ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেহেরপুর অনলাইন জুয়ায় জড়িত অভিযোগে ৩ জন গ্রেপ্তার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:১৪:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৩৬ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
অনলাইন জুয়ায় জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মেহেরপুর ডিবি পুলিশের একটি দল গত শনিবার রাজধানীর মিরপুর-২ এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে দুজন ও মুজিবনগর থানা পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করে। এরা হচ্ছেন- অনলাইন জুয়ার বাংলাদেশের সেকেন্ড ম্যান হিসেবে খ্যাত মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার কোমরপুর গ্রামের মাদার আলীর ছেলে মোস্তাক নাহিদ অনিক (২২), একই গ্রামের মোস্তাকিন আলীর ছেলে মেহেদী হাসিব (২২) ও দারিয়াপুর গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে মুশফিকুর রহমান রিমেট (২৩)। গত রোববার বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, মেহেরপুর ডিবির এসআই আশরাফুল ইসলামের নেতৃতে পুলিশের একটি টিম রাজধানীর মিরপুর-২ এলাকার একটি আবাসিক ভবনে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় অনিকের কাছে থেকে দুটি এবং হাসিবের কাছে থেকে একটি অনলাইন জুয়ার চ্যানেলসহ হাতেনাতে তাদের গ্রেপ্তার করে। অনিকের কাছে দুটি অনলাইন চ্যানেলের মধ্যে একটি তার নামে এবং অপরটি তার পিতা মাদারের নামে রয়েছে। প্রতিটি চ্যানেলে গড়ে প্রতিদিন আয় হয় ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। পুলিশ আরো জানায়, মোস্তাক নাহিদ অনিক বাংলাদেশের অনলাইন জুয়া কার্যক্রমের সেকেন্ড ম্যান হিসেবে সকল কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিলো। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ তারা জানিয়েছে মেহেরপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে ২০টি চ্যানেল দেওয়া আছে। যেগুলো সিম সরবরাহ করে তার অনিকের পিতা মাদার আলী। আর এগুলো সব নিয়ন্ত্রণ করে অনিক নিজে।
রাশিয়া থেকে বাংলাদেশে অনলাইন জুয়ার পুরো কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে এক ব্যক্তি। অনিক বাংলাদেশের সেকেন্ড ম্যান হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করেন। অনিকের অনুমোদন ছাড়া কাউকে এ চ্যানেল দেওয়া হয় না। এ জন্য অনিক পেয়ে থাকেন চ্যানেলের ৮ শতাংশ। এভাবে মেহেপুরের দুই শতাধিক তরুণ ও বিভিন্ন বয়সের মানুষকে তারা অনলাইন জুয়ার সাথে জড়িয়েছে। এদিকে, মুজিবনগর থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে মুশফিকুর রহমান রিমেটকে। তার বিরুদ্ধেও রয়েছে অনলাইন জুয়ার অভিযোগ। মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) আজমল হোসেন জানান, আটক আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অনলাইন জুয়ার সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মেহেরপুর অনলাইন জুয়ায় জড়িত অভিযোগে ৩ জন গ্রেপ্তার

আপলোড টাইম : ০৫:১৪:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদন:
অনলাইন জুয়ায় জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মেহেরপুর ডিবি পুলিশের একটি দল গত শনিবার রাজধানীর মিরপুর-২ এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে দুজন ও মুজিবনগর থানা পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করে। এরা হচ্ছেন- অনলাইন জুয়ার বাংলাদেশের সেকেন্ড ম্যান হিসেবে খ্যাত মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার কোমরপুর গ্রামের মাদার আলীর ছেলে মোস্তাক নাহিদ অনিক (২২), একই গ্রামের মোস্তাকিন আলীর ছেলে মেহেদী হাসিব (২২) ও দারিয়াপুর গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে মুশফিকুর রহমান রিমেট (২৩)। গত রোববার বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, মেহেরপুর ডিবির এসআই আশরাফুল ইসলামের নেতৃতে পুলিশের একটি টিম রাজধানীর মিরপুর-২ এলাকার একটি আবাসিক ভবনে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় অনিকের কাছে থেকে দুটি এবং হাসিবের কাছে থেকে একটি অনলাইন জুয়ার চ্যানেলসহ হাতেনাতে তাদের গ্রেপ্তার করে। অনিকের কাছে দুটি অনলাইন চ্যানেলের মধ্যে একটি তার নামে এবং অপরটি তার পিতা মাদারের নামে রয়েছে। প্রতিটি চ্যানেলে গড়ে প্রতিদিন আয় হয় ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। পুলিশ আরো জানায়, মোস্তাক নাহিদ অনিক বাংলাদেশের অনলাইন জুয়া কার্যক্রমের সেকেন্ড ম্যান হিসেবে সকল কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিলো। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ তারা জানিয়েছে মেহেরপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে ২০টি চ্যানেল দেওয়া আছে। যেগুলো সিম সরবরাহ করে তার অনিকের পিতা মাদার আলী। আর এগুলো সব নিয়ন্ত্রণ করে অনিক নিজে।
রাশিয়া থেকে বাংলাদেশে অনলাইন জুয়ার পুরো কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে এক ব্যক্তি। অনিক বাংলাদেশের সেকেন্ড ম্যান হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করেন। অনিকের অনুমোদন ছাড়া কাউকে এ চ্যানেল দেওয়া হয় না। এ জন্য অনিক পেয়ে থাকেন চ্যানেলের ৮ শতাংশ। এভাবে মেহেপুরের দুই শতাধিক তরুণ ও বিভিন্ন বয়সের মানুষকে তারা অনলাইন জুয়ার সাথে জড়িয়েছে। এদিকে, মুজিবনগর থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে মুশফিকুর রহমান রিমেটকে। তার বিরুদ্ধেও রয়েছে অনলাইন জুয়ার অভিযোগ। মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) আজমল হোসেন জানান, আটক আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অনলাইন জুয়ার সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।