ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অধ্যক্ষের স্বাক্ষর ছাড়া কলেজ ফান্ডের টাকা উত্তোলন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:১০:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৪১ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ সরকারি মাহতাব উদ্দিন কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমানের স্বাক্ষর ছাড়া বেআইনিভাবে কলেজ ফান্ডের টাকা উত্তোলনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে ঝিনাইদহ বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে মামলাটি করেন কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান। মামলাটি আমলে নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক নাজিম উদ দৌলা। এ মামলায় আসামি করা হয়েছে কলেজটির প্রধান হিসাবরক্ষক রজব আলী, সহকারী অধ্যাপক মনোজ কান্তি বিশ^াস, কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহান, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের কালীগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক এবিএম আহসানুল কবীর, ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসলেম উদ্দিন, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আখতার হোসেন ও ব্যাংকটির খুলনা বিভাগীয় জোনাল হেড মো. সাইদুর রহমানকে।
মামলার বিবরণে বাদী উল্লেখ করেন, কলেজটির অভ্যন্তরীন আনুসাঙ্গিক ব্যয় ও অবকাঠামোগত সংস্কার ব্যয় শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের চলতি হিসাব নম্বর ৫৮৫৮ এবং ৬১২৭ থেকে নির্বাহ করা হয়। হিসাব নম্বর দুটির অ্যাকাউন্ট হোল্ডার মামলার বাদী অধ্যক্ষ ড. মো. মাহবুবুর রহমান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহান। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মামলার ১ নম্বর আসামি কলেজটির প্রধান হিসাবরক্ষক রজব আলীর কাছে সংরক্ষিত ৫৮৫৮ নম্বর হিসাবের চেক বই থেকে নিজের হস্তাক্ষরে লিখিত ৬ লাখ ৮০ হাজার ২১ টাকা সম্বলিত চেকের পাতাটি বাদীর অনুমতি ও স্বাক্ষর ছাড়াই দুই নম্বর আসামি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মনোজ কান্তি বিশ^াস কর্তৃক স্বাক্ষর করে ৩ নম্বর আসামি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহান কর্তৃক প্রতিস্বাক্ষর স্থাপন পূর্বক ৪ নম্বর আসামি ব্যাংকের ম্যানেজার এবিএম আহসানুল কবীর বরাবর প্রেরিত ১৫(৪) ২০২৩/১৭৫ স্মারকের একটি বিধি বহির্ভূত পত্রাদেশ দিয়ে পারস্পারিক যোগসাজসে ৬ লাখ ৮০ হাজার ২১ টাকা আত্মসাৎ করেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, আসামিরা পারস্পারিক যোগসাজসে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ৫৮৫৮ ও ৬১২৭ নং হিসাবে সংরক্ষিত বিপুল পরিমাণে সরকারি অর্থ তছরুপ করার চক্রান্ত অব্যাহত রেখেছে। তারা যেকোন মুহূর্তে বেআইনিভাবে শাহাজালাল ইসলামী ব্যাংকের উক্ত হিসাব দুটির অপারেটর পরিবর্তন করে বা অন্য কোনো পন্থা অবলম্বন করে সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করতে পারে।
এ বিষয়ে কলেজটির অধ্যক্ষ ড. মো. মাহবুবুর রহমান জানান, ২০১৮ সালের ১২ আগস্ট কলেজটি সরকারি হওয়ার পর মাউশি অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পত্রাদেশ ছাড়া যারা পারস্পারিক যোগসাজসে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ৫৮৫৮ ও ৬১২৭ হিসাব নম্বর থেকে টাকা উত্তোলন করেছে, তিনি টাকা উত্তোলনের আদ্যপান্ত তদন্তপূর্বক দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
এ বিষয়ে জানতে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইসরাত জাহানের সরকারি মুঠোফেনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এদিকে ঝিনাইদহ দুর্নীতি দমন কমিশনের পিপি অ্যাডভোকেট মোকাররম হোসেন টুলু জানান, গতকাল সোমবার দুপুরে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলাটি করেন কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

