ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাংনীতে রাস্তার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:২০:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৩৮ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:
মেহেরপুরের গাংনীতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) অর্থায়নে আইআরডি-৩ প্রকল্পে সড়ক সংস্কার কাজের নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। ১ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলার করমদী থেকে কল্যাণপুর কালিতলা পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণকাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চুয়াডাঙ্গার মেসার্স আরএম ব্রিক্স।
জানা গেছে, অনিয়মের অভিযোগে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হলেও প্রাইম কোড দিলেও নিয়ম না মেনেই সময়ের আগেই কার্পেটিং শুরু করেছে। প্রাইম কোড দেওয়ার পরে ট্যাগকোড দেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও তা সঠিকভাবে দেওয়া হচ্ছে না। অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে রাস্তার দুই পাশের কাটা মাটির মিশ্রিত বালি দিয়ে বক্স না করেই নিম্নমানের ইট, খোয়া ও কার্পেটিংয়ে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ কাজ বন্ধ করে দিলেও তিনি স্থান ত্যাগ করলেই আবারও কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করেন, গাংনী উপজেলায় উন্নয়নমূলক কাজের জন্য সরকার কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও সংশ্লিষ্টদের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। প্রকল্পগুলোতে নিম্নমানের নির্মাণ-সামগ্রী ব্যবহারের ফলে কিছুদিনের মধ্যেই রাস্তা ভেঙে জলে যাচ্ছে সরকারি টাকা। কয়েক মাস যেতে না যেতেই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে এসব সড়ক। ফলে দুর্ভোগের শিকার হতে হয় এলাকাবাসীদের।
স্থানীয় এক যুবক শামীম হোসেন বলেন, ‘রাস্তার কাজে অনিয়মের শেষ নেই। নিম্নমানের পিচ, পাথর দিয়ে তৈরি হচ্ছে রাস্তা। বিটুমিন মেশানোর মেশিনের কালো ধোঁয়ায় আমার ১৭ দিন বয়সী শিশুর শ্বাসকষ্টসহ আশেপাশে মানুষের অনেক সমস্যা হচ্ছে।’ তেতুঁলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা বিশ্বাস বলেন, ‘আমি গত তিনদিন আগে রাস্তাটি পরিদর্শন করেছি। একদমই নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা তৈরি হচ্ছে। উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারকে ইতঃমধ্যে জানানো হয়েছে।’
গাংনী উপজেলা এলজিডির প্রকৌশলী ফয়সাল হোসেন বলেন, ‘রাস্তাটি সকালে আমি পরিদর্শন করে এসেছি। তাদেরকে ট্যাগ কোড দিতে বলা হয়েছে। তারা যদি ঠিকঠাক মতো কাজ না কওে, তাহলে আমি কাজ বন্ধ করে দেব।’ মেহেরপুর এলজিডির নির্বাহী প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন জানান, ‘এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি টিম পরিদর্শন করে এর সত্যতা পেয়েছে। বিটুমিনের যে পরিমাণ তাপমাত্রা দেওয়ার কথা ছিল, তার থেকে অধিক পরিমাণ তাপমাত্রা দেওয়াই বিটুমিনগুলোকে ফেলে দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। তবে কাজ সাময়িকভাবে স্থগিত রয়েছে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

গাংনীতে রাস্তার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার

আপলোড টাইম : ০৮:২০:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদক:
মেহেরপুরের গাংনীতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) অর্থায়নে আইআরডি-৩ প্রকল্পে সড়ক সংস্কার কাজের নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। ১ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলার করমদী থেকে কল্যাণপুর কালিতলা পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণকাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চুয়াডাঙ্গার মেসার্স আরএম ব্রিক্স।
জানা গেছে, অনিয়মের অভিযোগে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হলেও প্রাইম কোড দিলেও নিয়ম না মেনেই সময়ের আগেই কার্পেটিং শুরু করেছে। প্রাইম কোড দেওয়ার পরে ট্যাগকোড দেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও তা সঠিকভাবে দেওয়া হচ্ছে না। অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে রাস্তার দুই পাশের কাটা মাটির মিশ্রিত বালি দিয়ে বক্স না করেই নিম্নমানের ইট, খোয়া ও কার্পেটিংয়ে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ কাজ বন্ধ করে দিলেও তিনি স্থান ত্যাগ করলেই আবারও কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করেন, গাংনী উপজেলায় উন্নয়নমূলক কাজের জন্য সরকার কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও সংশ্লিষ্টদের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। প্রকল্পগুলোতে নিম্নমানের নির্মাণ-সামগ্রী ব্যবহারের ফলে কিছুদিনের মধ্যেই রাস্তা ভেঙে জলে যাচ্ছে সরকারি টাকা। কয়েক মাস যেতে না যেতেই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে এসব সড়ক। ফলে দুর্ভোগের শিকার হতে হয় এলাকাবাসীদের।
স্থানীয় এক যুবক শামীম হোসেন বলেন, ‘রাস্তার কাজে অনিয়মের শেষ নেই। নিম্নমানের পিচ, পাথর দিয়ে তৈরি হচ্ছে রাস্তা। বিটুমিন মেশানোর মেশিনের কালো ধোঁয়ায় আমার ১৭ দিন বয়সী শিশুর শ্বাসকষ্টসহ আশেপাশে মানুষের অনেক সমস্যা হচ্ছে।’ তেতুঁলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা বিশ্বাস বলেন, ‘আমি গত তিনদিন আগে রাস্তাটি পরিদর্শন করেছি। একদমই নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা তৈরি হচ্ছে। উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারকে ইতঃমধ্যে জানানো হয়েছে।’
গাংনী উপজেলা এলজিডির প্রকৌশলী ফয়সাল হোসেন বলেন, ‘রাস্তাটি সকালে আমি পরিদর্শন করে এসেছি। তাদেরকে ট্যাগ কোড দিতে বলা হয়েছে। তারা যদি ঠিকঠাক মতো কাজ না কওে, তাহলে আমি কাজ বন্ধ করে দেব।’ মেহেরপুর এলজিডির নির্বাহী প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন জানান, ‘এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি টিম পরিদর্শন করে এর সত্যতা পেয়েছে। বিটুমিনের যে পরিমাণ তাপমাত্রা দেওয়ার কথা ছিল, তার থেকে অধিক পরিমাণ তাপমাত্রা দেওয়াই বিটুমিনগুলোকে ফেলে দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। তবে কাজ সাময়িকভাবে স্থগিত রয়েছে।’