ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কী আছে স্মার্ট ভিলেজ হরিণাকুণ্ডুর হিজলী গ্রামে?

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:৪৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ২৮ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের বাওড় পাড়ের একটি গ্রাম হিজলী। যেখানে লেখা আছে ‘স্বাগতম, স্মার্ট ভিলেজ হিজলী’। এই গ্রামটি এখন বাল্যবিয়ে মুক্ত। নেই কোনো অপরাধ। গ্রামটিকে আত্মহত্যামুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। সনির্ভর, ডিজিটাল এবং পরিবেশবান্ধব করতে দারুণ উদ্যোগ উপজেলা প্রশাসনের।
তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ৩৩৪টি পরিবার বসবাস করে হিজলী গ্রামে। যেখানে ৪৯৩ জন পুরুষ ও ৫১৯ জন মহিলা রয়েছে। এই গ্রামের ২৩৯ জন পুরুষ এবং ২৬৮ জন মহিলা লিখতে পড়তে পারে। যে গ্রামের মাত্র ২ জন মহিলা ও ২ জন পুরুষ চাকরি করেন। কৃষিকাজই গ্রামের মানুষের মূল পেশা। সব মিলিয়ে বলতে গেলে পিছিয়ে পড়া একটি গ্রাম ছিল হিজলী। হিজলী গ্রামটিকে স্মার্ট ভিলেজে বা মডেল করার উদ্দেশ্যে ১০টি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ক্ষুদ্র/কুটির/হস্তশিল্পের কাজের ক্ষেত্র তৈরি করে গ্রামবাসীদের বিশেষ করে নারীদের দক্ষতা বাড়ানো এবং অফলাইন অনলাইন উভয়ক্ষেত্রেই বাজার ব্যবস্থার সাথে সম্পৃক্তকরণ করা। ইন্টারনেট সংযোগ শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে কানেক্টিভিটি বৃদ্ধিকরণ, চাষযোগ্য জমি বিশেষ করে বাড়ির আঙিনার অনাবাদি জমিসহ শতভাগ জমিকে চাষের আওতায় এনে দেশের উৎপাদনশীলতাকে ত্বরান্বিতকরণ করা। বাল্য বিয়ে বন্ধ করার মাধ্যমে মাতৃস্বাস্থ্যের কল্যাণ এবং সুস্থসবল ভবিষ্যত প্রজন্ম নিশ্চিতকরন। কারিগরি বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা বিশেষ করে যুবক শ্রেণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা। ঝড়ে পড়া ,অটিষ্টিক এবং এতিম বাচ্চাসহ সকল শিশুদের শিক্ষার মুলধারায় অন্তর্ভুক্ত করা।
সন্ত্রাস, নেশা এবং মোবাইল আসক্তি থেকে কিশোর কিশোরীদের দুরে রাখা। ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে সরকারি অফিসসমুহকে সেবাগ্রহিতাদের দোড়গোড়ায় পৌছে দেওয়া এবং রিনিউবল শক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে টেকসই পরিবেশ নিশ্চিতকরন করাই স্মার্ট ভিলেজ ধারনা। হরিণাকুন্ডুর প্রেক্ষাপটে এখানকার মানুষকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের স্বাদ দিতে দরকার ছিলো একাবারে নতুন কিছু। একটি আধুনিক এবং নিজস্বতায় সমৃদ্ধ সমাজ ও প্রধানন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ স্বপ্নের সাথে এতাত্মতা প্রকাশের চিন্তা থেকেই এই ধারণার উৎপত্তি। স্মার্ট ভিলেজ এর কারনে এই গ্রামে এখন ৩টি বাড়িতে বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে। জাইকা প্রকল্পের সহায়তায় ৫টি সোলার স্ট্রীট লাট স্থাপন, গ্রামের নামে ফেসবুজ গ্রুপ খোলা হয়েছে, গ্রামের ৭০ শতক জমিতে পারিবারিক পুষ্টির বাগান স্থাপন করা হয়েছে। যেখান থেকে নিয়মিত নিরাপদ বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন হচ্ছে। ২০টি বাড়িতে রান্নাঘরের আবর্জনা দিয়ে জৈব সার তৈরি করা হচ্ছে। মৃদু প্রতিবন্ধিদের মধ্যে থেকে ৩ জনকে মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। গ্রামের শিক্ষিত যুবকতের কর্মসংস্থানের জন্য ৯জনকে আউটসোসিং কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। স্মার্ট ভিলেজ হিজলীতে ইন্টারনেট সুবিধা বাড়ানোহয়েছে। গর্ভবতী মায়েদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে এবং তাদের কাউন্সিলিং করা হচ্ছে এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরিক্ষা করা হচ্ছে। গ্রামের ২০২টি টিউবওয়েল আর্সেনিক পরিক্ষা করা হয়েছে। