ইপেপার । আজ বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জীবননগর সুটিয়ায় ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা, বাড়িঘর ভাঙচুর

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:০৪:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩
  • / ২৮ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
সদ্য অনুষ্ঠিত চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোট দিতে বাধা দেওয়ার জেরে নির্বাচনীয় পরবর্তী সহিংসতায় আটজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সুটিয়ার ঘটনায় মো. ফয়েজ উদ্দীন বাদী হয়ে জীবননগর থানায় ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- আব্দুল অহেদের ছেলে হোসেন আলী, মনির উদ্দিনের ছেলে মহীউদ্দীন মল্লিক ও নুর ইসলামের ছেলে আব্দুর রশিদ।

আহতরা হলেন- আওয়ামী লীগের কর্মী ইউসুফ আলীর ছেলে মো. আবুল কাশেম (৩৭), ইউসুফের ছেলে লতিফ (৪০), আজেহারের ছেলে শফি (৫০) ও বারি মন্ডলের ছেলে উসমান গনি (৫৮)। এবং জামায়াতের কর্মীরা হলেন- কেরামতের ছেলে সোহাগ (৩৫), জাহিদুলের ছেলে পানতা (২৫), মহিউদ্দীনের ছেলে বরকত (৩৫) এবং মনির উদ্দিনের ছেলে মহীউদ্দীন মল্লিক (৬৫)।

গ্রামবাসী জানায়, বাঁকা ইউপি নির্বাচনে সুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হাফিজুর রহমানের কর্মীদের ঢুকতে না দেওয়াকে কেন্দ্র করে গতকাল শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি ও ধস্তাধস্তি হয়। নামাজের পর ইসলাম মন্ডলের ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা হারুনুর রশীদ, ওমেদুল ইসলাম, ফয়েজ উদ্দীন, রহমান মেম্বার, গোলাম খন্দকারের ছেলে ইসমাইল ও তার ছেলে আকাশের নেতৃত্বে হাসাদাহের সাগরসহ ২০ জন অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রার্থী ও বাঁকা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মফিজুর রহমান, সুটিয়া স্কুলপাড়ার আমির হোসেন ও হাফিজুর রহমান, কেরামত আলীর ছেলে সোহাগ হোসেন ও তুহিন হোসেন, আব্দুল মজিদের ছেলে ইউনুস আলী, শফিউল আলমের ছেলে ইলাহি ও শের আলীর বাড়িতে হামলা করে। এসময় তাদের বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। তারা মফিজুলের বাড়ি থেকে সাড়ে ৭ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং ইউনুচ আলীর বাড়ি থেকে ১ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করা হয়।

এ ঘটনায় মো. ফয়েজ উদ্দীন বাদী হয়ে জীবননগর থানায় ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। মামলার পর থেকেই গ্রাম পুরুষশূন্য। গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জীবননগর থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল খালেক বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সুটিয়ার ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

জীবননগর সুটিয়ায় ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা, বাড়িঘর ভাঙচুর

আপলোড টাইম : ০৭:০৪:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদন:
সদ্য অনুষ্ঠিত চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোট দিতে বাধা দেওয়ার জেরে নির্বাচনীয় পরবর্তী সহিংসতায় আটজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সুটিয়ার ঘটনায় মো. ফয়েজ উদ্দীন বাদী হয়ে জীবননগর থানায় ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- আব্দুল অহেদের ছেলে হোসেন আলী, মনির উদ্দিনের ছেলে মহীউদ্দীন মল্লিক ও নুর ইসলামের ছেলে আব্দুর রশিদ।

আহতরা হলেন- আওয়ামী লীগের কর্মী ইউসুফ আলীর ছেলে মো. আবুল কাশেম (৩৭), ইউসুফের ছেলে লতিফ (৪০), আজেহারের ছেলে শফি (৫০) ও বারি মন্ডলের ছেলে উসমান গনি (৫৮)। এবং জামায়াতের কর্মীরা হলেন- কেরামতের ছেলে সোহাগ (৩৫), জাহিদুলের ছেলে পানতা (২৫), মহিউদ্দীনের ছেলে বরকত (৩৫) এবং মনির উদ্দিনের ছেলে মহীউদ্দীন মল্লিক (৬৫)।

গ্রামবাসী জানায়, বাঁকা ইউপি নির্বাচনে সুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হাফিজুর রহমানের কর্মীদের ঢুকতে না দেওয়াকে কেন্দ্র করে গতকাল শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি ও ধস্তাধস্তি হয়। নামাজের পর ইসলাম মন্ডলের ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা হারুনুর রশীদ, ওমেদুল ইসলাম, ফয়েজ উদ্দীন, রহমান মেম্বার, গোলাম খন্দকারের ছেলে ইসমাইল ও তার ছেলে আকাশের নেতৃত্বে হাসাদাহের সাগরসহ ২০ জন অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রার্থী ও বাঁকা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মফিজুর রহমান, সুটিয়া স্কুলপাড়ার আমির হোসেন ও হাফিজুর রহমান, কেরামত আলীর ছেলে সোহাগ হোসেন ও তুহিন হোসেন, আব্দুল মজিদের ছেলে ইউনুস আলী, শফিউল আলমের ছেলে ইলাহি ও শের আলীর বাড়িতে হামলা করে। এসময় তাদের বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। তারা মফিজুলের বাড়ি থেকে সাড়ে ৭ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং ইউনুচ আলীর বাড়ি থেকে ১ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করা হয়।

এ ঘটনায় মো. ফয়েজ উদ্দীন বাদী হয়ে জীবননগর থানায় ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। মামলার পর থেকেই গ্রাম পুরুষশূন্য। গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জীবননগর থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল খালেক বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সুটিয়ার ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।