিয়নে পুনরায় নির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের প্রধান বলেন, ‘সুটিয়া গ্রামের মসজিদের ভেতরে দুজনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। এ ঘটনা শুনে আমি দ্রুত সেখানে হাজির হই। তাদের উভয়পক্ষকে শান্ত করি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। দুই পক্ষের সঙ্গে বসে বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা হবে।’

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল খালেক বলেন, ‘নির্বাচন পরবর্তী প্রতিটি ঘটনা পুলিশ শক্ত হাতে মোকাবিলা করছে। সব ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। এ পর্যন্ত শুধুমাত্র সুটিয়ার ঘটনায় নিয়মিত মামলা হয়েছে। ওই মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে সবাইকে আইন হাতে তুলে না নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। পুলিশ সর্বদা তৎপর রয়েছে। কোনো ঘটনা ঘটলে পুলিশকে তাৎক্ষণিকভাবে জানানোর জন্য বলা হয়ছে।’