ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে বছরের প্রথম দিনেই বই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:২৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ২০ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:
বছরের শুরুতেই নতুন বই পেয়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। দিনটি ছিল তাদের আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে ওঠার দিন। নতুন বই নিয়েই আনন্দে বাড়ি ফিরেছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। গত রোববার বছরের প্রথম দিনে প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মধ্যে সারা দেশে একযোগে সরকারি পাঠ্যবই বিতরণ করা হয়েছে। সারা দেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে একযোগে বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে এই নতুন বই তুলে দেওয়া হয়। তাই গতকালের দিনটি ছিলো বই উৎসবের।

চুয়াডাঙ্গা:
বছরের প্রথম দিনেই চুয়াডাঙ্গার স্কুলে স্কুলে বই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত রোববার সকাল সাড়ে দশটায় চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজে পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হয়। চুয়াডাঙ্গায় এ বছরের প্রথম দিনেই মাধ্যমিকের ৭৯ শতাংশ শিক্ষার্থী ও প্রাথমিকের শতাংশ শিক্ষার্থী বই পাচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের আয়োজনে পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবস-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আরাফাত রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘মোবাইলে অনেকেই আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। মোবাইলে সময় না কাটিয়ে বইয়ে সময় কাটাতে হবে। বই পড়লে প্রাইভেট টিচার বা কোচিং লাগে না। বর্তমানে খুবই কম্পিটিশনের যুগ। ভালো ফলাফল করতে হলে প্রচুর পড়তে। নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। আজকের যারা ছাত্র তারাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। তোমাদের যোগ্য হয়ে উঠতে হবে। জিবনে উন্নতি করতে হলে সব কাজ শিখতে হবে। বইয়ের প্রতি যার ভালোবাসা আছে, সে ভালো ফলাফল করবে। শিক্ষার মান দিনে দিনে কমে যাচ্ছে।
শিক্ষকদের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, সকল শিক্ষার্থীকে সমান গুরুত্ব দিতে হবে। দূর্বলদের প্রতি বিশেষ নজর রাখতে হবে। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বড় হয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করো।’
আলোচনা সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. মাসুদুজ্জামান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গির আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাজমুল হামিদ রেজা, সদর উপজলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভূইয়া, জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান প্রমুখ।
চুয়াডাঙ্গা জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান বলেন, চুয়াডাঙ্গায় প্রথম দিনেই মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের ৭৯ শতাংশ বই পাচ্ছে। আও বই আসছে। কয়েকদিনের মধ্যেই সকলেই বই পাবে। এখ নপর্যন্ত বইগুলো একটু সমন্বয় করে বিতরণ করা হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রথম দিনে জেলার প্রাথমিকের ২৬ শতাংশ শিক্ষার্থী বই পাচ্ছে। আজও বই আসবে। কালও বই আসবে। শতভাগ শিক্ষার্থীই বই পাবে।

জীবননগর:
মানসম্মত শিক্ষা, শেখ হাসিনার দিক্ষা এ শ্লোগানে জীবননগর বই উৎসব পালন করা হয়েছে। গত রোববার সকাল ১০টায় জীবননগর থানা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বই উৎসবের উদ্বোধন করেন জীবননগর উপজেলা নিবাহী অফিসার (ইউএনও) রোকনুজ্জামান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল, একই দিনে দৌলৎগজ্ঞ মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জীবননগর পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জালাল উদ্দিন, জীবননগর উপজেলা শিশু নিকেতন মডেল প্রি-ক্যাডেট স্কুলে বই উৎসবের উদ্বোধন করেন উপজেলা শিশু নিকেতন মডেল প্রি ক্যাডেট স্কুলের পরিচালক নিলুফা ইয়াসমিন। এ সময় উপস্থিত আরও ছিলেন উপজেলা শিশু নিকেতন মডেল প্রি ক্যাডেট স্কুলের অধ্যক্ষ মিঠুন মাহমুদ, শিক্ষক সানজিদা, রনি, কবির, শাহিনুর, ফাতেমা প্রমুখ।
বই উৎসবে উপজেলা নিবাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রোকুনুজ্জামান জানান, বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়ে উদাহরণ তৈরি করতে পেরেছে সরকার। পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে একযোগে বছরের প্রথম দিনেই একসঙ্গে এত বই বিতরণ করতে পারেনি। তবে এ পর্যন্ত কি পরিমান বই এসেছে তার সঠিক তথ্য জানায়নি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। অপরদিকে বই পাওয়া নিয়ে টেনশনে আছেন শিক্ষকরা।

মেহেরপুর:
মেহেরপুরের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেয়ার মধ্য দিয়ে বই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত রোববার সকালে মেহেরপুরের রামনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জেলা প্রশাসক ড. মনসুর আলম খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জেলাব্যাপী বই উৎসবের উদ্বোধন করেন। পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইটি) লিউজা উল জান্নাহ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক পর্যায়ে বই উৎসবের উদ্বোধন করেন। মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মিজানুর জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা শিক্ষা অফিসার মাহফুজুল হোসেন।

জেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবছর মাধ্যমিক পর্যায়ে ৭১ ভাগ শিক্ষার্থীর হাতে বছরের প্রথম দিনেই বই তুলে দেওয়া হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে কত ৭৫ ভাগ শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হবে।

মুজিবনগর:
সারা দেশের মতই বই উৎসব শুরু হয়েছে মেহেরপুর জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে। গত রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় মুজিবনগর উপজেলার রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ড. মুনসুর আলম খান। এদিকে বই উৎসব শুরু হলেও সকল বই পাননি শিক্ষার্থীরা। প্রাথমিক পর্যায়ে মিলেছে বাংলা ও ইংরাজি বই। আর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মিলেছে একটি করে বই। আবার কোথাও কোথাও ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বইই পাননি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা। দ্রুত বই না পেলে পড়া-লেখার ব্যাঘাত ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তারা। পাশাপাশি দ্রুত বই পাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।

আজ একটি করে বই দিলেও আগামী কয়েক দিনের মধ্যে শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে যাবে বলে দাবি শিক্ষকদের। অন্যদিকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের দাবি ৭৫ ভাগ বই জেলায় পৌঁছে গেছে। বাকি বই দুই একদিনের মধ্যে পৌঁছে যাবে। জেলা প্রশাসক ড. মুনসুর আলম খান বলেন, আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিটি বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা বই পেয়ে যাবেন।
এ সময় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিবেশ বিশ্বাস, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ভূপেশ রঞ্জন রায়, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আলাউদ্দিন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে বছরের প্রথম দিনেই বই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন

আপলোড টাইম : ০৭:২৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদক:
বছরের শুরুতেই নতুন বই পেয়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। দিনটি ছিল তাদের আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে ওঠার দিন। নতুন বই নিয়েই আনন্দে বাড়ি ফিরেছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। গত রোববার বছরের প্রথম দিনে প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মধ্যে সারা দেশে একযোগে সরকারি পাঠ্যবই বিতরণ করা হয়েছে। সারা দেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে একযোগে বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে এই নতুন বই তুলে দেওয়া হয়। তাই গতকালের দিনটি ছিলো বই উৎসবের।

চুয়াডাঙ্গা:
বছরের প্রথম দিনেই চুয়াডাঙ্গার স্কুলে স্কুলে বই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত রোববার সকাল সাড়ে দশটায় চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজে পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হয়। চুয়াডাঙ্গায় এ বছরের প্রথম দিনেই মাধ্যমিকের ৭৯ শতাংশ শিক্ষার্থী ও প্রাথমিকের শতাংশ শিক্ষার্থী বই পাচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের আয়োজনে পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবস-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আরাফাত রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘মোবাইলে অনেকেই আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। মোবাইলে সময় না কাটিয়ে বইয়ে সময় কাটাতে হবে। বই পড়লে প্রাইভেট টিচার বা কোচিং লাগে না। বর্তমানে খুবই কম্পিটিশনের যুগ। ভালো ফলাফল করতে হলে প্রচুর পড়তে। নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। আজকের যারা ছাত্র তারাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। তোমাদের যোগ্য হয়ে উঠতে হবে। জিবনে উন্নতি করতে হলে সব কাজ শিখতে হবে। বইয়ের প্রতি যার ভালোবাসা আছে, সে ভালো ফলাফল করবে। শিক্ষার মান দিনে দিনে কমে যাচ্ছে।
শিক্ষকদের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, সকল শিক্ষার্থীকে সমান গুরুত্ব দিতে হবে। দূর্বলদের প্রতি বিশেষ নজর রাখতে হবে। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বড় হয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করো।’
আলোচনা সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. মাসুদুজ্জামান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গির আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাজমুল হামিদ রেজা, সদর উপজলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভূইয়া, জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান প্রমুখ।
চুয়াডাঙ্গা জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান বলেন, চুয়াডাঙ্গায় প্রথম দিনেই মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের ৭৯ শতাংশ বই পাচ্ছে। আও বই আসছে। কয়েকদিনের মধ্যেই সকলেই বই পাবে। এখ নপর্যন্ত বইগুলো একটু সমন্বয় করে বিতরণ করা হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রথম দিনে জেলার প্রাথমিকের ২৬ শতাংশ শিক্ষার্থী বই পাচ্ছে। আজও বই আসবে। কালও বই আসবে। শতভাগ শিক্ষার্থীই বই পাবে।

জীবননগর:
মানসম্মত শিক্ষা, শেখ হাসিনার দিক্ষা এ শ্লোগানে জীবননগর বই উৎসব পালন করা হয়েছে। গত রোববার সকাল ১০টায় জীবননগর থানা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বই উৎসবের উদ্বোধন করেন জীবননগর উপজেলা নিবাহী অফিসার (ইউএনও) রোকনুজ্জামান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল, একই দিনে দৌলৎগজ্ঞ মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জীবননগর পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জালাল উদ্দিন, জীবননগর উপজেলা শিশু নিকেতন মডেল প্রি-ক্যাডেট স্কুলে বই উৎসবের উদ্বোধন করেন উপজেলা শিশু নিকেতন মডেল প্রি ক্যাডেট স্কুলের পরিচালক নিলুফা ইয়াসমিন। এ সময় উপস্থিত আরও ছিলেন উপজেলা শিশু নিকেতন মডেল প্রি ক্যাডেট স্কুলের অধ্যক্ষ মিঠুন মাহমুদ, শিক্ষক সানজিদা, রনি, কবির, শাহিনুর, ফাতেমা প্রমুখ।
বই উৎসবে উপজেলা নিবাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রোকুনুজ্জামান জানান, বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়ে উদাহরণ তৈরি করতে পেরেছে সরকার। পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে একযোগে বছরের প্রথম দিনেই একসঙ্গে এত বই বিতরণ করতে পারেনি। তবে এ পর্যন্ত কি পরিমান বই এসেছে তার সঠিক তথ্য জানায়নি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। অপরদিকে বই পাওয়া নিয়ে টেনশনে আছেন শিক্ষকরা।

মেহেরপুর:
মেহেরপুরের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেয়ার মধ্য দিয়ে বই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত রোববার সকালে মেহেরপুরের রামনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জেলা প্রশাসক ড. মনসুর আলম খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জেলাব্যাপী বই উৎসবের উদ্বোধন করেন। পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইটি) লিউজা উল জান্নাহ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক পর্যায়ে বই উৎসবের উদ্বোধন করেন। মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মিজানুর জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা শিক্ষা অফিসার মাহফুজুল হোসেন।

জেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবছর মাধ্যমিক পর্যায়ে ৭১ ভাগ শিক্ষার্থীর হাতে বছরের প্রথম দিনেই বই তুলে দেওয়া হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে কত ৭৫ ভাগ শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হবে।

মুজিবনগর:
সারা দেশের মতই বই উৎসব শুরু হয়েছে মেহেরপুর জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে। গত রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় মুজিবনগর উপজেলার রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ড. মুনসুর আলম খান। এদিকে বই উৎসব শুরু হলেও সকল বই পাননি শিক্ষার্থীরা। প্রাথমিক পর্যায়ে মিলেছে বাংলা ও ইংরাজি বই। আর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মিলেছে একটি করে বই। আবার কোথাও কোথাও ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বইই পাননি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা। দ্রুত বই না পেলে পড়া-লেখার ব্যাঘাত ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তারা। পাশাপাশি দ্রুত বই পাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।

আজ একটি করে বই দিলেও আগামী কয়েক দিনের মধ্যে শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে যাবে বলে দাবি শিক্ষকদের। অন্যদিকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের দাবি ৭৫ ভাগ বই জেলায় পৌঁছে গেছে। বাকি বই দুই একদিনের মধ্যে পৌঁছে যাবে। জেলা প্রশাসক ড. মুনসুর আলম খান বলেন, আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিটি বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা বই পেয়ে যাবেন।
এ সময় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিবেশ বিশ্বাস, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ভূপেশ রঞ্জন রায়, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আলাউদ্দিন।