ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহের হলিধানী বাজারে ফার্নিচার কারখানায় আগুন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:৪১:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ২০ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ:
ঝিনাইদহে একটি ফার্নিচার কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে কারখানার ভারি মেশিনসহ সকল ধরনের ফার্নিচার পুড়ে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। গত সোমবার দিবাগত রাতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী বাজারের বিল্লাল হোসেনের ভাই ভাই ফার্নিচার কারখানায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে হঠাৎ বিল্লালের ফার্নিচার কারখানার দিক থেকে বিকট শব্দ শোনা যায়। সবাই এগিয়ে দেখে কারখানার ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। স্থানীয়রা চেষ্টা করেন বাইরের কিছু ফার্নিচার আগুনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য। কারখানার ভেতর আগুনের তীব্রতা ব্যাপক থাকায় ভেতরে ঢুকতে পারেনি। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে কারখানার ভেতরের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
কারখানার মালিক বিল্লাল হোসেনর বাবা মুন্নাফ হোসেন জানান, তাদের বাড়িতে ৩ শতক জমি ছাড়া আর কিছুই নেই। ছেলে বিল্লাল হোসেন ছোট থেকে বিভিন্ন কারখানায় ফার্নিচার তৈরির কাজ শিখেছেন। এরপর দুই বছর হলো বিভিন্ন এজিও থেকে ঋণ নিয়ে নিজে ফার্নিচার তৈরির কারখানা দিয়েছে। হঠাৎ গেল রাতে কারখানার সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ছেলের উপার্জনে চলত তাদের সংসার। ছেলের একমাত্র অর্থ উপার্জনের কারখানাটিও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, এখন তারা পুরো নিঃস্ব। এখন এনজিওর ঋণের টাকা কীভাবে পরিশোধ করবেন, শুধু সেই চিন্তা করছে পরিবারটি।
ভাই ভাই ফার্নিচারের মালিক বিল্লাল হোসেন বলেন, তিনি পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ফার্নিচার ব্যবসা শুরু করেন। কারখানা থেকে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার ফার্নিচার তৈরি করতেন। ভালোভাবেই তিনি ব্যবসাটা পরিচালনা করে আসছিলেন। হঠাৎ রাতে আগুনে কারখানার সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন তিনি নিঃস্ব। তাঁর কারখানায় ১০ লাখ টাকার ফার্নিচার তৈরির মেশিন ও ১০ লাখ টাকার কাঠ ও ফার্নিচার ছিল।
কাতলামারী পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জানান, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আসার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কারখানায় মেশিনসহ ১৬ লাখ টাকার ফার্নিচারের ক্ষয়-ক্ষতি হতে পারে বলে আনুমানিক ধারণা করা হচ্ছে। ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. সুমন আলী বলেন, বৈদ্যুতিক শট-সার্কিটের কারণে এই কারখানায় আগুনটা লেগেছে। কারখানার ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ কী পরিমাণ হতে পারে, সেটা তদন্ত ছাড়া বলা সম্ভব নয়। তবে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ অনেক হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঝিনাইদহের হলিধানী বাজারে ফার্নিচার কারখানায় আগুন

আপলোড টাইম : ০৭:৪১:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ:
ঝিনাইদহে একটি ফার্নিচার কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে কারখানার ভারি মেশিনসহ সকল ধরনের ফার্নিচার পুড়ে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। গত সোমবার দিবাগত রাতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী বাজারের বিল্লাল হোসেনের ভাই ভাই ফার্নিচার কারখানায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে হঠাৎ বিল্লালের ফার্নিচার কারখানার দিক থেকে বিকট শব্দ শোনা যায়। সবাই এগিয়ে দেখে কারখানার ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। স্থানীয়রা চেষ্টা করেন বাইরের কিছু ফার্নিচার আগুনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য। কারখানার ভেতর আগুনের তীব্রতা ব্যাপক থাকায় ভেতরে ঢুকতে পারেনি। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে কারখানার ভেতরের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
কারখানার মালিক বিল্লাল হোসেনর বাবা মুন্নাফ হোসেন জানান, তাদের বাড়িতে ৩ শতক জমি ছাড়া আর কিছুই নেই। ছেলে বিল্লাল হোসেন ছোট থেকে বিভিন্ন কারখানায় ফার্নিচার তৈরির কাজ শিখেছেন। এরপর দুই বছর হলো বিভিন্ন এজিও থেকে ঋণ নিয়ে নিজে ফার্নিচার তৈরির কারখানা দিয়েছে। হঠাৎ গেল রাতে কারখানার সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ছেলের উপার্জনে চলত তাদের সংসার। ছেলের একমাত্র অর্থ উপার্জনের কারখানাটিও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, এখন তারা পুরো নিঃস্ব। এখন এনজিওর ঋণের টাকা কীভাবে পরিশোধ করবেন, শুধু সেই চিন্তা করছে পরিবারটি।
ভাই ভাই ফার্নিচারের মালিক বিল্লাল হোসেন বলেন, তিনি পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ফার্নিচার ব্যবসা শুরু করেন। কারখানা থেকে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার ফার্নিচার তৈরি করতেন। ভালোভাবেই তিনি ব্যবসাটা পরিচালনা করে আসছিলেন। হঠাৎ রাতে আগুনে কারখানার সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন তিনি নিঃস্ব। তাঁর কারখানায় ১০ লাখ টাকার ফার্নিচার তৈরির মেশিন ও ১০ লাখ টাকার কাঠ ও ফার্নিচার ছিল।
কাতলামারী পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জানান, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আসার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কারখানায় মেশিনসহ ১৬ লাখ টাকার ফার্নিচারের ক্ষয়-ক্ষতি হতে পারে বলে আনুমানিক ধারণা করা হচ্ছে। ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. সুমন আলী বলেন, বৈদ্যুতিক শট-সার্কিটের কারণে এই কারখানায় আগুনটা লেগেছে। কারখানার ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ কী পরিমাণ হতে পারে, সেটা তদন্ত ছাড়া বলা সম্ভব নয়। তবে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ অনেক হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।