ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শৈলকুপার দুটি গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু আতঙ্ক

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:০০:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২২
  • / ২৪ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের বিভিন্ন এলাকায় বেড়েই চলেছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। শহর থেকে গ্রামাাঞ্চলে ছড়িয়েছে ডেঙ্গু। মশা নিধনে সরকারি ও ইউনিয়ন পরিষদের কোনো উদ্যোগ না থাকায় আতঙ্কে ভুগছে গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষ। আতঙ্কিত মানুষ দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি স্থানীয়দের। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, জেলার শৈলকুপা উপজেলার চণ্ডিপুর ও বাজুখালী গ্রামে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে। প্রায় প্রতি বাড়িতেই রয়েছে ২ থেকে ৪ জন করে রোগী। ডেঙ্গু আতঙ্কে আছে গ্রামের মানুষ।
চণ্ডিপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন জ¦রে আক্রান্ত হন। হাসপাতালে পরীক্ষা করালে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। পরবর্তীতের তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। ডেঙ্গু নেগেটিভ হয়ে বাড়ি ফিরলেও শারীরিকভাবে তিনি এখনও রয়েছেন দুর্বল। তার বাড়িতে আরও তিনজন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শুধু সোহাগ হোসেনই নন, তার গ্রামসহ পাশের বাজুখালী গ্রামে প্রায় ৩০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী রয়েছে। ওই গ্রাম দু’টিতে গেলেই চোখে মেলে বাড়ির উঠান, বরান্দা কিংবা ঘরের মধ্যে জ¦রে আক্রান্ত রোগীদের চলছে সেবাসুশ্রুষা। কেউ হাসপাতালে আবার কেউ বাড়িতে থেকেই নিচ্ছে চিকিৎসা। অনেকেই চিকিৎসা নিয়েছে ঢাকা, রাজশাহী, খুলনাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে।
জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম জানান, মশা নিধনসহ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যপারে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঝিনাইদহ জেলার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. রাশেদ আল মামুন জানান, ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়নের পাশাপশি সচেতনতামূলক সকল কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য মতে, জেলায় সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের ২০ তারিখ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা ৯২ জন। তবে বেশিরভাগই আক্রান্ত হয়েছে গ্রাম থেকে। সব থেকে আক্রান্তের হার বেশি সেপ্টেম্বর ও নভেম্বর মাসে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

শৈলকুপার দুটি গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু আতঙ্ক

আপলোড টাইম : ০৪:০০:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২২

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের বিভিন্ন এলাকায় বেড়েই চলেছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। শহর থেকে গ্রামাাঞ্চলে ছড়িয়েছে ডেঙ্গু। মশা নিধনে সরকারি ও ইউনিয়ন পরিষদের কোনো উদ্যোগ না থাকায় আতঙ্কে ভুগছে গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষ। আতঙ্কিত মানুষ দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি স্থানীয়দের। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, জেলার শৈলকুপা উপজেলার চণ্ডিপুর ও বাজুখালী গ্রামে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে। প্রায় প্রতি বাড়িতেই রয়েছে ২ থেকে ৪ জন করে রোগী। ডেঙ্গু আতঙ্কে আছে গ্রামের মানুষ।
চণ্ডিপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন জ¦রে আক্রান্ত হন। হাসপাতালে পরীক্ষা করালে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। পরবর্তীতের তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। ডেঙ্গু নেগেটিভ হয়ে বাড়ি ফিরলেও শারীরিকভাবে তিনি এখনও রয়েছেন দুর্বল। তার বাড়িতে আরও তিনজন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শুধু সোহাগ হোসেনই নন, তার গ্রামসহ পাশের বাজুখালী গ্রামে প্রায় ৩০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী রয়েছে। ওই গ্রাম দু’টিতে গেলেই চোখে মেলে বাড়ির উঠান, বরান্দা কিংবা ঘরের মধ্যে জ¦রে আক্রান্ত রোগীদের চলছে সেবাসুশ্রুষা। কেউ হাসপাতালে আবার কেউ বাড়িতে থেকেই নিচ্ছে চিকিৎসা। অনেকেই চিকিৎসা নিয়েছে ঢাকা, রাজশাহী, খুলনাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে।
জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম জানান, মশা নিধনসহ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যপারে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঝিনাইদহ জেলার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. রাশেদ আল মামুন জানান, ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়নের পাশাপশি সচেতনতামূলক সকল কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য মতে, জেলায় সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের ২০ তারিখ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা ৯২ জন। তবে বেশিরভাগই আক্রান্ত হয়েছে গ্রাম থেকে। সব থেকে আক্রান্তের হার বেশি সেপ্টেম্বর ও নভেম্বর মাসে।’