ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা মশিউর রহমানের জানাজায় জনসমুদ্র, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৫:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর ২০২২
  • / ১৮ বার পড়া হয়েছে

বন্ধু মশিউরের সঙ্গে আমার রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও বিরোধ ছিল না : এমপি আব্দুল হাই

ঝিনাইদহ অফিস:
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মশিউর রহমানের মৃতদেহ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার ঝিনাইদহ সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠ ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলার মনিরুদ্দীন বিশ^াস মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে দু’দফা জানাজা শেষে বিকেলে কন্যাদহ গ্রামের পারিবারিক গোরস্থানে তাঁর দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়।

গতকাল বেলা ১১টার দিকে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষে তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এসময় বিউগলে বেঁজে ওঠে করুণ সুর। ঝিনাইদহ শহরে অনুষ্ঠিত জানাযার নামাজে ইমামতি করেন কোটচাঁদপুর আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ বাহারুল ইসলাম। সকাল থেকে জানাযায় শরীক হতে ঝিনাইদহের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিএনপির নেতা-কর্মী ছাড়াও হাজার হাজার সাধারণ মানুষ ঝিনাইদহ সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আসতে শুরু করেন। শুধু ঝিনাইদহ নয়, পার্শ্ববর্তী জেলা থেকেও বিএনপির জৈষ্ঠ এই নেতার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে মানুষ জানাযাস্থলে ছুটে আসেন। ফলে বেলা ১১টার মধ্যে সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের বিশাল মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। জানাযায় অংশ নেওয়া অনেককেই এসময় বলতে শোনা যায় মশিউর রহমান যে সত্যিকারের একজন জননেতা ছিলেন, তা মৃত্যুর পরও প্রমাণ করে দিলেন।
জানাযা শুরুর আগে মশিউর রহমানের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য দেন তাঁর বাল্যবন্ধু ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক প্রতিমন্ত্রী, প্রবীণ রাজনীতিবিদ আব্দুল হাই এমপি। এছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের পক্ষে দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, কেন্দ্রীয় নেতা নিতাই রায় চৌধুরী, খায়রুল কবীর খোকন, আজিজুল বারী হেলাল, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, অ্যাড. আসাদুজ্জামান আসাদ, জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, রফিকুল ইসলাম বকুল, কুষ্টিয়ার সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী হাসান রুমি, অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দীন, যশোরের সাবেরুল হক সাবু, মাগুরার মনিরুল ইসলাম, খুলনার সফিকুল ইসলাম মনা, আকতার হোসেন, শফিকুল ইসলাম তুহিন, আলী আহম্মেদ, তোজাম্মেল হোসেন, সাবেক এমপি আব্দুল ওহাব, মশিউর রহমানের বেয়াই খুলনার সাবেক মেয়র আব্দুল গাফ্ফার বিশ^াস, ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ, ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল, হরিণাকুণ্ডু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেনসহ আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ জানাযায় উপস্থিত ছিলেন।

জানাযা অনুষ্ঠানে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই এমপি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘বন্ধু মশিউরের সঙ্গে আমার রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও কোনো বিরোধ ছিল না। সে আমার একজন খাটি বন্ধু ছিল। তাঁর ধ্যানজ্ঞান ছিল ঝিনাইদহের উন্নয়ন। রনাঙ্গণে তাঁর সঙ্গে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। তাঁর মৃত্যুতে ঝিনাইদহ তথা দেশবাসী একটি সত্যিকারের দেশপ্রেমিককে হারালো।’ উল্লেখ্য, ঝিনাইদহ উন্নয়নের কারিগর খ্যাত বিএনপির এই বর্ষিয়ান নেতা গত মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ঝিনাইদহ শহরের গীতাঞ্জলী সড়কে নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঝিনাইদহে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা মশিউর রহমানের জানাজায় জনসমুদ্র, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন

আপলোড টাইম : ০৯:২৫:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর ২০২২

বন্ধু মশিউরের সঙ্গে আমার রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও বিরোধ ছিল না : এমপি আব্দুল হাই

ঝিনাইদহ অফিস:
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মশিউর রহমানের মৃতদেহ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার ঝিনাইদহ সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠ ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলার মনিরুদ্দীন বিশ^াস মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে দু’দফা জানাজা শেষে বিকেলে কন্যাদহ গ্রামের পারিবারিক গোরস্থানে তাঁর দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়।

গতকাল বেলা ১১টার দিকে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষে তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এসময় বিউগলে বেঁজে ওঠে করুণ সুর। ঝিনাইদহ শহরে অনুষ্ঠিত জানাযার নামাজে ইমামতি করেন কোটচাঁদপুর আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ বাহারুল ইসলাম। সকাল থেকে জানাযায় শরীক হতে ঝিনাইদহের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিএনপির নেতা-কর্মী ছাড়াও হাজার হাজার সাধারণ মানুষ ঝিনাইদহ সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আসতে শুরু করেন। শুধু ঝিনাইদহ নয়, পার্শ্ববর্তী জেলা থেকেও বিএনপির জৈষ্ঠ এই নেতার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে মানুষ জানাযাস্থলে ছুটে আসেন। ফলে বেলা ১১টার মধ্যে সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের বিশাল মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। জানাযায় অংশ নেওয়া অনেককেই এসময় বলতে শোনা যায় মশিউর রহমান যে সত্যিকারের একজন জননেতা ছিলেন, তা মৃত্যুর পরও প্রমাণ করে দিলেন।
জানাযা শুরুর আগে মশিউর রহমানের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য দেন তাঁর বাল্যবন্ধু ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক প্রতিমন্ত্রী, প্রবীণ রাজনীতিবিদ আব্দুল হাই এমপি। এছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের পক্ষে দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, কেন্দ্রীয় নেতা নিতাই রায় চৌধুরী, খায়রুল কবীর খোকন, আজিজুল বারী হেলাল, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, অ্যাড. আসাদুজ্জামান আসাদ, জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, রফিকুল ইসলাম বকুল, কুষ্টিয়ার সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী হাসান রুমি, অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দীন, যশোরের সাবেরুল হক সাবু, মাগুরার মনিরুল ইসলাম, খুলনার সফিকুল ইসলাম মনা, আকতার হোসেন, শফিকুল ইসলাম তুহিন, আলী আহম্মেদ, তোজাম্মেল হোসেন, সাবেক এমপি আব্দুল ওহাব, মশিউর রহমানের বেয়াই খুলনার সাবেক মেয়র আব্দুল গাফ্ফার বিশ^াস, ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ, ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল, হরিণাকুণ্ডু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেনসহ আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ জানাযায় উপস্থিত ছিলেন।

জানাযা অনুষ্ঠানে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই এমপি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘বন্ধু মশিউরের সঙ্গে আমার রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও কোনো বিরোধ ছিল না। সে আমার একজন খাটি বন্ধু ছিল। তাঁর ধ্যানজ্ঞান ছিল ঝিনাইদহের উন্নয়ন। রনাঙ্গণে তাঁর সঙ্গে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। তাঁর মৃত্যুতে ঝিনাইদহ তথা দেশবাসী একটি সত্যিকারের দেশপ্রেমিককে হারালো।’ উল্লেখ্য, ঝিনাইদহ উন্নয়নের কারিগর খ্যাত বিএনপির এই বর্ষিয়ান নেতা গত মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ঝিনাইদহ শহরের গীতাঞ্জলী সড়কে নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন।