ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাবলুর মৃত্যুতে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতা-কর্মীদের শোক

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৬:০৭:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৩৮ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় ১০ দফা দাবিতে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও ডাউকি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার বাবলু (৬৫)। গতকাল শনিবার বিকেল চারটায় বিএনপির পদযাত্রাটি পৌর শহরের সিঅ্যান্ডবিপাড়ায় এসে পৌঁছালে তিনি বুকে প্রচণ্ড ব্যাথা অনুভব করেন। এসময় তাঁর ছেলে জাহিদ হাসান শুভসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা তাঁকে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষ গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে লাশ পরিবারের সদস্যদের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
মৃত আব্দুল জব্বার বাবলুর ছেলে জাহিদ হাসান শুভ জানান, তাঁর পিতা দীর্ঘদিন যাবত হৃদরোগে ভুগছিলেন। তাঁর হার্টে দুটি রিং পরানো ছিল। গতকাল তিনি দলের কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন। হঠাৎ করে তিনি বুকে ব্যাথা অনুভব করলে তাঁকে চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁরা। হাসাাতালের ডাক্তার পরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানা যায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চুয়াডাঙ্গায় অনুষ্ঠিত পদযাত্রায় অংশ নিতে দুপুরের পূর্বেই একমাত্র ছেলে ও নেতা-কর্মীদের নিয়ে পদযাত্রায় অংশ নেন আব্দুল জব্বার বাবলু। পদযাত্রাটি চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের সিঅ্যান্ডবিপাড়ায় এসে পৌঁছালে তিনি বুকে প্রচণ্ড ব্যাথা নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় নেতা-কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। আব্দুল জব্বার বাবলু আলমডাঙ্গার ডাউকি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে ১৯৯৮ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আজ বেলা ১১টায় আলমডাঙ্গা দারুস সালাম ঈদগাহ ময়দানে তাঁর জানাজা শেষে একই কবরস্থানে তাঁর দাফন কার্য সম্পন্ন করা হবে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, নিরপেক্ষ নির্বাচন ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারসহ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে দুপুরে জেলায় পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু করা হয়। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে পদযাত্রাটি পুলিশ লাইন্স পার হয়ে সিঅ্যান্ডবিপাড়ায় পৌঁছালে আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল জব্বার বাবলু হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাৎক্ষণিক তাঁকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি হার্টের রোগী ছিলেন, তাঁর হার্টে দুটি রিং পরানো ছিল। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জোবাইদা জামাল জয়া বলেন, ‘বিকেলে পৌঁনে পাঁচটার দিকে বেশ কয়েকজন আব্দুল জব্বারকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। জানতে পারি তিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এসময় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।’
এদিকে, বর্ষিয়ান এ নেতার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, ‘বিএনপি’র কেন্দ্র ঘোষিত পদযাত্রা কর্মসূচি চলাকালে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী আব্দুল জব্বার বাবলুর মৃত্যুতে শোক জানানোর ভাষা আমি হারিয়ে ফেলেছি। আকস্মিকভাবে তাঁর এই মৃত্যু অত্যন্ত বেদনার। তিনি আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতা ছিলেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম-এর নীতি ও আদর্শ এবং বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শন বুকে ধারণ করে গণতান্ত্রিক অধিকারের স্বপক্ষে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন। দোয়া করি মহান রাব্বুল আলামীন যেন তাঁকে জান্নাত নসীব এবং গভীর শোকে শোকাহত পরিবারবর্গকে ধৈর্য ধারণের ক্ষমতা দান করেন। আমি আব্দুল জব্বার বাবলুর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকার্ত পরিবারবর্গ, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা।’
এছাড়াও গভীর শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত কোষাধ্যক্ষ মাহমুদ হাসান খান বাবু এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ।
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে এক শোকবার্তায় বাবু খান ও শরীফ বলেন, ‘আব্দুল জব্বার বাবলু ছিলেন আমৃত্যু সংগ্রামী। দলের জন্য এমন নিবেদিত অন্ত:প্রাণ মানুষ খুব কমই দেখা যায়। দলের কঠিন সংকটে আলমডাঙ্গা উপজেলার মতো একটি বৃহত্তর ইউনিটকে তৃণমূল পর্যায়ে থেকে সুসংগঠিত করতে নিরলস পরিশ্রম করেছেন। তিনি ছিলেন একজন ধর্মপ্রাণ সামাজিক ব্যক্তিত্ব; যার পদচারণা ছিল উল্লেখযোগ্য। দলের দুর্দিনে দুঃসাহসিক নেতাকে হারিয়ে জেলা বিএনপি হতবিহ্বল। আমরা গভীর শোকে আচ্ছন্ন। জাতীয়তাবাদী পরিবার কখনো তাকে ভুলবে না, দল সারাজীবন মনে রাখবে। আমরা মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। একজন সংগ্রামী আপসহীন নেতা আব্দুল জব্বার বাবলু সারাজীবন দলের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।’
এছাড়াও চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদল আব্দুল জব্বার বাবলুর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহাজান খান ও সাধারণ সম্পাদক মোমিন মালিতা এক শোকবার্তায় বলেন, আলমডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহিদ হাসান শুভর পিতা ছিলেন আব্দুল জব্বার বাবলু। তিনি ছিলেন আমাদের অনুপ্রেরণা। ছাত্রদলকে তিনি নিজের পরিবারের মতোই দেখতেন। তার মৃত্যুতে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদল গভীরভাবে শোকাহত। জেলা ছাত্রদল মনে করে, আব্দুল জব্বার বাবলুর মতো ত্যাগী নেতার মৃত্যু চলমান আন্দোলন সংগ্রামের জন্য বড় ধাক্কা। জেলা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং সেই সাথে শোক সন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

