ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিত্তবানদের সহযোগিতা পেলে বাঁচতে পারে শিশু আলিফ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:০৮:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর ২০২২
  • / ২২ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:  ঝিনাইদহের সাড়ে ৩ মাসের শিশু সন্তান আলিফের হার্টের ২টি ভাল্ব ছিদ্র হয়ে গেছে। সন্তানকে বাঁচাতে গৃহকর্মী দাদী রওশন আরা সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছেন।

পারিবারিক ও ডাক্তার সূত্রে জানা গেছে দামুরহুদা উপজেলার নতুন বাস্তপুর গ্রামের পূর্বপাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব আলী সড়কের বাসিন্দা রওশন আরা। আব্দুর রশিদের দুই সন্তানের মধ্যে ছোট ছেলে আলিফ। তার বয়স মাত্র সাড়ে ৩ মাস। জন্মের ১০ দিন পর ধরা পড়ে হার্টের সমস্যা। প্রথমে হাঁপানি নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহাবুবুর রহমান মিলনকে দেখালে তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান। পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পেয়ে তিনি জানান জন্মগতভাবেই হার্ডের দুইটা ভাল্ব ছিদ্র আছে। পরে কুষ্টিয়াতে রেফার্ড করেন। কুষ্টিয়া হার্ট বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আব্দুল গফুর শিশুটিকে ২মাস চিকিৎিসা দেন। এরপর আলিফের কোন উন্নতি না হওয়ায় ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে বলেন।

এরপর ঢাকার ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে দেখানো হয়। এখানেও ইকোসহ বিভিন্ন রির্পোট করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার রির্পোট হাতে পেলে জানানো হয় আলিফের হাটে ছিদ্র আছে। সার্জারি করতে হবে। সার্জরি করতে আড়াই লাখ টাকার প্রয়োজন। এছাড়া প্রতিদিন বেড ভাড়া দিতে হবে ৩ হাজার টাকা। ঢাকায় থাকতে হবে একমাস সেখানে প্রতিদিন থাকা ওষুধ বাবদ প্রতিদিন খরচ হবে তিন/চার হাজার টাকা। এতে সর্বমোট খরচ হবে প্রায় সাড়ে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মত। কিস্তু গৃহকর্মী দাদী রওশন আরার পক্ষে এত টাকা যোগাড় করা কোন ভাবেই সম্ভব নয়।

ডাক্তার বলেছেন, শিশুর ওজন ১০ কেজি হলে আমরা ৯০ ভাগ গ্যারান্টি দিতে পারবো, শিশু সুস্থ হওযার সম্ভবনা বেশী থাকবে। কিন্তু যদি ১০ কেজির কম হয় তাহলে কোন গ্যারান্টি নেই। সমস্ত খরচ ধরে সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা খরচ হবে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী দাদী রওশন আরা বলেন, আমি বাড়ীতে বাড়ীতে কাজ করে সংসার চালায়। এ পোতা ছেলে বাবদ ৫০ হাজার টাকার বেশী খরচ হয়ে গেছে। এখন আমি অনেক দেনা হয়ে গেছি। আমার বড় পোতা ছেলেও অসুস্থ। কিভাবে সংসার চালাবো? টাকার অভাবে পোতা ছেলের হাটের সার্জারি করতে পারছি না। অপারেশন করালে হয়তো বেঁচে যেতো তার প্রান। তাই সমাজের বিত্তবানদের নিকট আমার আকুল আবেদন পোতা ছেলেকে অর্থ দিয়ে সাহয্যে করে বাঁচিয়ে রাখার জন্য। এই নাম্বারে সাহায্যে পাঠাতে ও যোগাযোগ করতে পারেন। দাদী রওশন আরা-০১৭৯৭-২২৪১৫৯ ও ০১৯৯১-৬৭২৭২৯।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

বিত্তবানদের সহযোগিতা পেলে বাঁচতে পারে শিশু আলিফ

আপলোড টাইম : ০২:০৮:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর ২০২২

ঝিনাইদহ অফিস:  ঝিনাইদহের সাড়ে ৩ মাসের শিশু সন্তান আলিফের হার্টের ২টি ভাল্ব ছিদ্র হয়ে গেছে। সন্তানকে বাঁচাতে গৃহকর্মী দাদী রওশন আরা সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছেন।

পারিবারিক ও ডাক্তার সূত্রে জানা গেছে দামুরহুদা উপজেলার নতুন বাস্তপুর গ্রামের পূর্বপাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব আলী সড়কের বাসিন্দা রওশন আরা। আব্দুর রশিদের দুই সন্তানের মধ্যে ছোট ছেলে আলিফ। তার বয়স মাত্র সাড়ে ৩ মাস। জন্মের ১০ দিন পর ধরা পড়ে হার্টের সমস্যা। প্রথমে হাঁপানি নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহাবুবুর রহমান মিলনকে দেখালে তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান। পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পেয়ে তিনি জানান জন্মগতভাবেই হার্ডের দুইটা ভাল্ব ছিদ্র আছে। পরে কুষ্টিয়াতে রেফার্ড করেন। কুষ্টিয়া হার্ট বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আব্দুল গফুর শিশুটিকে ২মাস চিকিৎিসা দেন। এরপর আলিফের কোন উন্নতি না হওয়ায় ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে বলেন।

এরপর ঢাকার ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে দেখানো হয়। এখানেও ইকোসহ বিভিন্ন রির্পোট করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার রির্পোট হাতে পেলে জানানো হয় আলিফের হাটে ছিদ্র আছে। সার্জারি করতে হবে। সার্জরি করতে আড়াই লাখ টাকার প্রয়োজন। এছাড়া প্রতিদিন বেড ভাড়া দিতে হবে ৩ হাজার টাকা। ঢাকায় থাকতে হবে একমাস সেখানে প্রতিদিন থাকা ওষুধ বাবদ প্রতিদিন খরচ হবে তিন/চার হাজার টাকা। এতে সর্বমোট খরচ হবে প্রায় সাড়ে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মত। কিস্তু গৃহকর্মী দাদী রওশন আরার পক্ষে এত টাকা যোগাড় করা কোন ভাবেই সম্ভব নয়।

ডাক্তার বলেছেন, শিশুর ওজন ১০ কেজি হলে আমরা ৯০ ভাগ গ্যারান্টি দিতে পারবো, শিশু সুস্থ হওযার সম্ভবনা বেশী থাকবে। কিন্তু যদি ১০ কেজির কম হয় তাহলে কোন গ্যারান্টি নেই। সমস্ত খরচ ধরে সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা খরচ হবে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী দাদী রওশন আরা বলেন, আমি বাড়ীতে বাড়ীতে কাজ করে সংসার চালায়। এ পোতা ছেলে বাবদ ৫০ হাজার টাকার বেশী খরচ হয়ে গেছে। এখন আমি অনেক দেনা হয়ে গেছি। আমার বড় পোতা ছেলেও অসুস্থ। কিভাবে সংসার চালাবো? টাকার অভাবে পোতা ছেলের হাটের সার্জারি করতে পারছি না। অপারেশন করালে হয়তো বেঁচে যেতো তার প্রান। তাই সমাজের বিত্তবানদের নিকট আমার আকুল আবেদন পোতা ছেলেকে অর্থ দিয়ে সাহয্যে করে বাঁচিয়ে রাখার জন্য। এই নাম্বারে সাহায্যে পাঠাতে ও যোগাযোগ করতে পারেন। দাদী রওশন আরা-০১৭৯৭-২২৪১৫৯ ও ০১৯৯১-৬৭২৭২৯।