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে হিজলী গ্রামে স্মার্ট যুব ক্লাব স্থাপন করা হয়েছে যাতে গ্রামের যুব সমাজ মোবালই ফোনে আসক্তি কমানো যায়।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো: হাফিজ হাসান জানান, হিজলী গ্রামকে স্মার্ট ভিলেজ করতে গ্রামের প্রায় ৪৫০টি উঠানের অনাবাদী জমির অর্ধেক অংশে পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন করা হয়েছে। অবশিষ্ট সকল জমিও আবাদের আওতায় আসবে এবং বিষমুক্ত সবজি চাষাবাদ করা হবে। সরকারি সেবা সমুহকে জনগণের কাছে পৌছে দিতে সপ্তাহে একদিন হিজলী গ্রামের বৈঠকখানায় ইউডিসি উদ্যক্তা বৈঠকখানা এ্যাপস ব্যবহার করে অপর প্রান্তে থাকা উপজেলার সকল দপ্তরসমুহর সাথে ভার্চুয়ালী যুক্ত রাখা হচ্ছে। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মুন্সি ফিরোজা জানান, স্মার্ট ভিলেজের সুফল ইতিমধ্যে গ্রামবাসি পেতে শুরু করেছে। এই উদ্যেগের আওতায় ৫০টিও বেশি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। যে গুলোর বেশিভারই সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের নিয়মিত কার্যক্রমেরই অংশ। হিজলী গ্রামের নারীদেরকে উপার্জনক্ষম করে গড়ে তুলতে ইতিমধ্যে আয়েশা আবেদন ফাউন্ডেশন এবং স্থানীয় নারী উদ্যেক্তা লিয়া পারভীন এবং নাসরিন এর সহযোগিতায় গড়ে তোলা হয়েছে একটি উদ্যেগ। হাতের কাজের তৈরি সমুহ পণ্য উপাদনের সাবসেন্টার। যেখানে বর্তমান ৪০জন নারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে।
হরিনাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুস্মিতা সাহা জানান, গ্রামকে স্বনির্ভর করা, গ্রামকে সবুজয়ান করা, সন্ত্রাসমুক্ত, বেকারমুক্ত করার জন্য ২০২২ সাল থেকে কাজ শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে গ্রাম সার্ভে করা হয়েছে। কোথায় কোথায় সমস্যা সব বিষয় চিহ্নিত করা হয়েছে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা, তরুন তরুনী, গ্রামের নারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। যুবক ও নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই উদ্যেগটি একটি মডেল যা অনুসরন করে বাংলাদেশের যে কোন গ্রামকে স্মার্ট ভিলেজ রুপান্তরিত করা সম্ভব। সরকারের সকল দপ্তর এক সাথে এই গ্রামটিকে মডেল করার জন্য কাজ করছে। ইউএনও আরো জানান, এই মডেল কার্যক্রমগুলো বাস্তবায়ণ করতে সরকারের আলাদাভাবে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হবে না। সরকারের বিভিন্ন দপ্তর তাদের নিয়মিত কার্যক্রমের বাইরে আলাদা ভাবে কোন শ্রম,বরাদ্দ বা সময়ও ব্যয় করতে হবে না। তিনি জানান, এই মডেল গ্রামের কিশোরী, শিক্ষার্থী, বেকার, গৃহীনিসহ সবাইকে মডেলের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

কী আছে স্মার্ট ভিলেজ হরিণাকুণ্ডুর হিজলী গ্রামে?

