ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:৩৩:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ১৭ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, ডাকবাংলা:
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ৩০০ জন কৃষকের মধ্যে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষের জন্য কৃষক প্রতি ২ হাজার ৮০০ টাকা, ৪০ কেজি ইউরিয়া ফসফরাস জাতীয় সার ও এক কেজি উন্নতজাতের পেঁয়াজের বীজ, ১ রোল পলিথিন ও কৃষকের প্রশিক্ষণ বাবদ ৭৫০ টাকা বিতরণে অনিয়ম হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এই প্রকল্পে সদর উপজেলার কৃষি বিভাগ স্বজনপ্রীতি, কৃষক নির্বাচনে অবহেলা, যাকে-তাকে কৃষক সাজিয়ে বীজ বিতরণসহ দেরিতে বীজ দেওয়া হয়েছে। এতে সরকার কৃষকের জন্য ব্যাপক ব্যয় করলেও কৃষি বিভাগের অবহেলায় কৃষকেরা কাক্সিক্ষত পেঁয়াজ উৎপাদন করতে পারছেন না।
জানা গেছে, সরকারের এ প্রকল্পে বরাদ্দ ছিল প্রায় ৪০ লাখ টাকা। তবে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে বরাদ্দকৃত এই অর্থ দেশের কোনো কাজেই আসেনি। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদুল করিমের নিকট কৃষকের তালিকা জানতে চাইলে তিনি তালিকা প্রদান না করার জন্য বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করেন। গত ১০ ডিসেম্বর কৃষকের তালিকা চাইলে তিনি বিধি মোতাবেক আবেদন করার জন্য বলেন। ১৮ ডিসেম্বর আবেদন করলে ই-মেইলে জাননো হয় ২০ কার্যদিবসের মধ্যে তালিকা প্রদান করা হবে। তবে এই সময়ের পর মাঠে গেলে কোথাও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের খেত পাওয়া যাবে না।
গত ৮ জানুয়ারি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ই-মেইলে আরও জানান, তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এর ৯ ধারা এর (৬ ও ৭ উপধারা মোতাবেক ধারা) মোতাবেক ইলেকট্রনিক ফরম্যাট বাবদ ৪০০ কৃষকের তালিকা প্রদানের জন্য ৪০০ টাকা খরচ দাবি দিতে হবে। অথচ ওই ধারায় তথ্য প্রদানের মূল্য স্বরূপ ফটোকপি প্রতি কপি ২ টাকা করে নেওয়ার কথা আছে। ই-মেইল করলে তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী বিনা খরচে তথ্য প্রদানের নিয়ম আছে। তখন সাংবাদিক এই তথ্য নেওয়ার জন্য ১৫ই জানুয়ারি সোনালী ব্যাংকে ৪০০ টাকা ফি জমা দিয়ে এই তথ্য সংগ্রহ করেন।
কৃষকের তালিকা পাওয়ার পর মাঠ পর্যায়ে সরেজমিনে ব্যাপক অনিয়মের তথ্য পাওয়া যায়। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটি ইউনিয়নের সাধুহাটি গ্রামে ১১ জন কৃষকের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের প্রণোদনা সরবরাহ করা হয়েছে। তবে কোনো পেঁয়াজের খেত পাওয়া যায়নি। শাহীন নামের একজন কৃষক দাবি করেন, তিনি এই জমিতে পেঁয়াজ করেছিলেন, তবে বর্তমানে সেই জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছে। কৃষি বিভাগের রসুনের প্রদর্শিত খামারের রসুন বপনের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০২২। পেঁয়াজের বীজ বিতরণের তারিখ দেখানো হয়েছে ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২। কৃষক রাশিদুল বলেন, অন্যদের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ বিতরণের প্রায় এক মাস পরে আমাদের কয়েকজনকে বীজ দেওয়া হয়েছে। একটি খেতেও কোনো প্রদর্শনী সাইনবোর্ড পাওয়া যায়নি। কৃষক সুমনের যে খেতে রসুনের প্রদর্শনী করা হয়েছে, সে খেত মাত্র ১৭ শতক জমি হবে। কিন্তু প্রদর্শনী সাইনবোর্ডে ৩৩ শতক জমি লেখা হয়ছে।
এ বিষয়ে সাধুহাটি ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মিলন ঘোষ বলেন, যে সব জমিতে সঠিকভাবে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে, সে সব জমির পেঁয়াজ ওঠায় কৃষকেরা বিক্রি করে ফেলেছেন বলে কৃষকের খেতে কোনো পেঁয়াজ দেখা যায়নি। যে অঞ্চলে পেঁয়াজ ভালো হয়, সেই অঞ্চলেই চাষীদের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ বিতরণ করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, এই পেঁয়াজের মেয়াদকাল কত দিনের? প্রতিউত্তরে তিনি জানান, ১০০ থেকে ১২০ দিন। তখন তাঁর কাছে বর্তমানে জমিতে পেঁয়াজ নাই কেন জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের সাথে আমাদের এই বিষয়ে কথা বলা নিষেধ আছে। আপনারা আমার স্যার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল করিমের সঙ্গে যোগাযোগ করে কথা বলতে পারেন।’
সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়নে পাওয়া যায় সাধুহাটি ইউনিয়নের উল্টো চিত্র। পন্ডিতপুর গ্রামের সাতজন কৃষক তাঁরা তাঁদের জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের চারা রোপন করেছেন সবেমাত্র ১৫-২০ দিন হলো। তবে পুটিয়া গ্রামের সজীব নাম করে একজন কৃষকের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ বিতরণ করেছে। তিনি মুরগির ব্যবসা করেন। তার এক বিঘা জমি বন্ধক রেখে গমের চাষ করেছে। তার কোন পেঁয়াজের চাষ নাই। তাছাড়া কলমান খালি গ্রামের এক মহিলাকে পেঁয়াজ চাষী সাজিয়ে তাকে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের প্রণোদনা বিতরণ করেছে। সে প্রকৃতপক্ষে কোন কৃষক নয় । সে অত্র ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি অফিসারের সন্তানের দেখভাল করে এই সুবাদে তাকে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের প্রণোদনা দেয়া হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে দোগাছি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান কাজল জানান এই ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তার যাদের সাথে সম্পর্ক ভালো শুধু তাদেরকেই বিভিন্ন প্রকার সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকেন। আমি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হলেও কৃষকের ব্যাপারে আমার সাথে কোন পরামর্শ করা হয় না। যার কারণে যারা প্রকৃত কৃষক তারা অনেকেই কৃষি বিভাগের বিভিন্ন প্রকার সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে দোগাছি ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কুহেলি বিশ্বাস এর সঙ্গে কথা বললে সে বলে যে কোন প্রকার অনিয়ম স্বজনপ্রীতি এখানে ঘটেনি প্রকৃত কৃষকদেরই পেঁয়াজের প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। চেয়ারম্যানের পরামর্শই তা হয়েছে বলে সে দাবি করেন। সে বলে যে ধান কাটার পরে আমার কৃষকেরা গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের চাষ করেছে। তাই এখনো তাদের পেয়াজ মাঠে রয়েছে। এই পেয়াজ আরো দেড় দুই মাস পর কৃষক তুলতে পারবে বলে সে দাবি করেন।
এই প্রসঙ্গে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল বললে, সে বলে নিয়ম মোতাবেক যথাযথ সময়ে কৃষকের মাঝে পেঁয়াজের প্রণোদনা বিতরণ করা হয়েছে। এতদিনে কৃষকের মাঠে আর গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ নেই বলে জানান এই কর্মকর্তা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঝিনাইদহে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

আপলোড টাইম : ০৭:৩৩:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

প্রতিবেদক, ডাকবাংলা:
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ৩০০ জন কৃষকের মধ্যে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষের জন্য কৃষক প্রতি ২ হাজার ৮০০ টাকা, ৪০ কেজি ইউরিয়া ফসফরাস জাতীয় সার ও এক কেজি উন্নতজাতের পেঁয়াজের বীজ, ১ রোল পলিথিন ও কৃষকের প্রশিক্ষণ বাবদ ৭৫০ টাকা বিতরণে অনিয়ম হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এই প্রকল্পে সদর উপজেলার কৃষি বিভাগ স্বজনপ্রীতি, কৃষক নির্বাচনে অবহেলা, যাকে-তাকে কৃষক সাজিয়ে বীজ বিতরণসহ দেরিতে বীজ দেওয়া হয়েছে। এতে সরকার কৃষকের জন্য ব্যাপক ব্যয় করলেও কৃষি বিভাগের অবহেলায় কৃষকেরা কাক্সিক্ষত পেঁয়াজ উৎপাদন করতে পারছেন না।
জানা গেছে, সরকারের এ প্রকল্পে বরাদ্দ ছিল প্রায় ৪০ লাখ টাকা। তবে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে বরাদ্দকৃত এই অর্থ দেশের কোনো কাজেই আসেনি। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদুল করিমের নিকট কৃষকের তালিকা জানতে চাইলে তিনি তালিকা প্রদান না করার জন্য বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করেন। গত ১০ ডিসেম্বর কৃষকের তালিকা চাইলে তিনি বিধি মোতাবেক আবেদন করার জন্য বলেন। ১৮ ডিসেম্বর আবেদন করলে ই-মেইলে জাননো হয় ২০ কার্যদিবসের মধ্যে তালিকা প্রদান করা হবে। তবে এই সময়ের পর মাঠে গেলে কোথাও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের খেত পাওয়া যাবে না।
গত ৮ জানুয়ারি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ই-মেইলে আরও জানান, তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এর ৯ ধারা এর (৬ ও ৭ উপধারা মোতাবেক ধারা) মোতাবেক ইলেকট্রনিক ফরম্যাট বাবদ ৪০০ কৃষকের তালিকা প্রদানের জন্য ৪০০ টাকা খরচ দাবি দিতে হবে। অথচ ওই ধারায় তথ্য প্রদানের মূল্য স্বরূপ ফটোকপি প্রতি কপি ২ টাকা করে নেওয়ার কথা আছে। ই-মেইল করলে তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী বিনা খরচে তথ্য প্রদানের নিয়ম আছে। তখন সাংবাদিক এই তথ্য নেওয়ার জন্য ১৫ই জানুয়ারি সোনালী ব্যাংকে ৪০০ টাকা ফি জমা দিয়ে এই তথ্য সংগ্রহ করেন।
