ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হরিণাকুণ্ডুতে পুলিশ সদস্যের অসৌজন্যমূলক আচরণ ও ঘুষের ভিডিও ভাইরাল

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৪৫:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৭ বার পড়া হয়েছে

বেরিয়ে আসছে শত শত অপকর্মের ফিরিস্তি

প্রতিবেদক, হরিণাকুণ্ডু:
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে এক পুলিশ সদস্যের ঘুষ নেওয়া ও পা টেপানোর ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এরপর থেকে ওই পুলিশ সদস্যকে নিয়ে চলছে সমালোচনার ঝড়। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, হরিণাকুণ্ডু থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রেজোয়ান আহমেদ প্রকাশ্যে ধুমপান করছেন। এসময় তার পাশে থাকা আশিকুর নামের অপর একজন তার পা টিপছিলেন ও একটি পাঁচশ টাকার নোট এএসআই রেজোয়ানের পকেটে গুঁজে দিচ্ছেন। গত বুধবার রাতে ভিডিওটি ভাইরাল হয়।
এ বিষয়ে আশিকুর বলেন, ‘গত ২৬ তারিখ আমার চাচা ও আমার মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। চাচা আমার বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দেন। পরদিন আমাদের মধ্যে বিষয়টি মীমাংশা হয়ে যায়। সেদিনই আমি ও চাচা একটি আপসনামা থানায় জমা দিতে যায়। থানা থেকে এএসআই রেজোয়ানের নিকট আপসনামাটি জমা দিতে বলে। পরে এএসআই রেজোয়ানের নিকট আপসনামা নিয়ে গেলেই তিনি উত্তেজিত হয়ে গালিগালাজ করে বলেন, নিজেরাই যদি আপস করবি, তবে পুলিশ কী করবে? এসময় তিনি আপসনামাটি ছুড়ে ফেলে দেন। একপর্যায়ে তিনি আপস বাবদ আমার নিকটে টাকা দাবি করেন। আমি টাকা যোগাড় করে তার কাছে গেলে তিনি টাকার সাথে এক প্যাকেট বেনসন সিগারেটও নেন।’
এদিকে, এএসআই রেজোয়ান আহমেদের ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকে মুখ খুলতে শুরু করেছেন এলাকাবাসী। এএসআই রেজোয়ানের চাঁদাবাজি, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়, আটক ও মাদক বাণিজ্যে তার সম্পৃক্ততার অনেক তথ্য বের হয়ে আসতে শুরু করেছে। স্থানীয়রা জানান, টাকা ছাড়া কোনো কাজই করেন না এএসআই রেজোয়ান। ১ শ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন মানুষের নিকট থেকে তিনি সিগারেট পর্যন্ত ঘুষ নেন। বিভিন্ন সময় নিরীহ মানুষকে আটকের ভয়-ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা নিয়েছেন বলেও জানা যায়। জনসাধারণকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা ও চেকিংয়ের নামে হয়রানি করা তার নিত্যদিনের কর্ম।
স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করেন, যেকোনো মামলার তদন্তভার তার ওপর গেলে তিনি বাদী ও আসামি উভয় পক্ষের নিকট থেকেই টাকা নেন। এ ক্ষেত্রে টাকা ছাড়া তিনি কোনো কাজই করেন না। বিভিন্ন সময় নিরপরাধ ব্যক্তিকে মাদক দিয়ে চালান করার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সহকারী পুলিশ সুপার (শৈলকুপা সার্কেল) অমিত কুমার বর্মন বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও আমাদের নজরে এসেছে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

হরিণাকুণ্ডুতে পুলিশ সদস্যের অসৌজন্যমূলক আচরণ ও ঘুষের ভিডিও ভাইরাল

আপলোড টাইম : ০৪:৪৫:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ মার্চ ২০২৩

বেরিয়ে আসছে শত শত অপকর্মের ফিরিস্তি

প্রতিবেদক, হরিণাকুণ্ডু:
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে এক পুলিশ সদস্যের ঘুষ নেওয়া ও পা টেপানোর ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এরপর থেকে ওই পুলিশ সদস্যকে নিয়ে চলছে সমালোচনার ঝড়। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, হরিণাকুণ্ডু থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রেজোয়ান আহমেদ প্রকাশ্যে ধুমপান করছেন। এসময় তার পাশে থাকা আশিকুর নামের অপর একজন তার পা টিপছিলেন ও একটি পাঁচশ টাকার নোট এএসআই রেজোয়ানের পকেটে গুঁজে দিচ্ছেন। গত বুধবার রাতে ভিডিওটি ভাইরাল হয়।
এ বিষয়ে আশিকুর বলেন, ‘গত ২৬ তারিখ আমার চাচা ও আমার মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। চাচা আমার বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দেন। পরদিন আমাদের মধ্যে বিষয়টি মীমাংশা হয়ে যায়। সেদিনই আমি ও চাচা একটি আপসনামা থানায় জমা দিতে যায়। থানা থেকে এএসআই রেজোয়ানের নিকট আপসনামাটি জমা দিতে বলে। পরে এএসআই রেজোয়ানের নিকট আপসনামা নিয়ে গেলেই তিনি উত্তেজিত হয়ে গালিগালাজ করে বলেন, নিজেরাই যদি আপস করবি, তবে পুলিশ কী করবে? এসময় তিনি আপসনামাটি ছুড়ে ফেলে দেন। একপর্যায়ে তিনি আপস বাবদ আমার নিকটে টাকা দাবি করেন। আমি টাকা যোগাড় করে তার কাছে গেলে তিনি টাকার সাথে এক প্যাকেট বেনসন সিগারেটও নেন।’
এদিকে, এএসআই রেজোয়ান আহমেদের ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকে মুখ খুলতে শুরু করেছেন এলাকাবাসী। এএসআই রেজোয়ানের চাঁদাবাজি, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়, আটক ও মাদক বাণিজ্যে তার সম্পৃক্ততার অনেক তথ্য বের হয়ে আসতে শুরু করেছে। স্থানীয়রা জানান, টাকা ছাড়া কোনো কাজই করেন না এএসআই রেজোয়ান। ১ শ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন মানুষের নিকট থেকে তিনি সিগারেট পর্যন্ত ঘুষ নেন। বিভিন্ন সময় নিরীহ মানুষকে আটকের ভয়-ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা নিয়েছেন বলেও জানা যায়। জনসাধারণকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা ও চেকিংয়ের নামে হয়রানি করা তার নিত্যদিনের কর্ম।
স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করেন, যেকোনো মামলার তদন্তভার তার ওপর গেলে তিনি বাদী ও আসামি উভয় পক্ষের নিকট থেকেই টাকা নেন। এ ক্ষেত্রে টাকা ছাড়া তিনি কোনো কাজই করেন না। বিভিন্ন সময় নিরপরাধ ব্যক্তিকে মাদক দিয়ে চালান করার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সহকারী পুলিশ সুপার (শৈলকুপা সার্কেল) অমিত কুমার বর্মন বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও আমাদের নজরে এসেছে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’