আপলোড টাইম : ০৭:৪৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের বাওড় পাড়ের একটি গ্রাম হিজলী। যেখানে লেখা আছে ‘স্বাগতম, স্মার্ট ভিলেজ হিজলী’। এই গ্রামটি এখন বাল্যবিয়ে মুক্ত। নেই কোনো অপরাধ। গ্রামটিকে আত্মহত্যামুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। সনির্ভর, ডিজিটাল এবং পরিবেশবান্ধব করতে দারুণ উদ্যোগ উপজেলা প্রশাসনের।
তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ৩৩৪টি পরিবার বসবাস করে হিজলী গ্রামে। যেখানে ৪৯৩ জন পুরুষ ও ৫১৯ জন মহিলা রয়েছে। এই গ্রামের ২৩৯ জন পুরুষ এবং ২৬৮ জন মহিলা লিখতে পড়তে পারে। যে গ্রামের মাত্র ২ জন মহিলা ও ২ জন পুরুষ চাকরি করেন। কৃষিকাজই গ্রামের মানুষের মূল পেশা। সব মিলিয়ে বলতে গেলে পিছিয়ে পড়া একটি গ্রাম ছিল হিজলী। হিজলী গ্রামটিকে স্মার্ট ভিলেজে বা মডেল করার উদ্দেশ্যে ১০টি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ক্ষুদ্র/কুটির/হস্তশিল্পের কাজের ক্ষেত্র তৈরি করে গ্রামবাসীদের বিশেষ করে নারীদের দক্ষতা বাড়ানো এবং অফলাইন অনলাইন উভয়ক্ষেত্রেই বাজার ব্যবস্থার সাথে সম্পৃক্তকরণ করা। ইন্টারনেট সংযোগ শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে কানেক্টিভিটি বৃদ্ধিকরণ, চাষযোগ্য জমি বিশেষ করে বাড়ির আঙিনার অনাবাদি জমিসহ শতভাগ জমিকে চাষের আওতায় এনে দেশের উৎপাদনশীলতাকে ত্বরান্বিতকরণ করা। বাল্য বিয়ে বন্ধ করার মাধ্যমে মাতৃস্বাস্থ্যের কল্যাণ এবং সুস্থসবল ভবিষ্যত প্রজন্ম নিশ্চিতকরন। কারিগরি বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা বিশেষ করে যুবক শ্রেণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা। ঝড়ে পড়া ,অটিষ্টিক এবং এতিম বাচ্চাসহ সকল শিশুদের শিক্ষার মুলধারায় অন্তর্ভুক্ত করা।
সন্ত্রাস, নেশা এবং মোবাইল আসক্তি থেকে কিশোর কিশোরীদের দুরে রাখা। ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে সরকারি অফিসসমুহকে সেবাগ্রহিতাদের দোড়গোড়ায় পৌছে দেওয়া এবং রিনিউবল শক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে টেকসই পরিবেশ নিশ্চিতকরন করাই স্মার্ট ভিলেজ ধারনা। হরিণাকুন্ডুর প্রেক্ষাপটে এখানকার মানুষকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের স্বাদ দিতে দরকার ছিলো একাবারে নতুন কিছু। একটি আধুনিক এবং নিজস্বতায় সমৃদ্ধ সমাজ ও প্রধানন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ স্বপ্নের সাথে এতাত্মতা প্রকাশের চিন্তা থেকেই এই ধারণার উৎপত্তি। স্মার্ট ভিলেজ এর কারনে এই গ্রামে এখন ৩টি বাড়িতে বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে। জাইকা প্রকল্পের সহায়তায় ৫টি সোলার স্ট্রীট লাট স্থাপন, গ্রামের নামে ফেসবুজ গ্রুপ খোলা হয়েছে, গ্রামের ৭০ শতক জমিতে পারিবারিক পুষ্টির বাগান স্থাপন করা হয়েছে। যেখান থেকে নিয়মিত নিরাপদ বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন হচ্ছে। ২০টি বাড়িতে রান্নাঘরের আবর্জনা দিয়ে জৈব সার তৈরি করা হচ্ছে। মৃদু প্রতিবন্ধিদের মধ্যে থেকে ৩ জনকে মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। গ্রামের শিক্ষিত যুবকতের কর্মসংস্থানের জন্য ৯জনকে আউটসোসিং কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। স্মার্ট ভিলেজ হিজলীতে ইন্টারনেট সুবিধা বাড়ানোহয়েছে। গর্ভবতী মায়েদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে এবং তাদের কাউন্সিলিং করা হচ্ছে এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরিক্ষা করা হচ্ছে। গ্রামের ২০২টি টিউবওয়েল আর্সেনিক পরিক্ষা করা হয়েছে। