ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এইচএসসির প্রশ্নপত্রে ধর্মীয় উস্কানি, তদন্ত কমিটি গঠন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫০:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ নভেম্বর ২০২২
  • / ২২ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
ঢাকা বোর্ডের বাংলা প্রথম পত্রে সাম্প্রদায়িক প্রশ্ন তৈরি করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন ঝিনাইদহের কলেজ শিক্ষক প্রশান্ত কুমার। গতকাল মঙ্গলবার বিষয়টি জানাজানি হলে প্রশান্ত গা-ঢাকা দেন। প্রশান্ত কুমার ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মান্দারবাড়িয়া ইউনিয়নের কাঠগড়া ডা. সাইফুল ইসলাম কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক ও যশোরের চৌগাছা উপজেলার হাজরা খানা গ্রামের মৃত দুলাল চন্দ্রপালের ছেলে। এছাড়া ওই প্রশ্ন প্রণয়নের সঙ্গে জড়িত চার মডারেটরকেও শনাক্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে ঘটনাটি তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে প্রশ্নপত্র তৈরির প্রক্রিয়ায় যশোর শিক্ষা বোর্ডের কোনও দায় নেই বলে দাবি করেছে বোর্ড কর্তৃপক্ষ।

কাঠগড়া ডা. সাইফুল ইসলাম কলেজের অধ্যক্ষ বলায় চন্দ্র পাল খবরের সত্যতা নিশ্চত করে জানান, সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্নপত্র ভাইরাল ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তোলপাড় সৃষ্টির পর তিনি ঘটনাটি প্রথম জানতে পারেন। এরপর দেশের নানা প্রান্ত থেকে একের পর এক তাঁর কাছে ফোন আসতে থাকে। অধ্যক্ষ বলেন, মঙ্গলবার সকালে শিক্ষক প্রশান্ত কুমার সাম্প্রদায়িক প্রশ্ন তৈরির জন্য ক্ষমা ও দুঃখ প্রকাশ করে আমাকে ফোন করেন। তিনি জানিয়েছেন, ঢাকা বোর্ডে তিনি একটি সৃজনশীল প্রশ্ন তৈরি করে পাঠিয়েছিলেন। সেটি মনোনীত হয়ে প্রশ্নের ১১ নম্বর ক্রমিকে স্থান পেয়েছে। তার করা প্রশ্ন নিয়ে বিতর্ক ও সাম্প্রদায়িক উস্কানি তৈরি হওয়ায় তিনি মর্মাহত হয়েছেন। এরপর থেকে তাঁর মুঠোফান বন্ধ এমনকি তাঁকে বাড়িতেও পাওয়া যাচ্ছে না। অধ্যক্ষ বলায় চন্দ্র পাল বলেন, এখন শিক্ষা বোর্ড বা মন্ত্রণালয় যে শাস্তির নির্দেশনা প্রদান করবে, সেই মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বাংলা প্রথম পত্র সৃজনশীল ১১ নম্বর প্রশ্নে নাটক সিরাজউদ্দৌলা অংশে অনুচ্ছেদে ধর্মকে সামনাসামনি করে উদ্দীপকে এ কথা বলা হয়। অভিযোগ উঠেছে প্রণীত প্রশ্নপত্রে ধর্মীয় সংবেদনশীলতাকে ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে যে প্রশ্ন নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে তা হলো- “নেপাল ও গোপাল দুই ভাই। জমি নিয়ে বিরোধ তাদের দীর্ঘদিন। অনেক সালিশ-বিচার করেও কেউ তাদের বিরোধ মেটাতে পারেনি। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। এখন জমির ভাগ বণ্টন নিয়ে মামলা চলছে আদালতে। ছোট ভাই নেপাল বড় ভাইকে শায়েস্তা করতে আব্দুল নামে এক মুসলমানের কাছে ভিটের জমির এক অংশ বিক্রি করে। আব্দুল সেখানে বাড়ি বানিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। কোরবানির ঈদে সে নেপালের বাড়ির সামনে গরু কোরবানি দেয়। এই ঘটনায় নেপালের মন ভেঙ্গে যায়। কিছুদিন পর কাউকে কিছু না বলে জমি-জায়গা ফেলে সপরিবারে ভারতে চলে যায় সে।”