অধ্যক্ষের স্বাক্ষর ছাড়া কলেজ ফান্ডের টাকা উত্তোলন

আপলোড টাইম : ০৮:১০:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ সরকারি মাহতাব উদ্দিন কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমানের স্বাক্ষর ছাড়া বেআইনিভাবে কলেজ ফান্ডের টাকা উত্তোলনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে ঝিনাইদহ বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে মামলাটি করেন কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান। মামলাটি আমলে নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক নাজিম উদ দৌলা। এ মামলায় আসামি করা হয়েছে কলেজটির প্রধান হিসাবরক্ষক রজব আলী, সহকারী অধ্যাপক মনোজ কান্তি বিশ^াস, কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহান, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের কালীগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক এবিএম আহসানুল কবীর, ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসলেম উদ্দিন, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আখতার হোসেন ও ব্যাংকটির খুলনা বিভাগীয় জোনাল হেড মো. সাইদুর রহমানকে।
মামলার বিবরণে বাদী উল্লেখ করেন, কলেজটির অভ্যন্তরীন আনুসাঙ্গিক ব্যয় ও অবকাঠামোগত সংস্কার ব্যয় শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের চলতি হিসাব নম্বর ৫৮৫৮ এবং ৬১২৭ থেকে নির্বাহ করা হয়। হিসাব নম্বর দুটির অ্যাকাউন্ট হোল্ডার মামলার বাদী অধ্যক্ষ ড. মো. মাহবুবুর রহমান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহান। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মামলার ১ নম্বর আসামি কলেজটির প্রধান হিসাবরক্ষক রজব আলীর কাছে সংরক্ষিত ৫৮৫৮ নম্বর হিসাবের চেক বই থেকে নিজের হস্তাক্ষরে লিখিত ৬ লাখ ৮০ হাজার ২১ টাকা সম্বলিত চেকের পাতাটি বাদীর অনুমতি ও স্বাক্ষর ছাড়াই দুই নম্বর আসামি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মনোজ কান্তি বিশ^াস কর্তৃক স্বাক্ষর করে ৩ নম্বর আসামি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহান কর্তৃক প্রতিস্বাক্ষর স্থাপন পূর্বক ৪ নম্বর আসামি ব্যাংকের ম্যানেজার এবিএম আহসানুল কবীর বরাবর প্রেরিত ১৫(৪) ২০২৩/১৭৫ স্মারকের একটি বিধি বহির্ভূত পত্রাদেশ দিয়ে পারস্পারিক যোগসাজসে ৬ লাখ ৮০ হাজার ২১ টাকা আত্মসাৎ করেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, আসামিরা পারস্পারিক যোগসাজসে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ৫৮৫৮ ও ৬১২৭ নং হিসাবে সংরক্ষিত বিপুল পরিমাণে সরকারি অর্থ তছরুপ করার চক্রান্ত অব্যাহত রেখেছে। তারা যেকোন মুহূর্তে বেআইনিভাবে শাহাজালাল ইসলামী ব্যাংকের উক্ত হিসাব দুটির অপারেটর পরিবর্তন করে বা অন্য কোনো পন্থা অবলম্বন করে সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করতে পারে।
এ বিষয়ে কলেজটির অধ্যক্ষ ড. মো. মাহবুবুর রহমান জানান, ২০১৮ সালের ১২ আগস্ট কলেজটি সরকারি হওয়ার পর মাউশি অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পত্রাদেশ ছাড়া যারা পারস্পারিক যোগসাজসে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ৫৮৫৮ ও ৬১২৭ হিসাব নম্বর থেকে টাকা উত্তোলন করেছে, তিনি টাকা উত্তোলনের আদ্যপান্ত তদন্তপূর্বক দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
এ বিষয়ে জানতে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইসরাত জাহানের সরকারি মুঠোফেনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এদিকে ঝিনাইদহ দুর্নীতি দমন কমিশনের পিপি অ্যাডভোকেট মোকাররম হোসেন টুলু জানান, গতকাল সোমবার দুপুরে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলাটি করেন কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।