ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুজিবনগরে পেঁয়াজের সঙ্গে সাথী ফসল কলা চাষে ঝুকছেন চাষীরা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:১৫:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ২৯ বার পড়া হয়েছে

সোহাগ মণ্ডল, মুজিবনগর:
শস্য ভাণ্ডার খ্যাত মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলায় সবজি ফসল হিসেবে সবচেয়ে বেশি চাষ হচ্ছে পেঁয়াজ। এ উপজেলায় প্রায় সব ধরনের চাষ করে থাকেন চাষীরা। আবার শীত কালীন সবজি চষেও পিছিয়ে নেই এখানকার কৃষকরা। এবার চাষীরা পেঁয়াজের সাথেই সাথী ফসল হিসেবে পেঁয়াজের জমিতেই কলা ও কচু চাষ করছেন। এক খরচে দুই ফসল ঘরে তুলে লাভবান হওয়ার আশা করছেন কৃষকরা।
জানা যায়, গত বছরে এ উপজেলায় কৃষকরা পেঁয়াজ চাষ করেছিল ১ হাজার ৫’শ হেক্টর। সে তুলনায় চলতি মৌসুমে পেঁয়াজ চাষ করেছেন ১ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে। এ মৌসুমে ৬৮০ হেক্টর জমিতে সাথী ফসল হিসেবে কলা ও পেঁয়াজ চাষ করেছেন কৃষকরা। মুজিবনগর উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুড়ে দেখা যায়, কেউ কেউ সেই জমিতে চারা লাগাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ খেত আগাছামুক্ত করতে নিড়ানি দিচ্ছেন। অধিক লাভের আশায় এক সাথে দুই ফসল পেঁয়াজ ও কলা চাষে কৃষকরা মন প্রান সপে দিয়ে কাজ করছেন মাঠে।
কথা হয় উপজেলার পেঁয়াজ চাষী দেলোয়ার হোসনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সুকসাগর জাতের পেঁয়াজে খরচের পরিমান বেশি, জমি চাষ থেকে শুরু করে বিক্রি পর্যন্ত বিঘা পতি খরচ হয় ৪৫ হাজার টাকা। তাই আমার জমিতে পেঁয়াজের পাশাপাশি সাথী ফসল হিসেবে কলার চারাও রোপণ করেছি। ফলে এক পেঁয়াজ চাষের খরচেই কলা চাষও করা সম্ভব হবে। দুই ফসলের মধ্যে যে কোনো একটি ফসলে ভালো দাম পেলে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়ে লাভের মুখ দেখতে পাবো বলে আশা করছি।
এ বিষয়ে মুজিবনগর উপজেলার কৃষি অফিসার মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, এ বছর আবহাওয়া অনেকটাই অনুকূলে থাকায় কৃষকেরা বীজ বপন থেকে শুরু করে চারা পরিচর্যা পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারছে। তেমন কোন রোগবালাই নেই। এক সাথে দুই ফসল চাষে আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিই। যেমন কলার সাথে পেঁয়াজ, কচুর সাথে পেঁয়াজ, কলার সাথে হলুদ। এক কথায় একটি ফসলের সঙ্গে অন্য আরেকটি ফসল চাষ করা সম্ভব হলে এ চাষকে সাথী সফল চাষ বলা হয়। এ চাষে আমরা সব সময় কৃষকদের সবধরণের পরামর্শ দিয়ে থাকি। এছাড়াও মাঠ পর্যায়ে উপ সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তার মাধ্যমে কৃষকদের সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে খোঁজ খবর নেওয়া হয়।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মুজিবনগরে পেঁয়াজের সঙ্গে সাথী ফসল কলা চাষে ঝুকছেন চাষীরা

আপলোড টাইম : ০৮:১৫:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৩

সোহাগ মণ্ডল, মুজিবনগর:
শস্য ভাণ্ডার খ্যাত মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলায় সবজি ফসল হিসেবে সবচেয়ে বেশি চাষ হচ্ছে পেঁয়াজ। এ উপজেলায় প্রায় সব ধরনের চাষ করে থাকেন চাষীরা। আবার শীত কালীন সবজি চষেও পিছিয়ে নেই এখানকার কৃষকরা। এবার চাষীরা পেঁয়াজের সাথেই সাথী ফসল হিসেবে পেঁয়াজের জমিতেই কলা ও কচু চাষ করছেন। এক খরচে দুই ফসল ঘরে তুলে লাভবান হওয়ার আশা করছেন কৃষকরা।
জানা যায়, গত বছরে এ উপজেলায় কৃষকরা পেঁয়াজ চাষ করেছিল ১ হাজার ৫’শ হেক্টর। সে তুলনায় চলতি মৌসুমে পেঁয়াজ চাষ করেছেন ১ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে। এ মৌসুমে ৬৮০ হেক্টর জমিতে সাথী ফসল হিসেবে কলা ও পেঁয়াজ চাষ করেছেন কৃষকরা। মুজিবনগর উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুড়ে দেখা যায়, কেউ কেউ সেই জমিতে চারা লাগাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ খেত আগাছামুক্ত করতে নিড়ানি দিচ্ছেন। অধিক লাভের আশায় এক সাথে দুই ফসল পেঁয়াজ ও কলা চাষে কৃষকরা মন প্রান সপে দিয়ে কাজ করছেন মাঠে।
কথা হয় উপজেলার পেঁয়াজ চাষী দেলোয়ার হোসনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সুকসাগর জাতের পেঁয়াজে খরচের পরিমান বেশি, জমি চাষ থেকে শুরু করে বিক্রি পর্যন্ত বিঘা পতি খরচ হয় ৪৫ হাজার টাকা। তাই আমার জমিতে পেঁয়াজের পাশাপাশি সাথী ফসল হিসেবে কলার চারাও রোপণ করেছি। ফলে এক পেঁয়াজ চাষের খরচেই কলা চাষও করা সম্ভব হবে। দুই ফসলের মধ্যে যে কোনো একটি ফসলে ভালো দাম পেলে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়ে লাভের মুখ দেখতে পাবো বলে আশা করছি।
এ বিষয়ে মুজিবনগর উপজেলার কৃষি অফিসার মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, এ বছর আবহাওয়া অনেকটাই অনুকূলে থাকায় কৃষকেরা বীজ বপন থেকে শুরু করে চারা পরিচর্যা পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারছে। তেমন কোন রোগবালাই নেই। এক সাথে দুই ফসল চাষে আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিই। যেমন কলার সাথে পেঁয়াজ, কচুর সাথে পেঁয়াজ, কলার সাথে হলুদ। এক কথায় একটি ফসলের সঙ্গে অন্য আরেকটি ফসল চাষ করা সম্ভব হলে এ চাষকে সাথী সফল চাষ বলা হয়। এ চাষে আমরা সব সময় কৃষকদের সবধরণের পরামর্শ দিয়ে থাকি। এছাড়াও মাঠ পর্যায়ে উপ সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তার মাধ্যমে কৃষকদের সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে খোঁজ খবর নেওয়া হয়।’