এরপর প্রশ্ন করা হয়েছে- (ক) মিরজাফর কোন দেশ হতে ভারত আসেন। (খ) ঘরের লোক অবিশ্বাসী হলে বাইরের লোকের পক্ষে সবই সম্ভব। ব্যাখ্যা কর। (গ) উদ্দীপকের ‘নেপাল’ চরিত্রের সঙ্গে ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের ‘মিরজাফর’ চরিত্রের তুলনা কর। (ঘ) ‘খাল কেটে কুমির আনা’ প্রবাদটি উদ্দীপক ও ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটক উভয় ক্ষেত্রেই সমানভাবে প্রযোজ্য। উক্তিটির সার্থকতা নিরূপণ কর।’ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তরের জন্য উদ্দীপকে অনেক প্রাসঙ্গিক উদাহরণ টানা যেত। কিন্তু তা না করে এখানে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে প্রশ্ন প্রণয়নের অভিযোগ উঠেছে। এদিকে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্কিত এই প্রশ্ন ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিষয়টি জানতে কাঠগড়া কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক প্রশান্ত কুমারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁর ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মাধব চন্দ্র রুদ্র জানান, প্রশ্ন প্রণয়নকারী ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ডা. সাইফুর রহমান ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার পাল। তার মডারেটর চার জনের মধ্যে দুজন নড়াইলের দুটি কলেজের, একজন সাতক্ষীরার একটি কলেজের এবং অপরজন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার একটি কলেজের শিক্ষক। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক গোলাম রব্বানীকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এদিকে, এই প্রশ্নপত্র তৈরি প্রক্রিয়ায় যশোর শিক্ষা বোর্ডের কোনও দায় নেই বলে দাবি করেছেন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আহসান হাবীব। তিনি বলেন, প্রশ্ন প্রণয়নকারীদের জন্য আমাদের পরিষ্কার নির্দেশনা থাকে যেন সাম্প্রদায়িক চিন্তা, ধর্মীয় চিন্তা পরিপন্থি বা রাষ্ট্রবিরোধী কোনও বিষয়ে প্রশ্নে না থাকে। এটা মৌখিক ও লিখিত দুইভাবেই জানানো হয়। এই বোর্ডের প্রধান বলেন, প্রশ্নপত্র তৈরির পর মডারেটররা যাচাই করে সিলগালা করে পাঠান। ফলে তা বোর্ডের কেউ দেখতে পান না। সিলগালা প্রশ্নগুলো ওভাবেই ঢাকায় পাঠানো হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও নারিকেলবাড়িয়া আমেনা খাতুন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আমিনুর রহমান টুকু বলেন, ‘পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ধর্মকে উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করা ঠিক হয়নি। মুসলমানের কাছে জমি বিক্রি করে দেশত্যাগ করছে এমন তথ্য সমাজে অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে পারে।’ তিনি বলেন, শিক্ষার উদ্দেশ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানবতাবোধ বাড়ানো। প্রশ্ন তৈরি করার ক্ষেত্রে অনেক চিন্তা করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

এইচএসসির প্রশ্নপত্রে ধর্মীয় উস্কানি, তদন্ত কমিটি গঠন

আপলোড টাইম : ০৯:৫০:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ নভেম্বর ২০২২

ঝিনাইদহ অফিস:
ঢাকা বোর্ডের বাংলা প্রথম পত্রে সাম্প্রদায়িক প্রশ্ন তৈরি করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন ঝিনাইদহের কলেজ শিক্ষক প্রশান্ত কুমার। গতকাল মঙ্গলবার বিষয়টি জানাজানি হলে প্রশান্ত গা-ঢাকা দেন। প্রশান্ত কুমার ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মান্দারবাড়িয়া ইউনিয়নের কাঠগড়া ডা. সাইফুল ইসলাম কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক ও যশোরের চৌগাছা উপজেলার হাজরা খানা গ্রামের মৃত দুলাল চন্দ্রপালের ছেলে। এছাড়া ওই প্রশ্ন প্রণয়নের সঙ্গে জড়িত চার মডারেটরকেও শনাক্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে ঘটনাটি তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে প্রশ্নপত্র তৈরির প্রক্রিয়ায় যশোর শিক্ষা বোর্ডের কোনও দায় নেই বলে দাবি করেছে বোর্ড কর্তৃপক্ষ।

