ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেহেরপুরে অবাধে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে যন্ত্রদানব মাটিবাহী ট্রাক্টর

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:২৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ২৫ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
মেহেরপুর শহরে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অবাধে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মাটি ও বালিবাহী যন্ত্রদানব ট্রাক্টর। সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সামনেই মেহেরপুর শহরের প্রধান সড়কসহ ওলি-গলির রাস্তা দিয়ে এবস ট্রাক্টরগুলি মাটি ও বালি বহনের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই ট্রাক্টরগুলি দেদারছে মাটি ও বালি বহন করছে। এসব ট্রাক্টরের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না জেলা ও পুলিশ প্রশাসন। চাষাবাদের জন্য আমদানিকৃত এসব ট্রাক্টরগুলি সড়কে নিষিদ্ধ হলেও প্রতিনিয়ত শহরের ওলি-গলির রাস্তা দিয়ে মাটি ও বালি পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। যার ফলে ধ্বংস হচ্ছে রাস্তা আর ধুলোবালিতে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। পাকা, আধাপাকা ও কাঁচা সড়ক ইট-মাটি-বালি ও কাঠ-গাছ পরিবহনকারী অবৈধ ট্রাক্টরের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে শহর থেকে গ্রামের মানুষ।
প্রতিনিয়ত নতুন সড়ক নির্মাণ ও সংস্কার করা হলেও যন্ত্রদানব ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে সড়কগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মাটি টানার কাজে ব্যবহৃত ট্রাক্টর, থ্রি-হুইলার, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিতসহ অন্যান্য অবৈধ যানবাহন মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ করেছে সরকার। কিন্তু বর্তমানে মেহেরপুরে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ট্রাক্টরগুলি মাটি নিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকার ইটভাটায় যাওয়া-আসা করছে। এসব ট্রাক্টর থেকে নরম ও কাদামাটি পড়ে সড়ক পিচ্ছিল হয়ে যাচ্ছে। ২৪ ঘণ্টা এসব ট্রাক্টর চলাচল করলেও তা বন্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কোনো কার্যকর ভূমিকা চোখে পড়ে না কখনই।
স্থানীয়রা জানান, ট্রাফিক পুলিশ বিভিন্ন মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালালেও অজ্ঞাত কারণে মাটি বহনকারী ট্রাক্টর বন্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না। অথচ প্রতিদিন তাদের চোখের সামনেই মাটি বহনকারী ট্রাক্টরগুলি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এর আগে শহরের প্রধান সড়ক দিয়ে মাটি ও বালি বহন করতে দেখা গেলেও এবার দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত প্রধান সড়ক দিয়ে মাটি ও বালি বহন করলেও দিন বাড়ার সাথে সাথে শহরের ওলি-গলির রাস্তা দিয়ে মাটি বহন করছে। পলে যেমন দুর্ঘটনার শঙ্কা বাড়ছে, দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ পথচারীদের।
এ বিষয়ে জেলা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ফেরদৌস জানান, ‘আমরা এসব যানবাহনের থেকে কোনো সুবিধা নিচ্ছি না। আমাদের লোকবল সংকটের কারণে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মেহেরপুরে অবাধে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে যন্ত্রদানব মাটিবাহী ট্রাক্টর

আপলোড টাইম : ০৭:২৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদন:
মেহেরপুর শহরে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অবাধে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মাটি ও বালিবাহী যন্ত্রদানব ট্রাক্টর। সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সামনেই মেহেরপুর শহরের প্রধান সড়কসহ ওলি-গলির রাস্তা দিয়ে এবস ট্রাক্টরগুলি মাটি ও বালি বহনের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই ট্রাক্টরগুলি দেদারছে মাটি ও বালি বহন করছে। এসব ট্রাক্টরের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না জেলা ও পুলিশ প্রশাসন। চাষাবাদের জন্য আমদানিকৃত এসব ট্রাক্টরগুলি সড়কে নিষিদ্ধ হলেও প্রতিনিয়ত শহরের ওলি-গলির রাস্তা দিয়ে মাটি ও বালি পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। যার ফলে ধ্বংস হচ্ছে রাস্তা আর ধুলোবালিতে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। পাকা, আধাপাকা ও কাঁচা সড়ক ইট-মাটি-বালি ও কাঠ-গাছ পরিবহনকারী অবৈধ ট্রাক্টরের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে শহর থেকে গ্রামের মানুষ।
প্রতিনিয়ত নতুন সড়ক নির্মাণ ও সংস্কার করা হলেও যন্ত্রদানব ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে সড়কগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মাটি টানার কাজে ব্যবহৃত ট্রাক্টর, থ্রি-হুইলার, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিতসহ অন্যান্য অবৈধ যানবাহন মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ করেছে সরকার। কিন্তু বর্তমানে মেহেরপুরে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ট্রাক্টরগুলি মাটি নিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকার ইটভাটায় যাওয়া-আসা করছে। এসব ট্রাক্টর থেকে নরম ও কাদামাটি পড়ে সড়ক পিচ্ছিল হয়ে যাচ্ছে। ২৪ ঘণ্টা এসব ট্রাক্টর চলাচল করলেও তা বন্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কোনো কার্যকর ভূমিকা চোখে পড়ে না কখনই।
স্থানীয়রা জানান, ট্রাফিক পুলিশ বিভিন্ন মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালালেও অজ্ঞাত কারণে মাটি বহনকারী ট্রাক্টর বন্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না। অথচ প্রতিদিন তাদের চোখের সামনেই মাটি বহনকারী ট্রাক্টরগুলি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এর আগে শহরের প্রধান সড়ক দিয়ে মাটি ও বালি বহন করতে দেখা গেলেও এবার দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত প্রধান সড়ক দিয়ে মাটি ও বালি বহন করলেও দিন বাড়ার সাথে সাথে শহরের ওলি-গলির রাস্তা দিয়ে মাটি বহন করছে। পলে যেমন দুর্ঘটনার শঙ্কা বাড়ছে, দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ পথচারীদের।
এ বিষয়ে জেলা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ফেরদৌস জানান, ‘আমরা এসব যানবাহনের থেকে কোনো সুবিধা নিচ্ছি না। আমাদের লোকবল সংকটের কারণে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না।’