ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহ পৌরসভার চেক জালিয়াতি প্রমাণিত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪৫:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২
  • / ১৮ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহ পৌরসভার সাবেক পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা আজমল হোসেন ও হিসাবরক্ষক মকলেচুর রহমান ফেঁসে গেছেন। চেক জালিয়াতি করেছেন মর্মে তদন্তে তা প্রমাণিত হয়েছে। ফলে এই দুই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল রোববার স্থানীয় সরকার বিভাগের ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে। মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়- ঝিনাইদহ পৌরসভার ফান্ড তছরুপ ও চেক জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আজমল ও মকলেচুরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ পৌর শাখা-১ এর উপ-সচিব আব্দুর রহমান এই প্রজ্ঞাপন জারি করেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ঝিনাইদহ পৌরসভার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা আজমল হোসেন বিভিন্ন সময় হিসাবরক্ষক মকলেচুর রহমানের সহায়তায় ৩৮টি চেকের মাধ্যমে ৭৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮২ টাকা অবৈধভাবে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। বর্ণিত অভিযোগের বিষয়ে হিসাবরক্ষক মকলেচুর রহমান দোষ স্বীকার করে সম্প্রতি তদন্ত কর্মকর্তার কাছে লিখিত দেন। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে চেক জালিয়াতির ঘটনাটি তদন্ত করেন ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক দপ্তরের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ইয়ারুল ইসলাম।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহ পৌরসভার সাবেক মেয়র সাইদুল করিম মিণ্টু চেক জালিয়াতির বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ২০২১ সালের ২৭ শে জুন তাঁর দপ্তরের ২৯৬ নম্বর স্মারকে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব (পৌর-১ শাখা) বরাবর চিঠি দেন। সেই চিঠির আলোকে মন্ত্রণালয় একটি তদন্ত কমিটি করে প্রতিবেদন প্রেরণ করার নির্দেশনা জারি করে। ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক দপ্তরের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও ঝিনাইদহ পৌরসভার সাবেক প্রশাসক ইয়ারুল ইসলাম চেক জালিয়াতির ঘটনাটি তদন্ত করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন প্রেরণ করেন। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেন বলে জানা গেছে।

এদিকে ঝিনাইদহ পৌরসভার নতুন মেয়র দায়িত্ব গ্রহণের আগেই চেক জালিয়াতির ৭৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮২ টাকা জমা হয় পৌরসভার একটি একাউন্টে। হিসাবরক্ষক মকলেচুর রহমান এই টাকা সোনালী ব্যাংকের ২৪০৭০০৪০০০৩১৬ নম্বর একাউন্টে জমা দিলেও ঝিনাইদহ পৌরসভার একাউন্টস সেকশনে তার কোনো ডকুমেন্ট নেই। নতুন মেয়র শাহরিয়ার জাহেদী হিজল দায়িত্ব গ্রহণের পর বিষয়টি জানাজানি হলেও এখনো বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে রয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঝিনাইদহ পৌরসভার চেক জালিয়াতি প্রমাণিত

আপলোড টাইম : ১০:৪৫:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহ পৌরসভার সাবেক পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা আজমল হোসেন ও হিসাবরক্ষক মকলেচুর রহমান ফেঁসে গেছেন। চেক জালিয়াতি করেছেন মর্মে তদন্তে তা প্রমাণিত হয়েছে। ফলে এই দুই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল রোববার স্থানীয় সরকার বিভাগের ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে। মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়- ঝিনাইদহ পৌরসভার ফান্ড তছরুপ ও চেক জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আজমল ও মকলেচুরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ পৌর শাখা-১ এর উপ-সচিব আব্দুর রহমান এই প্রজ্ঞাপন জারি করেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ঝিনাইদহ পৌরসভার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা আজমল হোসেন বিভিন্ন সময় হিসাবরক্ষক মকলেচুর রহমানের সহায়তায় ৩৮টি চেকের মাধ্যমে ৭৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮২ টাকা অবৈধভাবে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। বর্ণিত অভিযোগের বিষয়ে হিসাবরক্ষক মকলেচুর রহমান দোষ স্বীকার করে সম্প্রতি তদন্ত কর্মকর্তার কাছে লিখিত দেন। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে চেক জালিয়াতির ঘটনাটি তদন্ত করেন ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক দপ্তরের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ইয়ারুল ইসলাম।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহ পৌরসভার সাবেক মেয়র সাইদুল করিম মিণ্টু চেক জালিয়াতির বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ২০২১ সালের ২৭ শে জুন তাঁর দপ্তরের ২৯৬ নম্বর স্মারকে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব (পৌর-১ শাখা) বরাবর চিঠি দেন। সেই চিঠির আলোকে মন্ত্রণালয় একটি তদন্ত কমিটি করে প্রতিবেদন প্রেরণ করার নির্দেশনা জারি করে। ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক দপ্তরের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও ঝিনাইদহ পৌরসভার সাবেক প্রশাসক ইয়ারুল ইসলাম চেক জালিয়াতির ঘটনাটি তদন্ত করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন প্রেরণ করেন। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেন বলে জানা গেছে।

এদিকে ঝিনাইদহ পৌরসভার নতুন মেয়র দায়িত্ব গ্রহণের আগেই চেক জালিয়াতির ৭৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮২ টাকা জমা হয় পৌরসভার একটি একাউন্টে। হিসাবরক্ষক মকলেচুর রহমান এই টাকা সোনালী ব্যাংকের ২৪০৭০০৪০০০৩১৬ নম্বর একাউন্টে জমা দিলেও ঝিনাইদহ পৌরসভার একাউন্টস সেকশনে তার কোনো ডকুমেন্ট নেই। নতুন মেয়র শাহরিয়ার জাহেদী হিজল দায়িত্ব গ্রহণের পর বিষয়টি জানাজানি হলেও এখনো বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে রয়েছে।