ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণকালে এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৫৯:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩
  • / ৩৪ বার পড়া হয়েছে

ছবি- অনুষ্ঠিানে বক্তব্য রাখছেন এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার

নিজস্ব প্রতিবেদক: 

চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা-২০২৩ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল নয়টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজনbs করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধান অতিথিসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গন খুব বড় অঙ্গন। খেলাধুলা ও সাংস্কৃতির মাধ্যমে একটি দেশের পরিচিতি ঘটানো যায়। যার জ্বলন্ত প্রমাণ আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল ,ফ্রান্স, ইতালি এইসব দেশ। আমাদের দেশ একটি ছোট দেশ হলেও ক্রিকেটে বাংলাদেশকে বিশ্বব্যাপী চেনে ও জানে। বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান, মাশরাফি মর্তুজা, তামিম ইকবাল, মুস্তাফিজুর রহমান, ইমরুল কায়েসের মাধ্যমে সারা পৃথিবীর কাছে বাংলাদেশ পরিচিতি লাভ করেছে। তাই আমরা চাইবো যে, তোমরা লেখা-পড়ার পাশাপাশি খেলাধুলাতেও মনোযোগ দিবে। কারণ সুস্থ দেহে সুস্থ মনের বিকল্প নেই। আর এটি অর্জিত হয় খেলাধুলার মাধ্যমে।

সভায় বিশেষ অতিথি থেকে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আরাফাত রহমান, জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান, ভিজে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিলাল হোসেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ কুমার সাহা, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব প্রতিনিধি ও ক্লাবের জয়েন্ট সেক্রেটারি ইসলাম রকিব প্রমুখ। আলোচনা সভার শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন অনুষ্ঠানের আয়োজক ও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিল আরা চৌধুরী।

সভাপতির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘বর্তমান সরকার এই দেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য কাজ করছে। এই স্মার্ট বাংলাদেশের প্রধান কারিগর হবে স্মার্ট নাগরিকরা। আর আজ আমার সামনে তোমরা যারা বসে আছো আমি মনে করি সেই স্মার্ট নাগরিক তোমরা। এ কারণে নিয়মিত পড়ালেখা করতে হবে এবং একই সঙ্গে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে হবে। তোমাদেরকে সামাজিক ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হতে হবে, দেশকে ভালবাসতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য প্রয়োজন শারীরিক ও মানসিক বিকাশ। আমি মনে করি কেবলমাত্র পাঠ্য পুস্তকের মধ্যে বুধ হয়ে থাকা শারীরিক বা মানসিক বিকাশ নয়। শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য প্রয়োজন নিয়মিত ক্রীড়াচর্চা ও ক্রীড়া অনুশীলন, প্রয়োজন সাংস্কৃতিক বিকাশ। আজকের এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি তোমাদের শারীরিক-মানসিক ও সংস্কৃতিক বিকাশ অব্যাহত থাকবে বলে আমি মনে করি।

পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মহাসিন আলী। পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহবুবা ফেরদৌস ও গীতা থেকে পাঠ করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক তুষার রায়। এ সময় বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণকালে এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার

আপলোড টাইম : ১০:৫৯:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: 

চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা-২০২৩ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল নয়টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজনbs করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধান অতিথিসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গন খুব বড় অঙ্গন। খেলাধুলা ও সাংস্কৃতির মাধ্যমে একটি দেশের পরিচিতি ঘটানো যায়। যার জ্বলন্ত প্রমাণ আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল ,ফ্রান্স, ইতালি এইসব দেশ। আমাদের দেশ একটি ছোট দেশ হলেও ক্রিকেটে বাংলাদেশকে বিশ্বব্যাপী চেনে ও জানে। বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান, মাশরাফি মর্তুজা, তামিম ইকবাল, মুস্তাফিজুর রহমান, ইমরুল কায়েসের মাধ্যমে সারা পৃথিবীর কাছে বাংলাদেশ পরিচিতি লাভ করেছে। তাই আমরা চাইবো যে, তোমরা লেখা-পড়ার পাশাপাশি খেলাধুলাতেও মনোযোগ দিবে। কারণ সুস্থ দেহে সুস্থ মনের বিকল্প নেই। আর এটি অর্জিত হয় খেলাধুলার মাধ্যমে।

সভায় বিশেষ অতিথি থেকে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আরাফাত রহমান, জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান, ভিজে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিলাল হোসেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ কুমার সাহা, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব প্রতিনিধি ও ক্লাবের জয়েন্ট সেক্রেটারি ইসলাম রকিব প্রমুখ। আলোচনা সভার শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন অনুষ্ঠানের আয়োজক ও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিল আরা চৌধুরী।

সভাপতির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘বর্তমান সরকার এই দেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য কাজ করছে। এই স্মার্ট বাংলাদেশের প্রধান কারিগর হবে স্মার্ট নাগরিকরা। আর আজ আমার সামনে তোমরা যারা বসে আছো আমি মনে করি সেই স্মার্ট নাগরিক তোমরা। এ কারণে নিয়মিত পড়ালেখা করতে হবে এবং একই সঙ্গে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে হবে। তোমাদেরকে সামাজিক ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হতে হবে, দেশকে ভালবাসতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য প্রয়োজন শারীরিক ও মানসিক বিকাশ। আমি মনে করি কেবলমাত্র পাঠ্য পুস্তকের মধ্যে বুধ হয়ে থাকা শারীরিক বা মানসিক বিকাশ নয়। শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য প্রয়োজন নিয়মিত ক্রীড়াচর্চা ও ক্রীড়া অনুশীলন, প্রয়োজন সাংস্কৃতিক বিকাশ। আজকের এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি তোমাদের শারীরিক-মানসিক ও সংস্কৃতিক বিকাশ অব্যাহত থাকবে বলে আমি মনে করি।

পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মহাসিন আলী। পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহবুবা ফেরদৌস ও গীতা থেকে পাঠ করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক তুষার রায়। এ সময় বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।