ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খাদ্যগুদামের ৮৯ লাখ টাকার চাল আত্মসাৎ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৩৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ মার্চ ২০২৩
  • / ৬১ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে খাদ্যগুদামের ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের সরকারি চাল আত্মসাতের দায়ে শফিকুল ইসলাম নামে এক খাদ্য পরিদর্শকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুর্নীতি দমন কমিশনের ঝিনাইদহ সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বজলুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। শফিকুল ইসলাম ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর জামতলাপড়ার মঞ্জুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি মাগুরার শালিখা উপজেলার আড়পাড়া খাদ্যগুদামে কর্মরত থাকা অবস্থায় ১৮৯.৯৮ মেট্রিক টন চাল আত্মসাত করেন বলে অভিযোগ প্রমাণিত হয়।

দুর্র্নীতি দমন কমিশনের ঝিনাইদহ সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাহিদ কালাম খবর নিশ্চিত করে গতকাল বিকেলে জানান, ২০২১ সালের পহেলা এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাময়িক বরখাস্তকৃত খাদ্য পরিদর্শক ও ওসিএলএসডি শফিকুল ইসলাম বিশ^াস ভঙ্গ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে এই অপরাধ সংঘটিত করেন। এ বিষয়ে খুলনা আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক চাল আত্মসাতের বিষয়ে চার সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। কমিটির সদস্য কুষ্টিয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী, খাদ্য বিভাগের সহকারী রসায়নবিদ ইকরামুল কবীর, ঝিনাইদহ সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক খোন্দকার তাজ উদ্দীন আহম্মেদ ও মাগুরা জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যৌথ তদন্ত করে ২০২৩ সালের ৬ জানুয়ারি প্রতিবেদন দাখিল করেন।

প্রতিবেদনে আড়পাড়া খাদ্যগুদামের ১২টি খামাল থেকে ৮৯ লাখ ৫০ হাজার ৭৪৮ টাকা মূল্যের ১৮৯.৯৮ মেট্রিক টন চাল আত্মসাতের ঘটনা প্রমাণিত হয়। তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে সাময়িক বরখাস্তকৃত খাদ্য পরিদর্শক ও ওসিএলএসডি শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্র্নীতি দমন কমিশন ১৯৪৭ সালের ৪০৯ ধারা মোতাবেক এই মামলা দায়ের করে, যার মামলা নম্বর ০১/২০২৩।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

খাদ্যগুদামের ৮৯ লাখ টাকার চাল আত্মসাৎ

আপলোড টাইম : ১১:৩৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ মার্চ ২০২৩

ঝিনাইদহ অফিস:
ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে খাদ্যগুদামের ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের সরকারি চাল আত্মসাতের দায়ে শফিকুল ইসলাম নামে এক খাদ্য পরিদর্শকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুর্নীতি দমন কমিশনের ঝিনাইদহ সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বজলুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। শফিকুল ইসলাম ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর জামতলাপড়ার মঞ্জুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি মাগুরার শালিখা উপজেলার আড়পাড়া খাদ্যগুদামে কর্মরত থাকা অবস্থায় ১৮৯.৯৮ মেট্রিক টন চাল আত্মসাত করেন বলে অভিযোগ প্রমাণিত হয়।

দুর্র্নীতি দমন কমিশনের ঝিনাইদহ সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাহিদ কালাম খবর নিশ্চিত করে গতকাল বিকেলে জানান, ২০২১ সালের পহেলা এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাময়িক বরখাস্তকৃত খাদ্য পরিদর্শক ও ওসিএলএসডি শফিকুল ইসলাম বিশ^াস ভঙ্গ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে এই অপরাধ সংঘটিত করেন। এ বিষয়ে খুলনা আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক চাল আত্মসাতের বিষয়ে চার সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। কমিটির সদস্য কুষ্টিয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী, খাদ্য বিভাগের সহকারী রসায়নবিদ ইকরামুল কবীর, ঝিনাইদহ সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক খোন্দকার তাজ উদ্দীন আহম্মেদ ও মাগুরা জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যৌথ তদন্ত করে ২০২৩ সালের ৬ জানুয়ারি প্রতিবেদন দাখিল করেন।

প্রতিবেদনে আড়পাড়া খাদ্যগুদামের ১২টি খামাল থেকে ৮৯ লাখ ৫০ হাজার ৭৪৮ টাকা মূল্যের ১৮৯.৯৮ মেট্রিক টন চাল আত্মসাতের ঘটনা প্রমাণিত হয়। তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে সাময়িক বরখাস্তকৃত খাদ্য পরিদর্শক ও ওসিএলএসডি শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্র্নীতি দমন কমিশন ১৯৪৭ সালের ৪০৯ ধারা মোতাবেক এই মামলা দায়ের করে, যার মামলা নম্বর ০১/২০২৩।