কাঠগড়া ডা. সাইফুল ইসলাম কলেজের অধ্যক্ষ বলায় চন্দ্র পাল খবরের সত্যতা নিশ্চত করে জানান, সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্নপত্র ভাইরাল ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তোলপাড় সৃষ্টির পর তিনি ঘটনাটি প্রথম জানতে পারেন। এরপর দেশের নানা প্রান্ত থেকে একের পর এক তাঁর কাছে ফোন আসতে থাকে। অধ্যক্ষ বলেন, মঙ্গলবার সকালে শিক্ষক প্রশান্ত কুমার সাম্প্রদায়িক প্রশ্ন তৈরির জন্য ক্ষমা ও দুঃখ প্রকাশ করে আমাকে ফোন করেন। তিনি জানিয়েছেন, ঢাকা বোর্ডে তিনি একটি সৃজনশীল প্রশ্ন তৈরি করে পাঠিয়েছিলেন। সেটি মনোনীত হয়ে প্রশ্নের ১১ নম্বর ক্রমিকে স্থান পেয়েছে। তার করা প্রশ্ন নিয়ে বিতর্ক ও সাম্প্রদায়িক উস্কানি তৈরি হওয়ায় তিনি মর্মাহত হয়েছেন। এরপর থেকে তাঁর মুঠোফান বন্ধ এমনকি তাঁকে বাড়িতেও পাওয়া যাচ্ছে না। অধ্যক্ষ বলায় চন্দ্র পাল বলেন, এখন শিক্ষা বোর্ড বা মন্ত্রণালয় যে শাস্তির নির্দেশনা প্রদান করবে, সেই মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বাংলা প্রথম পত্র সৃজনশীল ১১ নম্বর প্রশ্নে নাটক সিরাজউদ্দৌলা অংশে অনুচ্ছেদে ধর্মকে সামনাসামনি করে উদ্দীপকে এ কথা বলা হয়। অভিযোগ উঠেছে প্রণীত প্রশ্নপত্রে ধর্মীয় সংবেদনশীলতাকে ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে যে প্রশ্ন নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে তা হলো- “নেপাল ও গোপাল দুই ভাই। জমি নিয়ে বিরোধ তাদের দীর্ঘদিন। অনেক সালিশ-বিচার করেও কেউ তাদের বিরোধ মেটাতে পারেনি। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। এখন জমির ভাগ বণ্টন নিয়ে মামলা চলছে আদালতে। ছোট ভাই নেপাল বড় ভাইকে শায়েস্তা করতে আব্দুল নামে এক মুসলমানের কাছে ভিটের জমির এক অংশ বিক্রি করে। আব্দুল সেখানে বাড়ি বানিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। কোরবানির ঈদে সে নেপালের বাড়ির সামনে গরু কোরবানি দেয়। এই ঘটনায় নেপালের মন ভেঙ্গে যায়। কিছুদিন পর কাউকে কিছু না বলে জমি-জায়গা ফেলে সপরিবারে ভারতে চলে যায় সে।”

এরপর প্রশ্ন করা হয়েছে- (ক) মিরজাফর কোন দেশ হতে ভারত আসেন। (খ) ঘরের লোক অবিশ্বাসী হলে বাইরের লোকের পক্ষে সবই সম্ভব। ব্যাখ্যা কর। (গ) উদ্দীপকের ‘নেপাল’ চরিত্রের সঙ্গে ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের ‘মিরজাফর’ চরিত্রের তুলনা কর। (ঘ) ‘খাল কেটে কুমির আনা’ প্রবাদটি উদ্দীপক ও ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটক উভয় ক্ষেত্রেই সমানভাবে প্রযোজ্য। উক্তিটির সার্থকতা নিরূপণ কর।’ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তরের জন্য উদ্দীপকে অনেক প্রাসঙ্গিক উদাহরণ টানা যেত। কিন্তু তা না করে এখানে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে প্রশ্ন প্রণয়নের অভিযোগ উঠেছে। এদিকে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্কিত এই প্রশ্ন ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিষয়টি জানতে কাঠগড়া কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক প্রশান্ত কুমারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁর ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মাধব চন্দ্র রুদ্র জানান, প্রশ্ন প্রণয়নকারী ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ডা. সাইফুর রহমান ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার পাল। তার মডারেটর চার জনের মধ্যে দুজন নড়াইলের দুটি কলেজের, একজন সাতক্ষীরার একটি কলেজের এবং অপরজন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার একটি কলেজের শিক্ষক। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক গোলাম রব্বানীকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এদিকে, এই প্রশ্নপত্র তৈরি প্রক্রিয়ায় যশোর শিক্ষা বোর্ডের কোনও দায় নেই বলে দাবি করেছেন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আহসান হাবীব। তিনি বলেন, প্রশ্ন প্রণয়নকারীদের জন্য আমাদের পরিষ্কার নির্দেশনা থাকে যেন সাম্প্রদায়িক চিন্তা, ধর্মীয় চিন্তা পরিপন্থি বা রাষ্ট্রবিরোধী কোনও বিষয়ে প্রশ্নে না থাকে। এটা মৌখিক ও লিখিত দুইভাবেই জানানো হয়। এই বোর্ডের প্রধান বলেন, প্রশ্নপত্র তৈরির পর মডারেটররা যাচাই করে সিলগালা করে পাঠান। ফলে তা বোর্ডের কেউ দেখতে পান না। সিলগালা প্রশ্নগুলো ওভাবেই ঢাকায় পাঠানো হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও নারিকেলবাড়িয়া আমেনা খাতুন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আমিনুর রহমান টুকু বলেন, ‘পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ধর্মকে উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করা ঠিক হয়নি। মুসলমানের কাছে জমি বিক্রি করে দেশত্যাগ করছে এমন তথ্য সমাজে অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে পারে।’ তিনি বলেন, শিক্ষার উদ্দেশ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানবতাবোধ বাড়ানো। প্রশ্ন তৈরি করার ক্ষেত্রে অনেক চিন্তা করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।