ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কর্মচারী না হয়েও কাজ করেন ভূমি অফিসে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৫৫:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ২০ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
নাম রমজান আলী। তিনি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কাজ করেন। তবে সরকারি কর্মচারী বা খণ্ডকালীন হিসেবে তাঁকে কেউ নিয়োগ দেয়নি। অথচ রমজান আলী উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তার পাশের চেয়ারে বসে কাজ করেন। ভূমি অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথিও তিনি ঘাটাঘাটি করেন। অনেকের গুরুত্বপূর্ণ কাগজ টেম্পারিং করে সর্বনাশও করার অভিযোগ রয়েছে। কৃষকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন কাড়ি কাড়ি টাকা। উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কৃষকদের কোনো অভিযোগ না থাকলেও তার মৌন সম্মতিতে মাসের পর মাস রমজান আলী খতিয়ান খোলাসহ বিভিন্ন কাজ করে আসছেন। কাজ শেষ হলেই ভূমি অফিসের বাইরে এসে কৃষকদের কাছ থেকে টাকা নেন। এমন একজন কৃষক গোবিন্দপুরের আকমল হোসেন।
তিনি অভিযোগ করেন, নাম খারিজের পর খতিয়ান বইতে হোল্ডিং বসাতে নেন একশ টাকা করে। দালালদের উৎপাতে ভূমি অফিসে আসা গ্রামের কৃষকরা জিম্মি হয়ে পড়েছেন। ফলে রমজানের কর্মকাণ্ডে জমির মালিকেরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকদিন সাধুহাটি ইউনিয়ন ভূমি অফিস পরিদর্শন করে এমন চিত্র মিলেছে। দেখা গেছে রমজান আলী ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তার পাশের চেয়ারে বসে ভলিয়ম বই নিয়ে লেখালেখি করছেন।
বিষয়টি নিয়ে উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সালিমা সুলতানা জানান, তাঁর এভাবে কাজ করার কথা নয়। আমার অজান্তেই হয়ত তিনি ভলিউম বই নিয়ে লেখালেখি করেন। বিষয়টি তিনি গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন বলেও জানান।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

কর্মচারী না হয়েও কাজ করেন ভূমি অফিসে

আপলোড টাইম : ০৮:৫৫:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

ঝিনাইদহ অফিস:
নাম রমজান আলী। তিনি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কাজ করেন। তবে সরকারি কর্মচারী বা খণ্ডকালীন হিসেবে তাঁকে কেউ নিয়োগ দেয়নি। অথচ রমজান আলী উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তার পাশের চেয়ারে বসে কাজ করেন। ভূমি অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথিও তিনি ঘাটাঘাটি করেন। অনেকের গুরুত্বপূর্ণ কাগজ টেম্পারিং করে সর্বনাশও করার অভিযোগ রয়েছে। কৃষকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন কাড়ি কাড়ি টাকা। উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কৃষকদের কোনো অভিযোগ না থাকলেও তার মৌন সম্মতিতে মাসের পর মাস রমজান আলী খতিয়ান খোলাসহ বিভিন্ন কাজ করে আসছেন। কাজ শেষ হলেই ভূমি অফিসের বাইরে এসে কৃষকদের কাছ থেকে টাকা নেন। এমন একজন কৃষক গোবিন্দপুরের আকমল হোসেন।
তিনি অভিযোগ করেন, নাম খারিজের পর খতিয়ান বইতে হোল্ডিং বসাতে নেন একশ টাকা করে। দালালদের উৎপাতে ভূমি অফিসে আসা গ্রামের কৃষকরা জিম্মি হয়ে পড়েছেন। ফলে রমজানের কর্মকাণ্ডে জমির মালিকেরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকদিন সাধুহাটি ইউনিয়ন ভূমি অফিস পরিদর্শন করে এমন চিত্র মিলেছে। দেখা গেছে রমজান আলী ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তার পাশের চেয়ারে বসে ভলিয়ম বই নিয়ে লেখালেখি করছেন।
বিষয়টি নিয়ে উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সালিমা সুলতানা জানান, তাঁর এভাবে কাজ করার কথা নয়। আমার অজান্তেই হয়ত তিনি ভলিউম বই নিয়ে লেখালেখি করেন। বিষয়টি তিনি গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন বলেও জানান।