ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মামলায় একমাত্র আসামি চাচার ফাঁসি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:০০:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩
  • / ৩৩ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় চাঞ্চল্যকর তিন শিশু পুড়িয়ে হত্যা মামলার একমাত্র আসামি মেরিন ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহের জেলা ও দায়রা জজ মো. নাজিমুদ্দৌলা এ দণ্ডাদেশ দেন। একই সঙ্গে তাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। দণ্ডিত ইকবাল হোসেন শৈলকুপা উপজেলার কবিরপুর গ্রামের গোলাম নবীর ছেলে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমাইল হোসেন জানান, ২০১৬ সালের ৩ জানুয়ারি ঝিনাইদহের শৈলকুপা শহরের কবিরপুর নতুন ব্রিজপাড়া আগুনে পুড়িয়ে ভাতিজা সাফিন ওরফে শিবলু (৯),  আমিন (৭) ও ভাগ্নে মাহিনকে (১২) পুড়িয়ে হত্যা করে ইকবাল হোসেন। শিশু আমিন ও সাফিন শৈলকুপার স্কুলশিক্ষক দেলোয়ার হোসেন দিপুর ছেলে। অপর শিশু মাহিন বোন জেসমিন ও শৈলকুপার মনোহরপুর গ্রামের রাশেদ দম্পত্তির ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা ও জমিজমা নিয়ে ভাই দেলোয়ার ও পিতা গোলাম নবীর সাথে বিবাদ সৃষ্টি হয় মেরিন ইঞ্জিনিয়ার মাদকাসক্ত ইকবাল হোসেনের। এ ঘটনায় প্রথমে তার বোন জেসমিন, ভাগ্নে মাহিন ও ভাইয়ের দুই সন্তান সাফিন ও ছোট ভাই আমিনকে হাতুড়ি পেটা করে খাটের সাথে বেঁধে ফেলে। এরপর দাহ্য জাতীয় পদার্থ ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় বড় ভাই দেলোয়ার হোসেনের দুই সন্তান সাফিন ও আমিন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। অগ্নিদগ্ধ হন বোন জেসমিন ও ভাগ্নে মাহিন। অগ্নিদগ্ধ মাহিন ঘটনার দিন রাত ৯টায় হাসপাতালে মারা যান। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর ইকবালকে গণপিটুনি দিয়ে শৈলকুপা থানায় সোপর্দ করে গ্রামবাসী। একই পরিবারের তিন শিশুকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় শৈলকুপার কবিরপুর গ্রাম শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়ে।

পরবর্তীতে এ ঘটনায় সাফিন ও আমিনের পিতা দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে শৈলকুপা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ওই বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি ইকবালকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার বিজ্ঞ আদালত ওই মামলার একমাত্র আসামি ইকবালকে মৃত্যুদণ্ড ও ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেন। ঘটনার দিন পুলিশ তাকে আটক করলেও আদালত থেকে জামিন নিয়ে খুনি ইকবাল হোসেন বিদেশে পালিয়ে গেছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মামলায় একমাত্র আসামি চাচার ফাঁসি

আপলোড টাইম : ০২:০০:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩

ঝিনাইদহ অফিস:

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় চাঞ্চল্যকর তিন শিশু পুড়িয়ে হত্যা মামলার একমাত্র আসামি মেরিন ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহের জেলা ও দায়রা জজ মো. নাজিমুদ্দৌলা এ দণ্ডাদেশ দেন। একই সঙ্গে তাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। দণ্ডিত ইকবাল হোসেন শৈলকুপা উপজেলার কবিরপুর গ্রামের গোলাম নবীর ছেলে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমাইল হোসেন জানান, ২০১৬ সালের ৩ জানুয়ারি ঝিনাইদহের শৈলকুপা শহরের কবিরপুর নতুন ব্রিজপাড়া আগুনে পুড়িয়ে ভাতিজা সাফিন ওরফে শিবলু (৯),  আমিন (৭) ও ভাগ্নে মাহিনকে (১২) পুড়িয়ে হত্যা করে ইকবাল হোসেন। শিশু আমিন ও সাফিন শৈলকুপার স্কুলশিক্ষক দেলোয়ার হোসেন দিপুর ছেলে। অপর শিশু মাহিন বোন জেসমিন ও শৈলকুপার মনোহরপুর গ্রামের রাশেদ দম্পত্তির ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা ও জমিজমা নিয়ে ভাই দেলোয়ার ও পিতা গোলাম নবীর সাথে বিবাদ সৃষ্টি হয় মেরিন ইঞ্জিনিয়ার মাদকাসক্ত ইকবাল হোসেনের। এ ঘটনায় প্রথমে তার বোন জেসমিন, ভাগ্নে মাহিন ও ভাইয়ের দুই সন্তান সাফিন ও ছোট ভাই আমিনকে হাতুড়ি পেটা করে খাটের সাথে বেঁধে ফেলে। এরপর দাহ্য জাতীয় পদার্থ ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় বড় ভাই দেলোয়ার হোসেনের দুই সন্তান সাফিন ও আমিন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। অগ্নিদগ্ধ হন বোন জেসমিন ও ভাগ্নে মাহিন। অগ্নিদগ্ধ মাহিন ঘটনার দিন রাত ৯টায় হাসপাতালে মারা যান। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর ইকবালকে গণপিটুনি দিয়ে শৈলকুপা থানায় সোপর্দ করে গ্রামবাসী। একই পরিবারের তিন শিশুকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় শৈলকুপার কবিরপুর গ্রাম শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়ে।

পরবর্তীতে এ ঘটনায় সাফিন ও আমিনের পিতা দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে শৈলকুপা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ওই বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি ইকবালকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার বিজ্ঞ আদালত ওই মামলার একমাত্র আসামি ইকবালকে মৃত্যুদণ্ড ও ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেন। ঘটনার দিন পুলিশ তাকে আটক করলেও আদালত থেকে জামিন নিয়ে খুনি ইকবাল হোসেন বিদেশে পালিয়ে গেছেন।