ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় ব্যবসায়ীর ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩
  • / ৩৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গা পুরাতন হাসপাতাল এলাকার টাইলস ব্যবসায়ী সিটি মার্বেলের দোকান থেকে বিভিন্ন কৌশলে ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে দোকানের ম্যানেজার মারুফকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানার পুলিশ। এ ঘটনায় মারুফের ভাইসহ আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেছেন সিটি মার্বেলের মালিক গোলাম কিবরিয়া। গতকাল বুধবার পুলিশ অভিযুক্ত ম্যানেজার মারুফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আসামি মারুফ ইসলাম (২৮) চুয়াডাঙ্গা সিঅ্যান্ডবি ঈদগাপাড়ার বজলুর রহমান বজার ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত চার বছর ধরে সিটি মার্বেলে দোকানের ম্যানেজার হিসেবে কাজ করে আসছিলেন মারুফ। ফলে দোকানের বেচাকেনাসহ সকল ধরনের হিসাব নিজ হাতেই করে আসছিলেন তিনি। দোকানের মালিক গোলাম কিবরিয়া অসুস্থ হওয়ায় গত ৬ মাস দোকানে বসতে পারেননি। আর এ সুযোগে বিভিন্ন কৌশলে ২৪ লাখ ৫ হাজার ৮৫২ টাকা হাতিয়ে নেন ম্যানেজার মারুফ।

সিটি মার্বেলের মালিক গোলাম কিবরিয়া বলেন, দোকানের যাবতীয় সকল বিষয় ম্যানেজার মারুফ দেখাশোনা করতেন। একমাস পূর্বে সিঅ্যান্ডবি এলাকায় তার গোডাউনের পাশ থেকে জনৈক ব্যক্তি ফোন দিয়ে ম্যানেজার মারুফকে নজরে রাখতে বলেন। বিষয়টি সন্দেহজনক হলে আরও একজন ম্যানেজার নেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার মাল ফেরত দেখিয়ে ১১ হাজর টাকা নিয়ে নেন মারুফ। গত রোববারও একই কায়দায় ৫ হাজার টাকা নেন তিনি। অথচ এসব ফেরত মালামাল জমা খাতা বা গোডাউনে কোথাও খুঁজে না পেয়ে মারুফকে নিয়ে হিসাব শুরু করে মালিক পক্ষ। গত দুই দিন ধরে হিসাব করে দেখা যায় প্রায় ২৪ লাখ ৫ হাজার ৮৫২ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন মারুফ। দোকান মালিক আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে গত সোমবার সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি। তারপরও তিনি অপেক্ষায় ছিলেন মারুফের পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি সমাধানের জন্য। কিন্তু তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় ম্যানেজার মারুফকে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাব্বুর রহমান কাজল বলেন, ‘অর্থ আত্মসাতের মামলাটি আমরা গ্রহণ করে অভিযুক্ত প্রধান আসামি মারুফ ইসলামকে আটক করেছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি টাকা আত্মসাতের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় ব্যবসায়ীর ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ

আপলোড টাইম : ০২:০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গা পুরাতন হাসপাতাল এলাকার টাইলস ব্যবসায়ী সিটি মার্বেলের দোকান থেকে বিভিন্ন কৌশলে ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে দোকানের ম্যানেজার মারুফকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানার পুলিশ। এ ঘটনায় মারুফের ভাইসহ আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেছেন সিটি মার্বেলের মালিক গোলাম কিবরিয়া। গতকাল বুধবার পুলিশ অভিযুক্ত ম্যানেজার মারুফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আসামি মারুফ ইসলাম (২৮) চুয়াডাঙ্গা সিঅ্যান্ডবি ঈদগাপাড়ার বজলুর রহমান বজার ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত চার বছর ধরে সিটি মার্বেলে দোকানের ম্যানেজার হিসেবে কাজ করে আসছিলেন মারুফ। ফলে দোকানের বেচাকেনাসহ সকল ধরনের হিসাব নিজ হাতেই করে আসছিলেন তিনি। দোকানের মালিক গোলাম কিবরিয়া অসুস্থ হওয়ায় গত ৬ মাস দোকানে বসতে পারেননি। আর এ সুযোগে বিভিন্ন কৌশলে ২৪ লাখ ৫ হাজার ৮৫২ টাকা হাতিয়ে নেন ম্যানেজার মারুফ।

সিটি মার্বেলের মালিক গোলাম কিবরিয়া বলেন, দোকানের যাবতীয় সকল বিষয় ম্যানেজার মারুফ দেখাশোনা করতেন। একমাস পূর্বে সিঅ্যান্ডবি এলাকায় তার গোডাউনের পাশ থেকে জনৈক ব্যক্তি ফোন দিয়ে ম্যানেজার মারুফকে নজরে রাখতে বলেন। বিষয়টি সন্দেহজনক হলে আরও একজন ম্যানেজার নেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার মাল ফেরত দেখিয়ে ১১ হাজর টাকা নিয়ে নেন মারুফ। গত রোববারও একই কায়দায় ৫ হাজার টাকা নেন তিনি। অথচ এসব ফেরত মালামাল জমা খাতা বা গোডাউনে কোথাও খুঁজে না পেয়ে মারুফকে নিয়ে হিসাব শুরু করে মালিক পক্ষ। গত দুই দিন ধরে হিসাব করে দেখা যায় প্রায় ২৪ লাখ ৫ হাজার ৮৫২ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন মারুফ। দোকান মালিক আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে গত সোমবার সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি। তারপরও তিনি অপেক্ষায় ছিলেন মারুফের পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি সমাধানের জন্য। কিন্তু তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় ম্যানেজার মারুফকে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাব্বুর রহমান কাজল বলেন, ‘অর্থ আত্মসাতের মামলাটি আমরা গ্রহণ করে অভিযুক্ত প্রধান আসামি মারুফ ইসলামকে আটক করেছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি টাকা আত্মসাতের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।’