ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১০দিন যাবৎ বন্ধ রেজিস্ট্রি বন্ধ, ভোগান্তিতে ক্রেতা-বিক্রেতারা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৪৪:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ২১ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:

মেহেরপুরে জমির মৌজার মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ১০ দিন যাবৎ জমি রেজিস্ট্রি বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন জমি ক্রয়-বিক্রয় করতে ইচ্ছুক সাধারণ মানুষ। দলিল লেখকদের দাবি সাধারণ মানুষের স্বার্থেই তারা জমি রেজিস্ট্রি বন্ধ রেখেছেন। আর সাব রেজিস্ট্রার বলছেন, গত সাত বছরে জমির মৌজার মূল্য সমন্বয় না করার কারণে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে।

মেহেরপুর সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিস সূত্রে জানা গেছে, মেহেরপুর জেলায় জমির মৌজার গড় মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ। গত বছর মেহেরপুর পৌর এলাকায় ১ শতক জমির মৌজা রেট ছিল ১ লাখ ১৪ হাজার ৬০৬ টাকা। আর বর্তমানে ১ শতক জমির মৌজা রেট দুই লাখ ৭৪ হাজার টাকা। তাই জমি রেজিস্ট্রিতে দলিল প্রতি গত বছরের থেকে তিনগুণ টাকা বেশি গুণতে হবে গ্রাহককে। যার কারণে জমি রেজিস্ট্রি বন্ধ রয়েছে। প্রতি বছর জমির গড় মূল্য বৃদ্ধি না করে সাত বছর পর একসঙ্গে জমির দাম সমন্বয় করার কারণে তিনগুণ হারে জমির মৌজার মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে।

তবে জমি রেজিস্ট্রি করতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। জরুরি প্রয়োজনে জমি বিক্রি করতে না পারায় সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। ভুক্তভোগীরা জমির দলিল করতে অনীহা প্রকাশ করছেন। সমস্যা সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সাধারণ মানুষ। জমি রেজিস্ট্রি করতে আসা ক্রেতা সাইফুল ইসলাম জানান, আগে ১ শতক জমি রেজিস্ট্রি করতে ৭ হাজার টাকা খরচ লাগতো। আর বর্তমানে ১ শতক জমি রেজিস্ট্রি করতে খরচ ২১ হাজার টাকা। হঠাৎ করে খরচ বৃদ্ধি সাধারণ মানুষকে ভোগাবে।

তবে দলিল লেখক আরিফ হোসেন জানান, সাধারণ মানুষের স্বার্থের কারণেই তারা জমি রেজিস্ট্রি বন্ধ রেখেছেন। জেলায় অনেক জায়গায় ৮ লাখ টাকা বিঘা জমি কেনা বেচা হচ্ছে। সেই জমি ২১ লাখ টাকায় দলিল করা সাধারণ মানুষের জন্য কষ্টকর। সাধারণ মানুষের কষ্টের কথা চিন্তা করে আমরা জমি রেজিস্ট্রি বন্ধ রেখেছি। মেহেরপুর দলিল লেখক সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম জানান, প্রতি বছর জমির গড় মূল্য বৃদ্ধি না করে সাত বছর পর একসঙ্গে জমির দাম সমন্বয় করার কারণে তিনগুণ হারে জমির মৌজার মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে। যা সাধারণ মানুষের আয়ত্বের বাইরে। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে আমরা জমি রেজিস্ট্রি বন্ধ রেখেছি।

এদিকে সদর উপজেলার সাব রেজিস্ট্রার মনিরুজ্জামান জানান, জমির মৌজা রেট বৃদ্ধি একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। গত সাত বছরে জমির মৌজার মূল্য সমন্বয় না করার কারণে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। মেহেরপুর পৌর এলাকায় ১ শতক জমির মৌজা রেট ছিল ১ লাখ ১৪ হাজার ৬০৬ টাকা। আর বর্তমানে ১ শতক জমির মৌজা রেট দুই লাখ ৭৪ হাজার টাকা। তাই জমি রেজিস্ট্রিতে দলিল প্রতি গত বছরের থেকে কয়েকগুণ টাকা বেশি গুণতে হবে গ্রাহককে। সূত্র-জাগো নিউজ

