ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাংনীতে ছাত্রীর শ্লীলতাহানীর অভিযোগে মাদ্রাসা সুপার অবরুদ্ধ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:৩৩:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৮ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:
মেহেরপুরের গাংনীর করমদী দারুচ্ছুন্নাহ নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার আবু জাফরের বিরুদ্ধে ছাত্রীর শ্লীলতাহানীর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল রোববার সকালে স্থানীয় লোকজন ও অভিভাবকেরা তাঁকে একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন। খবর পেয়ে গাংনী থানা-পুলিশ মাদ্রাসার সুপার আবু জাফরকে উদ্ধার করে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
স্থানীয় লোকজন ও অভিভাবকেরা জানান, গত বৃহস্পতিবার মাদ্রাসার সুপার আবু জাফর নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে রুমে ডেকে তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। বিষয়টি ওই ছাত্রী তার সহপাঠী ও অভিভাবকে জানায়। তারা গতকাল রোববার সকালে মাদ্রাসা ঘেরাও করে সুপার আবু জাফরকে একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখে। তারা সুপারের বহিস্কার, গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি তোলেন।
শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রায়ই মাদ্রাসার সুপার আবু জাফর তাদের কাছে মোবাইল নম্বর চাইত এবং অনৈতিক প্রস্তাব দিত। মান-সম্মানের ভয়ে তারা কেউ মুখ খুলত না। করমদি গ্রামের সাইদুর রহমান বলেন, ‘সুপার আবু জাফর চরিত্রহীন। এর আগেও এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানীর অভিযোগে সুপারকে জুতার মালা পরিয়ে মাদ্রাসা চত্ত্বরে ঘোরানো হয়। পরে ক্ষমা চাওয়ায় তাকে মাদ্রাসাতে আসার সুযোগ দেয় কর্তৃপক্ষ। এবার আর কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না।’ করমদি গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম বলেন, ওই ছাত্রীর অভিভাবক তাকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানান। ঘটনার বর্ণনা শোনার পর অন্যান্য অভিভাবকদের জানানো হয়। পরে মাদ্রাসাতে আসলে সুপার আবু জাফর বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা মাদ্রাসা ঘেরাও করে সুপারকে তালাবদ্ধ করে রাখে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসার সুপার আবু জাফর বলেন, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সব মিথ্যা ও সাজানো নাটক। তাঁকে অপসারণের জন্য স্থানীয় লোকজন পরিকল্পিতভাবে এই অভিযোগ করছেন। করমদী দারুচ্ছুন্নাহ নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি ও গাংনী উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রনি খাতুন বলেন, ওই শিক্ষার্থীর লিখিত অভিযোগ এবং কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ পেয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

গাংনীতে ছাত্রীর শ্লীলতাহানীর অভিযোগে মাদ্রাসা সুপার অবরুদ্ধ

আপলোড টাইম : ০৫:৩৩:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ মার্চ ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদক:
মেহেরপুরের গাংনীর করমদী দারুচ্ছুন্নাহ নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার আবু জাফরের বিরুদ্ধে ছাত্রীর শ্লীলতাহানীর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল রোববার সকালে স্থানীয় লোকজন ও অভিভাবকেরা তাঁকে একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন। খবর পেয়ে গাংনী থানা-পুলিশ মাদ্রাসার সুপার আবু জাফরকে উদ্ধার করে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
স্থানীয় লোকজন ও অভিভাবকেরা জানান, গত বৃহস্পতিবার মাদ্রাসার সুপার আবু জাফর নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে রুমে ডেকে তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। বিষয়টি ওই ছাত্রী তার সহপাঠী ও অভিভাবকে জানায়। তারা গতকাল রোববার সকালে মাদ্রাসা ঘেরাও করে সুপার আবু জাফরকে একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখে। তারা সুপারের বহিস্কার, গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি তোলেন।
শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রায়ই মাদ্রাসার সুপার আবু জাফর তাদের কাছে মোবাইল নম্বর চাইত এবং অনৈতিক প্রস্তাব দিত। মান-সম্মানের ভয়ে তারা কেউ মুখ খুলত না। করমদি গ্রামের সাইদুর রহমান বলেন, ‘সুপার আবু জাফর চরিত্রহীন। এর আগেও এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানীর অভিযোগে সুপারকে জুতার মালা পরিয়ে মাদ্রাসা চত্ত্বরে ঘোরানো হয়। পরে ক্ষমা চাওয়ায় তাকে মাদ্রাসাতে আসার সুযোগ দেয় কর্তৃপক্ষ। এবার আর কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না।’ করমদি গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম বলেন, ওই ছাত্রীর অভিভাবক তাকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানান। ঘটনার বর্ণনা শোনার পর অন্যান্য অভিভাবকদের জানানো হয়। পরে মাদ্রাসাতে আসলে সুপার আবু জাফর বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা মাদ্রাসা ঘেরাও করে সুপারকে তালাবদ্ধ করে রাখে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসার সুপার আবু জাফর বলেন, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সব মিথ্যা ও সাজানো নাটক। তাঁকে অপসারণের জন্য স্থানীয় লোকজন পরিকল্পিতভাবে এই অভিযোগ করছেন। করমদী দারুচ্ছুন্নাহ নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি ও গাংনী উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রনি খাতুন বলেন, ওই শিক্ষার্থীর লিখিত অভিযোগ এবং কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ পেয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।