ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে রাজপথে মিছিলে বিএনপি ও ছাত্রলীগ মুখোমুখী

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৬:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০২২
  • / ২১ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহে বিএনপি ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। গতকাল সোমবার দুপুরে শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুর থেকে বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন উপলক্ষে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব চত্বরে বিএনপির নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকে। এসময় মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস উপলক্ষে জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সরকারি কেসি কলেজ থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের পুরাতন ডিসি কোর্টের সামনে পৌঁছালে অপর দিক থেকে আসা বিএনপির মিছিলের নেতা-কর্মীদের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষ। বিএনপি নেতা-কর্মীদের ধাওয়ায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পিছু হটে সদর থানার মধ্যে চলে যায়। এতে ঝিনাইদহ মার্কেন্টাইল ব্যাংকের এক কর্মকর্তাসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা শহরে পোস্ট অফিস মোড়ে অবস্থান করলে বিএনপি নেতা-কর্মীরা যুবলীগ নেতা আশফাক মাহমুদ জনের মালিকাধীন মার্কেটের ‘বন্ড’ নামে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের গ্লাস ভাঙচুর করে। বিএনপি নেতা-কর্মীরা শহরের মডার্ন মোড়ে অবস্থান নিলে ছাত্রলীগ আবারো বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা বিএনপির অফিসে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। এসময় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল ইমরান জানান, বিএনপির মিছিল থেকে তাদের নেত্রীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ও বাজে মন্তব্য করলে ছাত্রলীগ প্রতিবাদ করে। এসময় বিএনপি তাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে ছাত্রলীগ ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপিকে ধাওয়া দিলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। তিনি আরও জানান, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত ঝিনাইদহ শহরে বিএনপিকে কোনো নৈরাজ্য ও আগুন সন্ত্রাস করতে দেবে না। ছাত্রলীগ রাজপথে থেকে তাদের প্রতিহত করবে। এই সংঘর্ষে তাদের কোনো নেতা-কর্মী আহত হননি বলেও আল ইমরান দাবি করেন।
ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ অভিযোগ করেন, বিএনপির শািন্তপূর্ণ মিছিলে পুলিশের সামনে ছাত্রলীগ রাম দা, ডাসা ও চাপাতি নিয়ে হামলার চেষ্টা করলে তারা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করে। এসময় বিএনপির ধাওয়া খেয়ে ছাত্রলীগ সদর থানার মধ্যে আশ্রয় নেয়। এম এ মজিদ দাবি করেন, হামলায় তাদের ৭ জন নেতা-কর্মী কমবেশি আহত হন। আহতরা ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার জানান, বিএনপি ও ছাত্রলীগের পৃথক কর্মসূচি নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। উভয়পক্ষ ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে একে অপরের প্রতি হামলার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। কোনো আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। তবে কোনো ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঝিনাইদহে রাজপথে মিছিলে বিএনপি ও ছাত্রলীগ মুখোমুখী

আপলোড টাইম : ০৯:১৬:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০২২

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহে বিএনপি ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। গতকাল সোমবার দুপুরে শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুর থেকে বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন উপলক্ষে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব চত্বরে বিএনপির নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকে। এসময় মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস উপলক্ষে জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সরকারি কেসি কলেজ থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের পুরাতন ডিসি কোর্টের সামনে পৌঁছালে অপর দিক থেকে আসা বিএনপির মিছিলের নেতা-কর্মীদের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষ। বিএনপি নেতা-কর্মীদের ধাওয়ায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পিছু হটে সদর থানার মধ্যে চলে যায়। এতে ঝিনাইদহ মার্কেন্টাইল ব্যাংকের এক কর্মকর্তাসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা শহরে পোস্ট অফিস মোড়ে অবস্থান করলে বিএনপি নেতা-কর্মীরা যুবলীগ নেতা আশফাক মাহমুদ জনের মালিকাধীন মার্কেটের ‘বন্ড’ নামে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের গ্লাস ভাঙচুর করে। বিএনপি নেতা-কর্মীরা শহরের মডার্ন মোড়ে অবস্থান নিলে ছাত্রলীগ আবারো বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা বিএনপির অফিসে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। এসময় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল ইমরান জানান, বিএনপির মিছিল থেকে তাদের নেত্রীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ও বাজে মন্তব্য করলে ছাত্রলীগ প্রতিবাদ করে। এসময় বিএনপি তাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে ছাত্রলীগ ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপিকে ধাওয়া দিলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। তিনি আরও জানান, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত ঝিনাইদহ শহরে বিএনপিকে কোনো নৈরাজ্য ও আগুন সন্ত্রাস করতে দেবে না। ছাত্রলীগ রাজপথে থেকে তাদের প্রতিহত করবে। এই সংঘর্ষে তাদের কোনো নেতা-কর্মী আহত হননি বলেও আল ইমরান দাবি করেন।
ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ অভিযোগ করেন, বিএনপির শািন্তপূর্ণ মিছিলে পুলিশের সামনে ছাত্রলীগ রাম দা, ডাসা ও চাপাতি নিয়ে হামলার চেষ্টা করলে তারা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করে। এসময় বিএনপির ধাওয়া খেয়ে ছাত্রলীগ সদর থানার মধ্যে আশ্রয় নেয়। এম এ মজিদ দাবি করেন, হামলায় তাদের ৭ জন নেতা-কর্মী কমবেশি আহত হন। আহতরা ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার জানান, বিএনপি ও ছাত্রলীগের পৃথক কর্মসূচি নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। উভয়পক্ষ ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে একে অপরের প্রতি হামলার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। কোনো আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। তবে কোনো ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।