ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভেজাল বীজে ক্ষতিগ্রস্ত পেঁয়াজ চাষীদের বিক্ষোভ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:২৫:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ২২ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ভেজাল পেঁয়াজ বীজ কিনে ক্ষতিগ্রস্ত পেঁয়াজ চাষীরা প্রতারক বীজ ব্যবসায়ীদের শাস্তি ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। গতকাল রোববার দুপুরে শৈলকুপা থানা ও উপজেলা কৃষি অফিসের সামনে ক্ষতিগ্রস্ত শতাধিক চাষী বিক্ষোভে অংশ নেন। তাঁদের অভিযোগ, অসাধু বীজ ব্যবসায়ীরা উচ্চফলনশীল বলে ভেজাল পেঁয়াজ বীজ তাঁদের নিকট বিক্রি করেছেন। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বীজ চার হাজার টাকা থেকে ৭ হাজার টাকা দরে তাঁরা কিনেছেন। এই ভেজাল ও নিম্নমানের বীজ কিনে কৃষকরা চারা তৈরি করে খেতে লাগানোর পর চারা মরে গেছে। এতে চাষীদের বিঘাপ্রতি ২০ হাজার টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা করে ক্ষতি হয়েছে।

শৈলকুপা উপজেলার মহিষাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক বিজন বিশ^াস বলেন, ‘আমি ৭ হাজার টাকা কেজি দরে ১২ কেজি বীজ কিনেছি। আমাকে বলা হয়েছে ভারতীয় লালতীর জাতের পেঁয়াজ। কিন্তু পেঁয়াজ লাগানোর পর সব গাছ মরে গেছে। আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।’

ধাওড়া গ্রামের মোকাদ্দেস আলী বলেন, ‘আমি ৩ কেজি বীজ কিনে প্রতারিত হয়েছি।’ শৈলকুপা উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের আশরাফ মাস্টার, জাহাঙ্গীর হোসেন, রাজু আহম্মেদসহ বেশ কয়েকজন কৃষকদের সঙ্গে এই প্রতারণা করেছেন। আমরা এই প্রতারকদের শাস্তি ও  আমাদের ক্ষতিপুরণ দাবি করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘চাষের সময় পার হয়ে গেছে। এখন নতুন করে চারা তৈরি করে চাষ সম্ভব নয়। প্রতারক বীজ ব্যসায়ীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে।’

এ বিষয়ে শৈলকুপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিছুজ্জামান খান বলেন, ‘কৃষকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতারণার বিষয়য়টি প্রমাণিত হলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ভেজাল বীজে ক্ষতিগ্রস্ত পেঁয়াজ চাষীদের বিক্ষোভ

আপলোড টাইম : ১১:২৫:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৩

ঝিনাইদহ অফিস:

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ভেজাল পেঁয়াজ বীজ কিনে ক্ষতিগ্রস্ত পেঁয়াজ চাষীরা প্রতারক বীজ ব্যবসায়ীদের শাস্তি ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। গতকাল রোববার দুপুরে শৈলকুপা থানা ও উপজেলা কৃষি অফিসের সামনে ক্ষতিগ্রস্ত শতাধিক চাষী বিক্ষোভে অংশ নেন। তাঁদের অভিযোগ, অসাধু বীজ ব্যবসায়ীরা উচ্চফলনশীল বলে ভেজাল পেঁয়াজ বীজ তাঁদের নিকট বিক্রি করেছেন। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বীজ চার হাজার টাকা থেকে ৭ হাজার টাকা দরে তাঁরা কিনেছেন। এই ভেজাল ও নিম্নমানের বীজ কিনে কৃষকরা চারা তৈরি করে খেতে লাগানোর পর চারা মরে গেছে। এতে চাষীদের বিঘাপ্রতি ২০ হাজার টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা করে ক্ষতি হয়েছে।

শৈলকুপা উপজেলার মহিষাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক বিজন বিশ^াস বলেন, ‘আমি ৭ হাজার টাকা কেজি দরে ১২ কেজি বীজ কিনেছি। আমাকে বলা হয়েছে ভারতীয় লালতীর জাতের পেঁয়াজ। কিন্তু পেঁয়াজ লাগানোর পর সব গাছ মরে গেছে। আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।’

ধাওড়া গ্রামের মোকাদ্দেস আলী বলেন, ‘আমি ৩ কেজি বীজ কিনে প্রতারিত হয়েছি।’ শৈলকুপা উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের আশরাফ মাস্টার, জাহাঙ্গীর হোসেন, রাজু আহম্মেদসহ বেশ কয়েকজন কৃষকদের সঙ্গে এই প্রতারণা করেছেন। আমরা এই প্রতারকদের শাস্তি ও  আমাদের ক্ষতিপুরণ দাবি করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘চাষের সময় পার হয়ে গেছে। এখন নতুন করে চারা তৈরি করে চাষ সম্ভব নয়। প্রতারক বীজ ব্যসায়ীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে।’

এ বিষয়ে শৈলকুপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিছুজ্জামান খান বলেন, ‘কৃষকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতারণার বিষয়য়টি প্রমাণিত হলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’