ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমঝুপি বিএডিসি ফার্মে সূর্যমুখীর হাসি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৪৯:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৩৫ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
মেহেরপুরে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে সূর্যমুখী ফুলের অপরূপ দৃশ্য। সদর উপজেলার আমঝুপি বিএডিসি ফার্মে এখন শোভা পাচ্ছে ফুটন্ত ‘সূর্যমুখী’ ফুল। দিগন্তজুড়ে সূর্যমুখী ফুলের হাসি যেনো চোখে শান্তির পরশ বুলিয়ে দেয়। এ ফুল দেখতে আর সূর্যমুখী বাগানে নিজেদের ছবি, সেলফি তুলতে নানা বয়সী সৌন্দর্যপিপাসু মানুষ ভিড় করছেন প্রতিদিন। এতে বাগানের কিছুটা ক্ষতিও হচ্ছে। ফলে খানিকটা বিরক্ত হয়ে উঠেছেন বাগান রক্ষাকারীরা। সূর্য যখন যেদিকে হেলেছে, সূর্যমুখী ফুলও সেদিকে হেলে পড়ছে। এ যেন হলুদের রাজ্য।
সূর্যমুখী ফুলের অপরুপ এই সৌন্দর্যের দেখার জন্য আমঝুপি (বিএডিসি) ডাল ও তৈল ভিত্তি বীজ উৎপাদন খামারে প্রতিদিনই আসছে শত শত দর্শনার্থী। বীজের ও ভোজ্য তেলের চাহিদা মেটানোর জন্য সূর্যমুখীর চাষ করেছে মেহেরপুরের আমঝুপি ডাল ও তৈল ভিত্তি বীজ উৎপাদন খামারসহ স্থানীয় চাষীরা। সেখানে বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যে বিগত কয়েক বছরের ন্যায় এবারও সাড়ে ১৬-বিঘা জমিতে বারি সূর্যমুখী-৩ জাতের সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে।
মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কের আমঝুপিতে সড়কের পাশে এই খামারে সূর্যমুখী ফুলের হাসি পথচারীসহ সব বয়সী মানুষের নজর কেড়েছে। আর সেই নজরকাড়া ফুলের মধ্যে কেউ সেলফি তুলছেন, কেউ ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করছেন, আবার পরিবার নিয়ে অনেকেই বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় পর করছেন। কেউ যেন ফুল না ছেড়ে সেজন্য লোকবল নিয়োগ করতে হয়েছে বিএডিসি খামার কর্তৃপক্ষকে।
মেহেরপুর শহরের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী শফিউল কবির পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সূর্যমুখী ফুলের সৌন্দর্য দেখতে এসেছেন। তিনি জানান, ফেসবুকে ছবি দেখে তার মেয়ে সূর্যমুখী বাগান দেখার বায়না করে। মেয়ের বায়না মেটাতে পরিবার নিয়ে এখানে এসেছেন তিনি। সূর্যমুখী ফুলের কাছে এসে তার খুবই ভালো লেগেছে। পরিবারের সবাই অনেক আনন্দিত। সবাই ঠবি তুলেছে, ভিডিও করেছে।’
চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের যুবক সাদিকুর বলেন, ‘ফেসবুকে এ বাগানের ভিডিও দেখে মোটরসাইলে নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে এসেছেন তিনি। একসঙ্গে হাজার হাজার সূর্যমুখী ফুল তিনি কখনো দেখেননি। সূর্যমুখী বাগানে বন্ধুদের সঙ্গে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন তিনি।’
এদিকে সূর্যমুখী ফুল দেখতে লোক সমাগম বেশি হওয়ার কারণে অনেক সময় বিএডিসি এর নিযুক্ত ব্যক্তিদের লোকজনকে সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অনেকেই বাগানে ঢুকে ফুল ও গাছ নষ্ট করে ফেলে। বিএডিসি এর নিযুক্ত ব্যক্তিরা দর্শনার্থীদেরকে ফুলের গাছ না ভাঙার জন্য সতর্ক করতেও দেখা যায়।
আমঝুপি বিএডিসি ফার্মের উপ-পরিচালক সঞ্জয় কুমার দেবনাথ জানান, ভোজ্য তেলের মধ্যে সূর্যমুখীর তেল শরীরের জন্য অত্যন্ত ভালো। দেশে ভোজ্য তেলের চাহিদা মেটানোর জন্য ও স্থানীয় চাষীদের সূর্যমুখী চাষে উদ্ধুদ্ধকরণের জন্য খামারে প্রতিবছরই কমবেশি সূর্যমুখীর চাষ করা হয়। এবার পরীক্ষামূলক ভাবে সাড়ে ৪ বিঘাসহ মোট সাড়ে ১৬ বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করা হয়েছে। মাঠজুড়ে ফুলে ভরে যাওয়াতে দৃষ্টিনন্দন পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য সব শ্রেণির মানুষ এসে ছবি তোলার জন্য ভিড় করছে। মানুষের উপস্থিতি দেখে বেশ ভালো লাগছে। এ জেলার মাটি অত্যন্ত উর্বর হওয়ায় এখানে সূর্যমুখী চাষের অপার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আমঝুপি বিএডিসি ফার্মে সূর্যমুখীর হাসি

