ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইবি ছাত্রীকে নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ছাত্রলীগ নেত্রীর ভিডিও ধারণ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:১৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৩৯ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাখা ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তার বিরুদ্ধে নবীন শিক্ষার্থীকে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টর বরাবর এ অভিযোগ করেন ফুলপরী খাতুন নামের নবীন শিক্ষার্থী। তবে অভিযোগপত্রে সংযুক্ত করা মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি দুই দফায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলের আবাসিক ছাত্রী এবং পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা নেতৃত্বে ৭-৮ জন ওই শিক্ষার্থীকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে। পরে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। পরদিন সোমবার খুব সকালে জীবন বাঁচাতে ওই শিক্ষার্থী হল থেকে পালিয়ে গ্রামের বাড়ি পাবনাতে চলে যান। তারপর সকালে তাঁকে হলে না পেয়ে ছাত্রলীগ নেত্রী অন্তরাসহ অন্যরা একাধিকবার ফোন দেয়। কিন্তু ভয়ে তিনি কারো ফোনই রিসিভ করেননি। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী পরিবারের সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী বলেন, ‘ওই মেয়ে কি কোনো অভিযোগ দিয়েছে? প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েছে?’ এরপর তিনি দাবি করেন, ‘অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই। ওই মেয়ে মিথ্যা বলছে। হয়ত এক কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি উপাচার্যের কাছে এসেছি। ওই মেয়ে যে মিথ্যুক, তার প্রমাণ উপাচার্যকে দেওয়া হচ্ছে।’ ইবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। বিষয়টি খোঁজখবর নেওয়া হবে। যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তবে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেন, ‘প্রথম বর্ষের এক মেয়ে কিছু সিনিয়রদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে বলে অভিযোগ করেছিল কিছু ছাত্রী। পরে আমি ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা মিলে বিষয়টি মিটমাট করে দিই। কিন্তু পরে তার সাথে কী হয়েছে, এ বিষয়ে কেউ কিছু জানায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা হল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. শেলীনা নাসরিন বলেন, ‘আমরা র‌্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে বরাবরই জিরো টলারেন্স। ওই ছাত্রীর বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টির সত্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, বিষয়টি জেনেছি। উভয়পক্ষের কথা শুনে বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ইবি ছাত্রীকে নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ছাত্রলীগ নেত্রীর ভিডিও ধারণ

আপলোড টাইম : ১১:১৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

ঝিনাইদহ অফিস:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাখা ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তার বিরুদ্ধে নবীন শিক্ষার্থীকে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টর বরাবর এ অভিযোগ করেন ফুলপরী খাতুন নামের নবীন শিক্ষার্থী। তবে অভিযোগপত্রে সংযুক্ত করা মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি দুই দফায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলের আবাসিক ছাত্রী এবং পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা নেতৃত্বে ৭-৮ জন ওই শিক্ষার্থীকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে। পরে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। পরদিন সোমবার খুব সকালে জীবন বাঁচাতে ওই শিক্ষার্থী হল থেকে পালিয়ে গ্রামের বাড়ি পাবনাতে চলে যান। তারপর সকালে তাঁকে হলে না পেয়ে ছাত্রলীগ নেত্রী অন্তরাসহ অন্যরা একাধিকবার ফোন দেয়। কিন্তু ভয়ে তিনি কারো ফোনই রিসিভ করেননি। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী পরিবারের সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী বলেন, ‘ওই মেয়ে কি কোনো অভিযোগ দিয়েছে? প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েছে?’ এরপর তিনি দাবি করেন, ‘অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই। ওই মেয়ে মিথ্যা বলছে। হয়ত এক কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি উপাচার্যের কাছে এসেছি। ওই মেয়ে যে মিথ্যুক, তার প্রমাণ উপাচার্যকে দেওয়া হচ্ছে।’ ইবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। বিষয়টি খোঁজখবর নেওয়া হবে। যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তবে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেন, ‘প্রথম বর্ষের এক মেয়ে কিছু সিনিয়রদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে বলে অভিযোগ করেছিল কিছু ছাত্রী। পরে আমি ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা মিলে বিষয়টি মিটমাট করে দিই। কিন্তু পরে তার সাথে কী হয়েছে, এ বিষয়ে কেউ কিছু জানায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা হল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. শেলীনা নাসরিন বলেন, ‘আমরা র‌্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে বরাবরই জিরো টলারেন্স। ওই ছাত্রীর বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টির সত্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, বিষয়টি জেনেছি। উভয়পক্ষের কথা শুনে বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।