ঝিনাইদহ অফিস:

দুই পক্ষের কোন্দলে দেড় বছর ধরে এক গ্রামের ৭০টি পরিবারের প্রায় ৩০০ মানুষ হয়েছে বাড়িছাড়া। দখল করে নেওয়া হয়েছে তাদের জমি। তারা কেউই গ্রামে ঢুকতে পারে না। এ কারণে অনেকেই মাতব্বরদের হাতে-পায়ে ধরে টাকার বিনিময়ে ফিরেছে নিজ বসতভিটায়। সমস্যা নিরসনে প্রশাসনের শান্তি সমাবেশ কোনো কাজে আসেনি। ঘটনাটি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার দামুকদিয়া গ্রামে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, মনোহরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নু ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলামের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনার জের ধরে ২০২১ সালের জুলাই মাসে মন্নুর সমর্থক দামুকদিয়া গ্রামের উকিল মৃধা খুন হন। এরপর চলে ভাঙচুর ও লুট। তার কিছুদিন পরেই হয় ইউপি নির্বাচন। এতে জাহিদুল ইসলাম আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর থেকেই মন্নুর সমর্থকদের ওপর চলতে থাকে নির্যাতন। করা হয় গ্রামছাড়া। তাদের ফসল ও জমি দখল করে নেওয়া হয়। বর্তমানে এসব জমি দখলে রেখেছে এলাকার মাতব্বরর ও তাদের সমর্থকেরা। আবার অনেকেই গ্রামে থাকতে দামুকদিয়া গ্রামের মাতব্বর রাশেদ, জীবন, বাবু ও পিণ্টুকে দিয়েছেন মোটা অঙ্কের টাকা। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এটা আমার বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের অপপ্রচার।’

শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের জানা নেই। তবে ভুক্তভোগীরা আমাদের কাছে অভিযোগ দিলে পুলিশ তাদের আইনগত সহায়তা দিবে। আর তাদের নিজ বাড়িতে ফিরতে সহায়তা করা হবে।’