ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুলিশের চোখে পলাতক আসামি ইউএনও’র সঙ্গে অভিযানে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:০৮:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর ২০২২
  • / ১৭ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: পুলিশের চোখে পলাতক অথচ অপহরণ মামলার প্রধান আসামি রুবেল কাউন্সিলর দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। শুধু প্রকাশ্যেই নয়, প্রশাসনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তার সরব উপস্থিতি সবাইকে হতবাক করেছে। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাদিয়া জেরিনের সঙ্গে আসামি রুবেলের অভিযানের ছবি গত মঙ্গলবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোমাধ্যমে ভাইরাল হলে বিতর্ক ও তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়। সেদিন বিকেলে ‘ইউএনও কালীগঞ্জ ঝিনাইদহ’ এর অফিসিয়াল ফেসবুক আইডিতে অপহরণ এবং মারপিট মামলার প্রধান আসামি রুবেলকে ইউএনও সাদিয়া জেরিনের সঙ্গে অনিয়মতান্ত্রিক পার্কিং, যানজট ও ফুটপাত দখলে সচেতনতামূলক অভিযানে অংশ নিতে দেখা যায়। আসামি রুবেল ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও শহরের খয়েরতলা গ্রামের মণ্টু মিয়ার ছেলে।

কাউন্সিলর রুবেল একাধিক মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে উচ্চআদালত থেকে জামিনে আছেন। জানা গেছে, গত ২৪ অক্টোবর কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অমিত সাহা বিষুকে অপহরণ ও মারপিট করা হয়। এ ঘটনায় তাঁর মা শ্রীমতি ইতি শিকদার কালীগঞ্জ থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন, যার মামলা নম্বর ১৮/২২। মামলায় প্রধান আসামি রুবেলসহ চারজনকে আসামি করা হয়।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাদিয়া জেরিনের বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই ভবতোষ রায় জানান, এই মামলার ৩ আসামি আদালত থেকে ইতঃমধ্যে জামিন নিলেও প্রধান আসামি রুবেল কাউন্সিলর জামিন নেননি। তিনি বলেন, ঘটনার সঙ্গে আসামি রুবেলের সম্পৃক্ত নিয়ে কিছুটা সন্দেহ থাকায় প্রকৃত ঘটনা জানতে পুলিশ সেদিনকার কল রেকর্ড (সিডিআর) তলব করেছে। সেটি পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, আমার সামনে কখনো রুবেল পড়েনি, তিনি পুলিশের চোখে পলাতক।

বিষয়টি নিয়ে মামলার প্রধান আসামি কাউন্সিলর রুবেল মিয়া জানান, ‘আমার নামে থানায় যে মামলা হয়েছে, তা আমি জানি না। আর যদি কেউ করে থাকেন তবে সেটি মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক।’ এ বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. আব্দুল মালেক মিনা জানান, অপহরণ ও মারপিট মামলার পলাতক আসামি ইউএনও বা পুলিশের সঙ্গে ঘুরে বেড়ানো অপরাধ ও গর্হিত কাজ। আসামিকে হয় জামিন নিতে হবে, নাহলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করবে। তিনি বলেন, কালীগঞ্জের সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি অমিত সাহাকে অপহরণের পর মারপিট করা মামলার আসামি কীভাবে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায় তা বোধগম্য নয়। এতে মানবাধিকার খর্ব হয়।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

পুলিশের চোখে পলাতক আসামি ইউএনও’র সঙ্গে অভিযানে

আপলোড টাইম : ০২:০৮:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর ২০২২

ঝিনাইদহ অফিস: পুলিশের চোখে পলাতক অথচ অপহরণ মামলার প্রধান আসামি রুবেল কাউন্সিলর দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। শুধু প্রকাশ্যেই নয়, প্রশাসনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তার সরব উপস্থিতি সবাইকে হতবাক করেছে। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাদিয়া জেরিনের সঙ্গে আসামি রুবেলের অভিযানের ছবি গত মঙ্গলবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোমাধ্যমে ভাইরাল হলে বিতর্ক ও তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়। সেদিন বিকেলে ‘ইউএনও কালীগঞ্জ ঝিনাইদহ’ এর অফিসিয়াল ফেসবুক আইডিতে অপহরণ এবং মারপিট মামলার প্রধান আসামি রুবেলকে ইউএনও সাদিয়া জেরিনের সঙ্গে অনিয়মতান্ত্রিক পার্কিং, যানজট ও ফুটপাত দখলে সচেতনতামূলক অভিযানে অংশ নিতে দেখা যায়। আসামি রুবেল ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও শহরের খয়েরতলা গ্রামের মণ্টু মিয়ার ছেলে।

কাউন্সিলর রুবেল একাধিক মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে উচ্চআদালত থেকে জামিনে আছেন। জানা গেছে, গত ২৪ অক্টোবর কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অমিত সাহা বিষুকে অপহরণ ও মারপিট করা হয়। এ ঘটনায় তাঁর মা শ্রীমতি ইতি শিকদার কালীগঞ্জ থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন, যার মামলা নম্বর ১৮/২২। মামলায় প্রধান আসামি রুবেলসহ চারজনকে আসামি করা হয়।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাদিয়া জেরিনের বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই ভবতোষ রায় জানান, এই মামলার ৩ আসামি আদালত থেকে ইতঃমধ্যে জামিন নিলেও প্রধান আসামি রুবেল কাউন্সিলর জামিন নেননি। তিনি বলেন, ঘটনার সঙ্গে আসামি রুবেলের সম্পৃক্ত নিয়ে কিছুটা সন্দেহ থাকায় প্রকৃত ঘটনা জানতে পুলিশ সেদিনকার কল রেকর্ড (সিডিআর) তলব করেছে। সেটি পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, আমার সামনে কখনো রুবেল পড়েনি, তিনি পুলিশের চোখে পলাতক।

বিষয়টি নিয়ে মামলার প্রধান আসামি কাউন্সিলর রুবেল মিয়া জানান, ‘আমার নামে থানায় যে মামলা হয়েছে, তা আমি জানি না। আর যদি কেউ করে থাকেন তবে সেটি মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক।’ এ বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. আব্দুল মালেক মিনা জানান, অপহরণ ও মারপিট মামলার পলাতক আসামি ইউএনও বা পুলিশের সঙ্গে ঘুরে বেড়ানো অপরাধ ও গর্হিত কাজ। আসামিকে হয় জামিন নিতে হবে, নাহলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করবে। তিনি বলেন, কালীগঞ্জের সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি অমিত সাহাকে অপহরণের পর মারপিট করা মামলার আসামি কীভাবে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায় তা বোধগম্য নয়। এতে মানবাধিকার খর্ব হয়।’