আপলোড টাইম : ০৮:৪৯:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদন:
মেহেরপুরে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে সূর্যমুখী ফুলের অপরূপ দৃশ্য। সদর উপজেলার আমঝুপি বিএডিসি ফার্মে এখন শোভা পাচ্ছে ফুটন্ত ‘সূর্যমুখী’ ফুল। দিগন্তজুড়ে সূর্যমুখী ফুলের হাসি যেনো চোখে শান্তির পরশ বুলিয়ে দেয়। এ ফুল দেখতে আর সূর্যমুখী বাগানে নিজেদের ছবি, সেলফি তুলতে নানা বয়সী সৌন্দর্যপিপাসু মানুষ ভিড় করছেন প্রতিদিন। এতে বাগানের কিছুটা ক্ষতিও হচ্ছে। ফলে খানিকটা বিরক্ত হয়ে উঠেছেন বাগান রক্ষাকারীরা। সূর্য যখন যেদিকে হেলেছে, সূর্যমুখী ফুলও সেদিকে হেলে পড়ছে। এ যেন হলুদের রাজ্য।
সূর্যমুখী ফুলের অপরুপ এই সৌন্দর্যের দেখার জন্য আমঝুপি (বিএডিসি) ডাল ও তৈল ভিত্তি বীজ উৎপাদন খামারে প্রতিদিনই আসছে শত শত দর্শনার্থী। বীজের ও ভোজ্য তেলের চাহিদা মেটানোর জন্য সূর্যমুখীর চাষ করেছে মেহেরপুরের আমঝুপি ডাল ও তৈল ভিত্তি বীজ উৎপাদন খামারসহ স্থানীয় চাষীরা। সেখানে বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যে বিগত কয়েক বছরের ন্যায় এবারও সাড়ে ১৬-বিঘা জমিতে বারি সূর্যমুখী-৩ জাতের সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে।
মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কের আমঝুপিতে সড়কের পাশে এই খামারে সূর্যমুখী ফুলের হাসি পথচারীসহ সব বয়সী মানুষের নজর কেড়েছে। আর সেই নজরকাড়া ফুলের মধ্যে কেউ সেলফি তুলছেন, কেউ ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করছেন, আবার পরিবার নিয়ে অনেকেই বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় পর করছেন। কেউ যেন ফুল না ছেড়ে সেজন্য লোকবল নিয়োগ করতে হয়েছে বিএডিসি খামার কর্তৃপক্ষকে।
মেহেরপুর শহরের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী শফিউল কবির পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সূর্যমুখী ফুলের সৌন্দর্য দেখতে এসেছেন। তিনি জানান, ফেসবুকে ছবি দেখে তার মেয়ে সূর্যমুখী বাগান দেখার বায়না করে। মেয়ের বায়না মেটাতে পরিবার নিয়ে এখানে এসেছেন তিনি। সূর্যমুখী ফুলের কাছে এসে তার খুবই ভালো লেগেছে। পরিবারের সবাই অনেক আনন্দিত। সবাই ঠবি তুলেছে, ভিডিও করেছে।’
চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের যুবক সাদিকুর বলেন, ‘ফেসবুকে এ বাগানের ভিডিও দেখে মোটরসাইলে নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে এসেছেন তিনি। একসঙ্গে হাজার হাজার সূর্যমুখী ফুল তিনি কখনো দেখেননি। সূর্যমুখী বাগানে বন্ধুদের সঙ্গে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন তিনি।’
এদিকে সূর্যমুখী ফুল দেখতে লোক সমাগম বেশি হওয়ার কারণে অনেক সময় বিএডিসি এর নিযুক্ত ব্যক্তিদের লোকজনকে সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অনেকেই বাগানে ঢুকে ফুল ও গাছ নষ্ট করে ফেলে। বিএডিসি এর নিযুক্ত ব্যক্তিরা দর্শনার্থীদেরকে ফুলের গাছ না ভাঙার জন্য সতর্ক করতেও দেখা যায়।
আমঝুপি বিএডিসি ফার্মের উপ-পরিচালক সঞ্জয় কুমার দেবনাথ জানান, ভোজ্য তেলের মধ্যে সূর্যমুখীর তেল শরীরের জন্য অত্যন্ত ভালো। দেশে ভোজ্য তেলের চাহিদা মেটানোর জন্য ও স্থানীয় চাষীদের সূর্যমুখী চাষে উদ্ধুদ্ধকরণের জন্য খামারে প্রতিবছরই কমবেশি সূর্যমুখীর চাষ করা হয়। এবার পরীক্ষামূলক ভাবে সাড়ে ৪ বিঘাসহ মোট সাড়ে ১৬ বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করা হয়েছে। মাঠজুড়ে ফুলে ভরে যাওয়াতে দৃষ্টিনন্দন পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য সব শ্রেণির মানুষ এসে ছবি তোলার জন্য ভিড় করছে। মানুষের উপস্থিতি দেখে বেশ ভালো লাগছে। এ জেলার মাটি অত্যন্ত উর্বর হওয়ায় এখানে সূর্যমুখী চাষের অপার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।