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

১০দিন যাবৎ বন্ধ রেজিস্ট্রি বন্ধ, ভোগান্তিতে ক্রেতা-বিক্রেতারা

আপলোড টাইম : ১১:৪৪:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদন:

মেহেরপুরে জমির মৌজার মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ১০ দিন যাবৎ জমি রেজিস্ট্রি বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন জমি ক্রয়-বিক্রয় করতে ইচ্ছুক সাধারণ মানুষ। দলিল লেখকদের দাবি সাধারণ মানুষের স্বার্থেই তারা জমি রেজিস্ট্রি বন্ধ রেখেছেন। আর সাব রেজিস্ট্রার বলছেন, গত সাত বছরে জমির মৌজার মূল্য সমন্বয় না করার কারণে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে।

মেহেরপুর সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিস সূত্রে জানা গেছে, মেহেরপুর জেলায় জমির মৌজার গড় মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ। গত বছর মেহেরপুর পৌর এলাকায় ১ শতক জমির মৌজা রেট ছিল ১ লাখ ১৪ হাজার ৬০৬ টাকা। আর বর্তমানে ১ শতক জমির মৌজা রেট দুই লাখ ৭৪ হাজার টাকা। তাই জমি রেজিস্ট্রিতে দলিল প্রতি গত বছরের থেকে তিনগুণ টাকা বেশি গুণতে হবে গ্রাহককে। যার কারণে জমি রেজিস্ট্রি বন্ধ রয়েছে। প্রতি বছর জমির গড় মূল্য বৃদ্ধি না করে সাত বছর পর একসঙ্গে জমির দাম সমন্বয় করার কারণে তিনগুণ হারে জমির মৌজার মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে।

তবে জমি রেজিস্ট্রি করতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। জরুরি প্রয়োজনে জমি বিক্রি করতে না পারায় সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। ভুক্তভোগীরা জমির দলিল করতে অনীহা প্রকাশ করছেন। সমস্যা সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সাধারণ মানুষ। জমি রেজিস্ট্রি করতে আসা ক্রেতা সাইফুল ইসলাম জানান, আগে ১ শতক জমি রেজিস্ট্রি করতে ৭ হাজার টাকা খরচ লাগতো। আর বর্তমানে ১ শতক জমি রেজিস্ট্রি করতে খরচ ২১ হাজার টাকা। হঠাৎ করে খরচ বৃদ্ধি সাধারণ মানুষকে ভোগাবে।

তবে দলিল লেখক আরিফ হোসেন জানান, সাধারণ মানুষের স্বার্থের কারণেই তারা জমি রেজিস্ট্রি বন্ধ রেখেছেন। জেলায় অনেক জায়গায় ৮ লাখ টাকা বিঘা জমি কেনা বেচা হচ্ছে। সেই জমি ২১ লাখ টাকায় দলিল করা সাধারণ মানুষের জন্য কষ্টকর। সাধারণ মানুষের কষ্টের কথা চিন্তা করে আমরা জমি রেজিস্ট্রি বন্ধ রেখেছি। মেহেরপুর দলিল লেখক সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম জানান, প্রতি বছর জমির গড় মূল্য বৃদ্ধি না করে সাত বছর পর একসঙ্গে জমির দাম সমন্বয় করার কারণে তিনগুণ হারে জমির মৌজার মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে। যা সাধারণ মানুষের আয়ত্বের বাইরে। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে আমরা জমি রেজিস্ট্রি বন্ধ রেখেছি।

এদিকে সদর উপজেলার সাব রেজিস্ট্রার মনিরুজ্জামান জানান, জমির মৌজা রেট বৃদ্ধি একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। গত সাত বছরে জমির মৌজার মূল্য সমন্বয় না করার কারণে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। মেহেরপুর পৌর এলাকায় ১ শতক জমির মৌজা রেট ছিল ১ লাখ ১৪ হাজার ৬০৬ টাকা। আর বর্তমানে ১ শতক জমির মৌজা রেট দুই লাখ ৭৪ হাজার টাকা। তাই জমি রেজিস্ট্রিতে দলিল প্রতি গত বছরের থেকে কয়েকগুণ টাকা বেশি গুণতে হবে গ্রাহককে। সূত্র-জাগো নিউজ