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে হিজলী গ্রামে স্মার্ট যুব ক্লাব স্থাপন করা হয়েছে যাতে গ্রামের যুব সমাজ মোবালই ফোনে আসক্তি কমানো যায়।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো: হাফিজ হাসান জানান, হিজলী গ্রামকে স্মার্ট ভিলেজ করতে গ্রামের প্রায় ৪৫০টি উঠানের অনাবাদী জমির অর্ধেক অংশে পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন করা হয়েছে। অবশিষ্ট সকল জমিও আবাদের আওতায় আসবে এবং বিষমুক্ত সবজি চাষাবাদ করা হবে। সরকারি সেবা সমুহকে জনগণের কাছে পৌছে দিতে সপ্তাহে একদিন হিজলী গ্রামের বৈঠকখানায় ইউডিসি উদ্যক্তা বৈঠকখানা এ্যাপস ব্যবহার করে অপর প্রান্তে থাকা উপজেলার সকল দপ্তরসমুহর সাথে ভার্চুয়ালী যুক্ত রাখা হচ্ছে। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মুন্সি ফিরোজা জানান, স্মার্ট ভিলেজের সুফল ইতিমধ্যে গ্রামবাসি পেতে শুরু করেছে। এই উদ্যেগের আওতায় ৫০টিও বেশি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। যে গুলোর বেশিভারই সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের নিয়মিত কার্যক্রমেরই অংশ। হিজলী গ্রামের নারীদেরকে উপার্জনক্ষম করে গড়ে তুলতে ইতিমধ্যে আয়েশা আবেদন ফাউন্ডেশন এবং স্থানীয় নারী উদ্যেক্তা লিয়া পারভীন এবং নাসরিন এর সহযোগিতায় গড়ে তোলা হয়েছে একটি উদ্যেগ। হাতের কাজের তৈরি সমুহ পণ্য উপাদনের সাবসেন্টার। যেখানে বর্তমান ৪০জন নারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে।
হরিনাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুস্মিতা সাহা জানান, গ্রামকে স্বনির্ভর করা, গ্রামকে সবুজয়ান করা, সন্ত্রাসমুক্ত, বেকারমুক্ত করার জন্য ২০২২ সাল থেকে কাজ শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে গ্রাম সার্ভে করা হয়েছে। কোথায় কোথায় সমস্যা সব বিষয় চিহ্নিত করা হয়েছে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা, তরুন তরুনী, গ্রামের নারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। যুবক ও নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই উদ্যেগটি একটি মডেল যা অনুসরন করে বাংলাদেশের যে কোন গ্রামকে স্মার্ট ভিলেজ রুপান্তরিত করা সম্ভব। সরকারের সকল দপ্তর এক সাথে এই গ্রামটিকে মডেল করার জন্য কাজ করছে। ইউএনও আরো জানান, এই মডেল কার্যক্রমগুলো বাস্তবায়ণ করতে সরকারের আলাদাভাবে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হবে না। সরকারের বিভিন্ন দপ্তর তাদের নিয়মিত কার্যক্রমের বাইরে আলাদা ভাবে কোন শ্রম,বরাদ্দ বা সময়ও ব্যয় করতে হবে না। তিনি জানান, এই মডেল গ্রামের কিশোরী, শিক্ষার্থী, বেকার, গৃহীনিসহ সবাইকে মডেলের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।