কৃষকের তালিকা পাওয়ার পর মাঠ পর্যায়ে সরেজমিনে ব্যাপক অনিয়মের তথ্য পাওয়া যায়। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটি ইউনিয়নের সাধুহাটি গ্রামে ১১ জন কৃষকের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের প্রণোদনা সরবরাহ করা হয়েছে। তবে কোনো পেঁয়াজের খেত পাওয়া যায়নি। শাহীন নামের একজন কৃষক দাবি করেন, তিনি এই জমিতে পেঁয়াজ করেছিলেন, তবে বর্তমানে সেই জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছে। কৃষি বিভাগের রসুনের প্রদর্শিত খামারের রসুন বপনের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০২২। পেঁয়াজের বীজ বিতরণের তারিখ দেখানো হয়েছে ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২। কৃষক রাশিদুল বলেন, অন্যদের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ বিতরণের প্রায় এক মাস পরে আমাদের কয়েকজনকে বীজ দেওয়া হয়েছে। একটি খেতেও কোনো প্রদর্শনী সাইনবোর্ড পাওয়া যায়নি। কৃষক সুমনের যে খেতে রসুনের প্রদর্শনী করা হয়েছে, সে খেত মাত্র ১৭ শতক জমি হবে। কিন্তু প্রদর্শনী সাইনবোর্ডে ৩৩ শতক জমি লেখা হয়ছে।
এ বিষয়ে সাধুহাটি ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মিলন ঘোষ বলেন, যে সব জমিতে সঠিকভাবে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে, সে সব জমির পেঁয়াজ ওঠায় কৃষকেরা বিক্রি করে ফেলেছেন বলে কৃষকের খেতে কোনো পেঁয়াজ দেখা যায়নি। যে অঞ্চলে পেঁয়াজ ভালো হয়, সেই অঞ্চলেই চাষীদের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ বিতরণ করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, এই পেঁয়াজের মেয়াদকাল কত দিনের? প্রতিউত্তরে তিনি জানান, ১০০ থেকে ১২০ দিন। তখন তাঁর কাছে বর্তমানে জমিতে পেঁয়াজ নাই কেন জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের সাথে আমাদের এই বিষয়ে কথা বলা নিষেধ আছে। আপনারা আমার স্যার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল করিমের সঙ্গে যোগাযোগ করে কথা বলতে পারেন।’
সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়নে পাওয়া যায় সাধুহাটি ইউনিয়নের উল্টো চিত্র। পন্ডিতপুর গ্রামের সাতজন কৃষক তাঁরা তাঁদের জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের চারা রোপন করেছেন সবেমাত্র ১৫-২০ দিন হলো। তবে পুটিয়া গ্রামের সজীব নাম করে একজন কৃষকের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ বিতরণ করেছে। তিনি মুরগির ব্যবসা করেন। তার এক বিঘা জমি বন্ধক রেখে গমের চাষ করেছে। তার কোন পেঁয়াজের চাষ নাই। তাছাড়া কলমান খালি গ্রামের এক মহিলাকে পেঁয়াজ চাষী সাজিয়ে তাকে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের প্রণোদনা বিতরণ করেছে। সে প্রকৃতপক্ষে কোন কৃষক নয় । সে অত্র ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি অফিসারের সন্তানের দেখভাল করে এই সুবাদে তাকে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের প্রণোদনা দেয়া হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে দোগাছি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান কাজল জানান এই ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তার যাদের সাথে সম্পর্ক ভালো শুধু তাদেরকেই বিভিন্ন প্রকার সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকেন। আমি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হলেও কৃষকের ব্যাপারে আমার সাথে কোন পরামর্শ করা হয় না। যার কারণে যারা প্রকৃত কৃষক তারা অনেকেই কৃষি বিভাগের বিভিন্ন প্রকার সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে দোগাছি ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কুহেলি বিশ্বাস এর সঙ্গে কথা বললে সে বলে যে কোন প্রকার অনিয়ম স্বজনপ্রীতি এখানে ঘটেনি প্রকৃত কৃষকদেরই পেঁয়াজের প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। চেয়ারম্যানের পরামর্শই তা হয়েছে বলে সে দাবি করেন। সে বলে যে ধান কাটার পরে আমার কৃষকেরা গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের চাষ করেছে। তাই এখনো তাদের পেয়াজ মাঠে রয়েছে। এই পেয়াজ আরো দেড় দুই মাস পর কৃষক তুলতে পারবে বলে সে দাবি করেন।
এই প্রসঙ্গে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল বললে, সে বলে নিয়ম মোতাবেক যথাযথ সময়ে কৃষকের মাঝে পেঁয়াজের প্রণোদনা বিতরণ করা হয়েছে। এতদিনে কৃষকের মাঠে আর গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ নেই বলে জানান এই কর্মকর্তা।