বাবলুর মৃত্যুতে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতা-কর্মীদের শোক

আপলোড টাইম : ০৬:০৭:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় ১০ দফা দাবিতে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও ডাউকি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার বাবলু (৬৫)। গতকাল শনিবার বিকেল চারটায় বিএনপির পদযাত্রাটি পৌর শহরের সিঅ্যান্ডবিপাড়ায় এসে পৌঁছালে তিনি বুকে প্রচণ্ড ব্যাথা অনুভব করেন। এসময় তাঁর ছেলে জাহিদ হাসান শুভসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা তাঁকে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষ গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে লাশ পরিবারের সদস্যদের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
মৃত আব্দুল জব্বার বাবলুর ছেলে জাহিদ হাসান শুভ জানান, তাঁর পিতা দীর্ঘদিন যাবত হৃদরোগে ভুগছিলেন। তাঁর হার্টে দুটি রিং পরানো ছিল। গতকাল তিনি দলের কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন। হঠাৎ করে তিনি বুকে ব্যাথা অনুভব করলে তাঁকে চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁরা। হাসাাতালের ডাক্তার পরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানা যায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চুয়াডাঙ্গায় অনুষ্ঠিত পদযাত্রায় অংশ নিতে দুপুরের পূর্বেই একমাত্র ছেলে ও নেতা-কর্মীদের নিয়ে পদযাত্রায় অংশ নেন আব্দুল জব্বার বাবলু। পদযাত্রাটি চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের সিঅ্যান্ডবিপাড়ায় এসে পৌঁছালে তিনি বুকে প্রচণ্ড ব্যাথা নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় নেতা-কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। আব্দুল জব্বার বাবলু আলমডাঙ্গার ডাউকি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে ১৯৯৮ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আজ বেলা ১১টায় আলমডাঙ্গা দারুস সালাম ঈদগাহ ময়দানে তাঁর জানাজা শেষে একই কবরস্থানে তাঁর দাফন কার্য সম্পন্ন করা হবে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, নিরপেক্ষ নির্বাচন ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারসহ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে দুপুরে জেলায় পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু করা হয়। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে পদযাত্রাটি পুলিশ লাইন্স পার হয়ে সিঅ্যান্ডবিপাড়ায় পৌঁছালে আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল জব্বার বাবলু হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাৎক্ষণিক তাঁকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি হার্টের রোগী ছিলেন, তাঁর হার্টে দুটি রিং পরানো ছিল। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জোবাইদা জামাল জয়া বলেন, ‘বিকেলে পৌঁনে পাঁচটার দিকে বেশ কয়েকজন আব্দুল জব্বারকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। জানতে পারি তিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এসময় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।’
এদিকে, বর্ষিয়ান এ নেতার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, ‘বিএনপি’র কেন্দ্র ঘোষিত পদযাত্রা কর্মসূচি চলাকালে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী আব্দুল জব্বার বাবলুর মৃত্যুতে শোক জানানোর ভাষা আমি হারিয়ে ফেলেছি। আকস্মিকভাবে তাঁর এই মৃত্যু অত্যন্ত বেদনার। তিনি আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতা ছিলেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম-এর নীতি ও আদর্শ এবং বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শন বুকে ধারণ করে গণতান্ত্রিক অধিকারের স্বপক্ষে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন। দোয়া করি মহান রাব্বুল আলামীন যেন তাঁকে জান্নাত নসীব এবং গভীর শোকে শোকাহত পরিবারবর্গকে ধৈর্য ধারণের ক্ষমতা দান করেন। আমি আব্দুল জব্বার বাবলুর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকার্ত পরিবারবর্গ, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা।’
এছাড়াও গভীর শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত কোষাধ্যক্ষ মাহমুদ হাসান খান বাবু এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ।
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে এক শোকবার্তায় বাবু খান ও শরীফ বলেন, ‘আব্দুল জব্বার বাবলু ছিলেন আমৃত্যু সংগ্রামী। দলের জন্য এমন নিবেদিত অন্ত:প্রাণ মানুষ খুব কমই দেখা যায়। দলের কঠিন সংকটে আলমডাঙ্গা উপজেলার মতো একটি বৃহত্তর ইউনিটকে তৃণমূল পর্যায়ে থেকে সুসংগঠিত করতে নিরলস পরিশ্রম করেছেন। তিনি ছিলেন একজন ধর্মপ্রাণ সামাজিক ব্যক্তিত্ব; যার পদচারণা ছিল উল্লেখযোগ্য। দলের দুর্দিনে দুঃসাহসিক নেতাকে হারিয়ে জেলা বিএনপি হতবিহ্বল। আমরা গভীর শোকে আচ্ছন্ন। জাতীয়তাবাদী পরিবার কখনো তাকে ভুলবে না, দল সারাজীবন মনে রাখবে। আমরা মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। একজন সংগ্রামী আপসহীন নেতা আব্দুল জব্বার বাবলু সারাজীবন দলের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।’
এছাড়াও চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদল আব্দুল জব্বার বাবলুর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহাজান খান ও সাধারণ সম্পাদক মোমিন মালিতা এক শোকবার্তায় বলেন, আলমডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহিদ হাসান শুভর পিতা ছিলেন আব্দুল জব্বার বাবলু। তিনি ছিলেন আমাদের অনুপ্রেরণা। ছাত্রদলকে তিনি নিজের পরিবারের মতোই দেখতেন। তার মৃত্যুতে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদল গভীরভাবে শোকাহত। জেলা ছাত্রদল মনে করে, আব্দুল জব্বার বাবলুর মতো ত্যাগী নেতার মৃত্যু চলমান আন্দোলন সংগ্রামের জন্য বড় ধাক্কা। জেলা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং সেই সাথে শোক সন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।