ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চায়না কমলা চাষে হাফিজের সফলতা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:০৫:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর ২০২২
  • / ২০ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, বারাদী:  চায়না কমলা চাষ করে সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন মেহেরপুর সদরের পিরোজপুর গ্রামের তরুণ কৃষক হাফিজুর রহমান। ২০১৯ সালে শখের বশে মাত্র ১৫ কাঠা জমিতে বিভিন্ন উন্নত জাতের কমলা রোপণ করেন তিনি। তার কমলা বাগানে চায়না কমলার চারা রয়েছে ২ হাজার ৫ শ টির অধিক। বিদেশী ফল হলেও আমাদের দেশে কমলা লেবুর কদর কম নয়। মেহেরপুরের মাটিতে তরুণ কৃষক হাফিজুর রহমানের লেবু চাষের সংবাদ এলাকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে বিভিন্ন এলাকার কৃষিপ্রেমী মানুষ তার বাগানে ঘুরতে আসেন। এতে হাফিজুর রহমান উদ্বুদ্ধ হয়ে পরবর্তীতে তিনি ২০২০ সালে দশ বিঘা জমিতে চায়না কমলা ও বারি-১ মাল্টা বাগান গোড়ে তোলেন।

কৃষক হাফিজুরের বাগানে চায়না কমলা, চায়না-৩ কমলা, দার্জিলিং কমলা, ছাতকী কমলা, বারোমাসি কমলা, সুইট লেমন, বারি-১ মাল্টা, বারোমাসি ভিয়েতনামী মাল্টা, মিশরীয় আতা, বারোমাসি মিষ্টি আমড়া, বল সুন্দরী কুল, সীডলেস পাত লেবু, মিষ্টি তেঁতুল, থাই-৩, থাই-৭ ও এইট গোল্ড পেয়ারা গাল রয়েছেন। এছাড়াও পরীক্ষামূলক বেদানা ও ড্রাগন ফলের আবাদ করেছেন তিনি। এবছর তার মূল বাগানের ২ হাজার ৫শ গাছে প্রচুর পরিমাণে চায়না কমলা ধরেছে। এতে প্রতি গাছে এক মণের অধিক ফলন পাবেন বলে আশাবাদী হাফিজুর রহমান।

কৃষক হাফিজুর রহমান বলেন, ‘বাগানে কমলার হার্ভেস্টিং চলছে, এই বছরই প্রথম এতো ফল পাচ্ছি। তবে আগামীতে কমলার ফলন দ্বিগুণ হবে বলে মনে করছি। এ বছর আমি প্রায় এক লাক টাকার কমলা বিক্রি করতে পারবো। উন্নত জাত সঠিক পরিচর্যা ও মাটির গুণাগুণ ঠিক থাকলে প্রতি বছর বিঘা প্রতি আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা লাভ করা সম্ভব।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চায়না কমলা চাষে হাফিজের সফলতা

আপলোড টাইম : ০২:০৫:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর ২০২২

প্রতিবেদক, বারাদী:  চায়না কমলা চাষ করে সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন মেহেরপুর সদরের পিরোজপুর গ্রামের তরুণ কৃষক হাফিজুর রহমান। ২০১৯ সালে শখের বশে মাত্র ১৫ কাঠা জমিতে বিভিন্ন উন্নত জাতের কমলা রোপণ করেন তিনি। তার কমলা বাগানে চায়না কমলার চারা রয়েছে ২ হাজার ৫ শ টির অধিক। বিদেশী ফল হলেও আমাদের দেশে কমলা লেবুর কদর কম নয়। মেহেরপুরের মাটিতে তরুণ কৃষক হাফিজুর রহমানের লেবু চাষের সংবাদ এলাকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে বিভিন্ন এলাকার কৃষিপ্রেমী মানুষ তার বাগানে ঘুরতে আসেন। এতে হাফিজুর রহমান উদ্বুদ্ধ হয়ে পরবর্তীতে তিনি ২০২০ সালে দশ বিঘা জমিতে চায়না কমলা ও বারি-১ মাল্টা বাগান গোড়ে তোলেন।

কৃষক হাফিজুরের বাগানে চায়না কমলা, চায়না-৩ কমলা, দার্জিলিং কমলা, ছাতকী কমলা, বারোমাসি কমলা, সুইট লেমন, বারি-১ মাল্টা, বারোমাসি ভিয়েতনামী মাল্টা, মিশরীয় আতা, বারোমাসি মিষ্টি আমড়া, বল সুন্দরী কুল, সীডলেস পাত লেবু, মিষ্টি তেঁতুল, থাই-৩, থাই-৭ ও এইট গোল্ড পেয়ারা গাল রয়েছেন। এছাড়াও পরীক্ষামূলক বেদানা ও ড্রাগন ফলের আবাদ করেছেন তিনি। এবছর তার মূল বাগানের ২ হাজার ৫শ গাছে প্রচুর পরিমাণে চায়না কমলা ধরেছে। এতে প্রতি গাছে এক মণের অধিক ফলন পাবেন বলে আশাবাদী হাফিজুর রহমান।

কৃষক হাফিজুর রহমান বলেন, ‘বাগানে কমলার হার্ভেস্টিং চলছে, এই বছরই প্রথম এতো ফল পাচ্ছি। তবে আগামীতে কমলার ফলন দ্বিগুণ হবে বলে মনে করছি। এ বছর আমি প্রায় এক লাক টাকার কমলা বিক্রি করতে পারবো। উন্নত জাত সঠিক পরিচর্যা ও মাটির গুণাগুণ ঠিক থাকলে প্রতি বছর বিঘা প্রতি আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা লাভ করা সম্ভব।