ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে ধর্ষণ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:০১:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৩১ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে একটি ধর্ষণ মামলায় জামিন নিতে আদালতে হাজির হলে ঝিনাইদহ নারী ও শিশু আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের পিপি অ্যাড. বজলুর রহমান এ খবর নিশ্চত করে জানান, ‘ধর্ষক’ ফরিদ উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষ তার জামিন বাতিলের জন্য হাইকোর্টের এ্যপিলেট ডিভিশনে আবেদন করলে তার জামিন বাতিল হয়। জামিন বাতিল হওয়ার পর ফারুকুজ্জামান ফরিদ গতকাল নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। কিন্তু বিজ্ঞ আদালত তার জামিন অগ্রাহ্য করে জেলহাজতে পাঠান।
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ এপ্রিল চম্পা খাতুন নামে এক নারী ঝিনাইদহ সদর থানায় নিজে বাদী হয়ে চেয়ারম্যান ফরিদ ও তার গাড়ি চালকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। ১৫ এপ্রিল ওই নারী একজন বিচারপ্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যানের দারস্থ হলে ফারুকুজ্জামান ফরিদ তার গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার নরহরিদ্রা গ্রামে নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করিয়ে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণ মামলা দায়েরের পর উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নেন চেয়ারম্যান ফরিদ। পরবর্তীতে ডিএনএ টেস্টে ফরিদের সম্পৃক্তা ধরা পড়ে। ভুক্তভোগী নারী গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, বিচার চাইতে গিয়ে ফরিদ চেয়ারম্যানের লালসার শিকার হন তিনি। সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে চেয়ারম্যান নরহরিদ্রা গ্রামে তার গ্রামের বাড়িতে ডেকে নেন। গ্রামের বাড়িতে পৌছালে তাকে দুইতলার একটি কক্ষে নিয়ে যান এবং নেশাজাতীয় কিছু সেবন করিয়ে ফরিদ ধর্ষণ করে। এদিকে চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফরিদ তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা হওয়ার পর থেকেই বলে আসছেন বিষয়টি তার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রের অংশ। কিন্তু চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফরিদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা ও একাধিকবার কারাগারে গেলেও নৈতিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিরুদ্ধে উপজেলা ও জেলা প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঝিনাইদহে ধর্ষণ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে

আপলোড টাইম : ০৮:০১:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে একটি ধর্ষণ মামলায় জামিন নিতে আদালতে হাজির হলে ঝিনাইদহ নারী ও শিশু আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের পিপি অ্যাড. বজলুর রহমান এ খবর নিশ্চত করে জানান, ‘ধর্ষক’ ফরিদ উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষ তার জামিন বাতিলের জন্য হাইকোর্টের এ্যপিলেট ডিভিশনে আবেদন করলে তার জামিন বাতিল হয়। জামিন বাতিল হওয়ার পর ফারুকুজ্জামান ফরিদ গতকাল নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। কিন্তু বিজ্ঞ আদালত তার জামিন অগ্রাহ্য করে জেলহাজতে পাঠান।
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ এপ্রিল চম্পা খাতুন নামে এক নারী ঝিনাইদহ সদর থানায় নিজে বাদী হয়ে চেয়ারম্যান ফরিদ ও তার গাড়ি চালকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। ১৫ এপ্রিল ওই নারী একজন বিচারপ্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যানের দারস্থ হলে ফারুকুজ্জামান ফরিদ তার গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার নরহরিদ্রা গ্রামে নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করিয়ে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণ মামলা দায়েরের পর উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নেন চেয়ারম্যান ফরিদ। পরবর্তীতে ডিএনএ টেস্টে ফরিদের সম্পৃক্তা ধরা পড়ে। ভুক্তভোগী নারী গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, বিচার চাইতে গিয়ে ফরিদ চেয়ারম্যানের লালসার শিকার হন তিনি। সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে চেয়ারম্যান নরহরিদ্রা গ্রামে তার গ্রামের বাড়িতে ডেকে নেন। গ্রামের বাড়িতে পৌছালে তাকে দুইতলার একটি কক্ষে নিয়ে যান এবং নেশাজাতীয় কিছু সেবন করিয়ে ফরিদ ধর্ষণ করে। এদিকে চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফরিদ তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা হওয়ার পর থেকেই বলে আসছেন বিষয়টি তার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রের অংশ। কিন্তু চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফরিদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা ও একাধিকবার কারাগারে গেলেও নৈতিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিরুদ্ধে উপজেলা ও জেলা প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।